উপসংহার
পরিশেষে আমরা বলতে চাই যে, মানব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহর ইবাদত বা তাঁর দাসত্ব করা। আমাদের সা©র্র্বক জীবনে নির্বিঘ্ন পরিবেশে সেই ইবাদতের প্রতিফলন ঘটানোর জন্যই প্রয়োজন ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার। মনে রাখতে হবে যে, আমাদের মূল লক্ষ্য হ’ল ইবাদত প্রতিষ্ঠা, হুকূমত প্রতিষ্ঠা নয়। আমাদেরকে সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে। বিগত যুগের প্রত্যেক শাসন শক্তি যেহেতু নিরংকুশভাবে আল্লাহর ইবাদতকে বরদাশত করেনি, তাই তাদের সঙ্গে নবীদের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। বর্তমানেও যারা সেই নিরংকুশ ইবাদতের ডাক দিবেন, নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর প্রতি আহবান জানাবেন, ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনে আল্লাহ প্রেরিত ও রাসূল (ছাঃ) প্রদর্শিত অভ্রান্ত হেদায়াত অনুসরণের দাওয়াত দিবেন, তাদেরকেও এ যুগের বুদ্ধিজীবি, সমাজনেতা, ধর্মনেতা ও রাষ্ট্রনেতাদের পক্ষ থেকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতেই হবে বা হচ্ছে। এ বাধাকে অতিক্রম করে দুর্বার গতিতে নবীদের রেখে যাওয়া পবিত্র মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে প্রকৃত ‘জিহাদ’।
ইতিপূর্বে আলোচিত তিনটি মতবাদ সম্পর্কে হুঁশিয়ার থেকে সর্বাত্মক সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে কথা, কলম ও সংগঠন এই ত্রিমুখী হাতিয়ার নিয়ে আমাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কিতাব ও সুন্নাতের আলো নিয়ে জাহেলিয়াতের নিকষ কালো আঁধারের বুক চিরে মানবতার সার্বিক কল্যাণে আমাদের প্রিয়তম সবকিছুকে উৎসর্গ করতে হবে। তবেই আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সার্থক হবে বলে আমরা মনে করি। আসুন! আমরা অভ্রান্ত সত্যের উৎস আল্লাহ প্রেরিত অহিয়ে মাত্লু ও গায়ের মাত্লু পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে ঘুণেধরা সমাজকে ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্যে একদল নিবেদিতপ্রাণ তরুণ মুজাহিদ আল্লাহর নামে প্রস্ত্তত হয়ে যাই। সত্যসেবীদের একটি জামা‘আত তৈরী হয়ে যাই। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন- আমীন!!
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ- (الةوبة ১১৯)-
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক’ (তওবা ৯/১১৯)।
অন্ধ ব্যক্তিপূজা, ধর্মহীন রাজনীতি এবং রাজনীতিই ধর্ম- এই তিনটিই চরমপন্থী মতবাদ। আসুন! এসব থেকে বিরত হই এবং জীবনের চলার পথে আমরা ছিরাতে মুস্তাক্বীমের অনুসারী হই!!
মানুষের সার্বিক জীবনকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে
পরিচালনার গভীর প্রেরণাই হ’ল আহলেহাদীছ আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি।