দর্শনটির ছন্দপতন
১৯৪০-এর শেষদিকে এই তৃতীয় মতবাদটি জাতিকে কিছু বিপ্লবী কথা শুনিয়েছিল। যদিও তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচারে এগুলিকে পাকিস্তান বিরোধিতার পক্ষে কিছু যুক্তিবাদের অবতারণা হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল। আমরা রাজনীতির আলোকে বিচার না করে কথাগুলিকে কেবল মতবাদ হিসেবেই উপলব্ধি করতে চাই। যেমন বলা হচ্ছে,
‘ইসলামী রাষ্ট্র তখনই প্রতিষ্ঠিত হইবে, যখন কুরআনের আদর্শ ও মতবাদ এবং নবী মুছতফা (ছাঃ)-এর চরিত্র ও কার্যকলাপের বুনিয়াদে কোন গণ আন্দোলন জাগিয়া উঠিবে- আর সমাজ জীবনের সমগ্র মানসিক, নৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক বুনিয়াদকে একটি প্রবলতর সংগ্রামের সাহায্যে একেবারে আমূল পরিবর্তন করিয়া ফেলা সম্ভব হইবে’।
আর একটু এগিয়ে যেয়ে বলা হচ্ছে, ‘উপরে আমাদের বর্তমান জাতীয় চরিত্রের যে চিত্র অংকিত হইয়াছে, তাহা সম্মুখে রাখিয়া অনায়াসেই বলা যায় যে, তাহাদের ২৫/৫০ লক্ষ লোকের বিরাট ভিড় অপেক্ষা ১০জন মাত্র বিপ্লবী কর্মী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অধিকতর কৃতিত্ব ও সাফল্যের সহিত পরিচালিত করিতে পারে।’ আরও বলা হয়েছে, ‘গণতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে দেশের ভোটদাতাদের মনোনীত ও নির্বাচিত লোকদের হাতেই অর্পিত হয় রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব; কিন্তু ভোটদাতাদের মধ্যে যদি ইসলামী মতবাদ, ইসলামী স্বভাব-চরিত্র ও দৃষ্টিভংগী এবং ইসলামী মূল্যবোধ জাগ্রত না হয়, তাহা হইলে তাহাদের ভোটে কখনই ‘প্রকৃত মুসলিম’ ব্যক্তি নির্বাচিত হইয়া পার্লামেন্ট বা ব্যবস্থা পরিষদের সদস্য হইতে পারিবে না’।[1]
কিন্তু শীঘ্রই রাজনৈতিক পরিস্থিতির চরম পরিবর্তন ঘটলো এবং পাকিস্তান আন্দোলন তুঙ্গে উঠলো। তখন ১৯৪৭-এর গোড়ার দিকের এক রচনায় ভবিষ্যতের কল্পিত ইসলামী রাষ্ট্রের আইন তৈরীর ক্ষেত্রে ‘ফেকাহ শাস্ত্রে মতবিরোধের অভিযোগ’-এর জওয়াবে ইতিপূর্বে ১৯৪০-এ ছুঁড়ে মারা পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের বহু বিঘোষিত ‘অধিকাংশের রায়ই চূড়ান্ত’ এই থিওরীকে ডাষ্টবিন থেকে তুলে এনে ইসলামী আইনের নামে প্রচলিত মাযহাবী আইন রচনার ক্ষেত্রে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হ’ল এবং কুরআন ও সুন্নাহর সার্বভৌম অধিকার ক্ষুণ্ণ করে তাকে কেবল বক্তৃতায় চমক সৃষ্টির জন্য ষ্টেজে রেখে দেওয়া হ’ল। যেমন বলা হয়েছে,
‘ফেকাহর মতবিরোধ যা আছে, তা সবই বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা, কেয়াস ও ইজতেহাদী সমস্যার ব্যাপারে’।[2] কথাটি একেবারেই ভিত্তিহীন। কেননা (হানাফী) ফিক্বহের মধ্যে এমন বহু মাসায়েল রয়েছে, কুরআন বা হাদীছে যার কোন অস্তিত্ব নেই।[3] আর এটা জানা কথা যে, যেসব ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে দলীল পাওয়া সম্ভব, যে সব ক্ষেত্রে ইজতেহাদ অচল। এরপরে বলা হয়েছে, ‘কোন আলেম যদি শরী‘আতের বিধানের ব্যাখ্যা পেশ করেন, কোন ইমাম যদি স্বীয় ইজতেহাদ ও কেয়াসের বলে কোন সমস্যার সমাধান করেন কিংবা কোন মুজতাহিদ যদি ইসতিহসানের ভিত্তিতে কোন বিষয়ে ফৎওয়া প্রদান করেন, তা সাথে সাথেই ইসলামী রাষ্ট্রের আইনে পরিণত হয় না। বরং মূলতঃ তার ধরন হচ্ছে একটি প্রস্তাবের মতই। আইনে পরিণত হয় তখন, যখন তার উপর যুগের ফকীহদের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয় অথবা তাদের অধিকাংশ তাকে গ্রহণযোগ্য বলে মেনে নেন এবং তার ওপরই ফৎওয়া প্রদত্ত হয়।’
উপরোক্ত আলোচনায় একথা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, এই দর্শন মাত্র কিছুদিন যেতে না যেতেই তার বিপ্লবী চরিত্র হারিয়ে ফেলে এবং আর পাঁচটি পাশ্চাত্যপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ন্যায় ‘মেজরিটির’ পূজারী হয়ে পড়ে। অন্যান্য দল তাদের রাজনৈতিক আদর্শ হিসাবে কেউ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বা কেউ সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করে। সেইভাবে উপরোক্ত দর্শনের অনুসারী দলটি ইসলামকে বেছে নেয়। ১৯৬৪-এর নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী দলগুলির সঙ্গে একই কাতারে থেকে এই দলটি ইসলামী নীতির বাইরে বয়সোত্তীর্ণ একজন সম্মানিতা মহিলাকে পাকিস্তানের ‘প্রেসিডেন্ট’ হিসাবে সমর্থন দেয়। দুর্ভাগ্য এই যে, অন্যান্য দল তাদের আপোষে মারামারি কাটাকাটিকে রাজনৈতিক ব্যাপার হিসাবে গণ্য করলেও এই দলটি কিন্তু সরকারী যুলুম-নির্যাতন ও অন্যান্য দলের হাতে মার খাওয়াকে নিজের ‘হক’ হওয়ার পক্ষে দলীল হিসাবে প্রচার করতে থাকে। নিজেদের মিছিলগুলিকে জিহাদের মিছিল এবং নিজেদের নিহত লোকদেরকে ‘শহীদ’ হিসাবে চালিয়ে দিতে থাকে। অথচ মুসলমানের হাতে মুসলমান মরলে সে ‘শহীদ’ হিসাবে গণ্য হয় না।[4]এই দর্শনের অনুসারীগণ কয়েক বৎসর ‘অরাজনৈতিক’ থাকার পর নিজেদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালে সমগ্র দেশে যখন ইসলামী শাসনতন্ত্রের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হ’তে চলেছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ একদিন এই দলটির মাননীয় দার্শনিক নেতা পত্রিকায় বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন যে, যেহেতু পাকিস্তানে হানাফী মাযহাবের অনুসারী লোকসংখ্যা বেশী, সেহেতু এদেশে ‘হানাফী ফিকহ’ অনুযায়ী ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে’।[5]
ব্যস! অখন্ড জাতীয় ঐক্য ভেঙ্গে খান্খান হয়ে গেল। ইসলামী শাসনতন্ত্র তার প্রতিষ্ঠার দোরগোড়া হ’তে ফিরে গেল। ঠিক একই অবস্থা হয়েছে বর্তমান পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট যিয়াউল হকের আমলে। সেখানে প্রেসিডেন্টের আবেদন ক্রমে অন্যান্য দলের ন্যায় ইসলামী আন্দোলনের ঝান্ডাবাহী উক্ত দর্শনের অন্ধ অনুসারী দলটি সরকারের নিকট যে ‘শরী‘আত বিল’ পেশ করেছে, তাতে ’৫৬ সালের সেই প্রস্তাবেরই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। কয়েকটি ধারা সম্বলিত উক্ত খসড়া ‘শরী‘আত বিল’-এর ২(খ) ধারায় চিরাচরিত নিয়মানুসারে কুরআন ও সুন্নাহকে ইসলামী আইনের মূল উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু ৮ম ধারায় গিয়ে বলা হয়েছে,
مسلمه اسلامى فرقوں كــے شخصى معاملات ان كـے اپنے فقهى مسلك كے مطابق طے كئے جائينگے-
‘গৃহীত ইসলামী ফের্কাগুলির ব্যক্তিগত বিষয়াবলীর সমাধান তাদের নিজ নিজ মাযহাবী ফিক্বহ অনুযায়ী করা হবে’।[6] সে দেশের ‘সম্মিলিত সুন্নী পরিষদ’ পাকিস্তানে হানাফী আইন চালু না করলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেয়’।[7]
জুলাই ‘৮৫-তে এই খসড়া ‘শরী‘আত বিল’ পেশ করার পর শী’আ মতাবলম্বীরা তাদের অনুসরণীয় ‘জাফরী ফিক্বহ’ রাষ্ট্রীয় মাযহাব হিসাবে চালু করার জন্য পাকিস্তান সরকারের নিকট দাবী তুলেছে। এছাড়াও খোদ হানাফী মাযহাব প্রধানতঃ ব্রেলভী ও দেউবন্দী দু’দলে বিভক্ত। এরপরও রয়েছে বিভিন্ন তরীকার বিভিন্ন নিয়ম-কানূন। বিল পেশকারী দলটি নিজেও একটি ফিরকা। তার রয়েছে নিজস্ব দর্শন ও চিন্তাধারা। হানাফী ফিকহের অনুসারী হ’লেও খোদ হানাফী মাযহাবের বড় বড় আলেমগণ এই দলের বাইরে রয়ে গেছেন। কেউ ঢুকে বেরিয়ে এসেছেন। এমনকি স্বগোত্রীয় কেউ কেউ এই চরমপন্থী দলটিকে ‘খারেজী’ বলেছেন এবং নিজ নিজ অনুসারীদেরকে এই দলের সংস্পর্শে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।[8] এক্ষণে দেশে ‘গৃহীত’ ইসলামী ফের্কার সংখ্যা যে কয়টি, তা নির্ধারণ করাও রীতিমত একটি গবেষণার বিষয় বৈ-কি।
পাকিস্তানী সহযোগীদের সুরে সুর মিলিয়ে উক্ত দর্শনের অনুসারী বাংলাদেশী দলটির প্রধান সকল রাখ-ঢাক ছেড়ে ’৮৬-এর গোড়ার দিকে সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশবাসীকে একই কথা শুনিয়ে দিয়েছেন এবং এখনও বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি বা তাঁর কর্মীরা উক্ত বক্তব্যের সমর্থনে ছাফাই গেয়ে চলেছেন। বক্তব্যটি নিম্নরূপ:[9]
প্রশ্ন: যে দেশে বিভিন্ন মাযহাবের লোক বাস করে, সে দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কোন মাযহাবের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে?
জবাব : দেশে যে মাযহাবের লোকসংখ্যা বেশী সে মাযহাব অনুযায়ী সেখানে শাসন ব্যবস্থা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে বিবাহ, তালাক, ফারায়েজ ইত্যাদি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে প্রত্যেক মাযহাবের যার যার মাযহাব অনুযায়ী জীপন যাপন করার শাসনতান্ত্রিক নিশ্চয়তা থাকবে।’
’৫৬, ’৮৫ এবং ’৮৬-এর বক্তব্যগুলিতে কি চমৎকার মিল! একেই তো বলে ‘হাতীর বাইরের দু’টি দাঁত দেখানোর জন্য, আর ভিতরের দু’টি দাঁত চিবানোর জন্য’। শ্লোগানের সময় বলা হয়, ‘সব সমস্যার সমাধান আল-কুরআন, আল-কুরআন।’ কিন্তু এখন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ের সমাধান দিতে কুরআন বা ইসলাম কি অপারগ হ’ল? হায়রে তাক্বলীদ! হায়রে মাযহাব! এদের তো উচিত ছিল মহামতি ইমাম মালেক (রহঃ) থেকে শিক্ষা নেওয়া। ব্যবহারিক মতপার্থক্যের অজুহাত দেখিয়ে আববাসীয় খেলাফতের প্রতিষ্ঠাতা খলীফা মানছূর যখন ‘মালেকী ফিক্বহ’কে রাষ্ট্রীয় মাযহাব হিসাবে চালু করার জন্য স্বয়ং ইমাম মালেকের নিকট অনুমতি চাইলেন, ইমাম মালেক (রহঃ) তখন পরিষ্কারভাবে খলীফা মানছূর ও পরবর্তীতে খলীফা হারূনুর রশীদের অনুরূপ প্রস্তাব নাকচ করে দেন।[10] বলাবাহুল্য অমিত শক্তিধর রাজতন্ত্রী খলীফা হওয়া সত্ত্বেও মানছূর ও হারূণ এই ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হ’তে বিরত ছিলেন।
আমরা বুঝতে পারি না, যে দেশের মুসলমান এখনও ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে মেনে নিতে পারেনি। যারা গর্ব করে বলে ‘আমি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কম্যুনিষ্ট কিন্তু ধর্মীয় ক্ষেত্রে পাক্কা মুসলমান, যে দেশের অধিকাংশ মুসলমান বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রেওয়াজকেই ইসলাম ভাবতে অভ্যস্ত, যে দেশ ইসলামের নামে রকমারি শিরক ও বিদ‘আতে ভরা, সে দেশের ভোটারদের মাধ্যমে রেওয়াজী ইসলাম ছাড়া কুরআন ও সুন্নাহর প্রকৃত ইসলাম কায়েম হওয়া কেমনে সম্ভব? বন্ধুরা বোধ হয় সে কারণে লাজ-লজ্জা ছেড়ে আসল কথাটাই ফাঁস করে দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা তো একটা থেকেই যাচ্ছে। সেটা হ’ল গৃহীত দুই ইসলামী ফের্কার দু’জন মুসলমানের মধ্যে কোন বিষয়ে ঝগড়া হ’লে এবং তাদের অনুসরণীয় ফিক্বহী সিদ্ধান্ত দু’রকমের হ’লে ইসলামের নামে পরিকল্পিত সেই ‘মাযহাবী রাষ্ট্রে’র বিচারক কোন পক্ষে রায় দিবেন? যদি দু’পক্ষকেই সঠিক বলেন, তাহ’লে ঝগড়া মিটবে কিসের ভিত্তিতে? এর সমাধান তো পবিত্র কুরআনে বহু পূর্বেই দেয়া হয়েছে।-فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوْهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُوْلِ-
‘যদি তোমরা কোন বিষয়ে ঝগড়া কর, তাহ’লে আল্লাহ এবং রাসূলের দিকে ফিরে যাও’ (নিসা ৪/৫৯)। বুঝা গেল ঝগড়া মীমাংসার ভিত্তি হবে কুরআন ও সুন্নাহ, কোন মাযহাবী সিদ্ধান্ত নয়। যিনি যে দলেই থাকুন না কেন, কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর সিদ্ধান্ত তাকে নিঃশর্তভাবে মেনে নিতে হবে। বলা বাহুল্য, মুসলিম ঐক্যের ভিত্তি হ’ল একমাত্র এটাই এবং আহলেহাদীছ আন্দোলনের মূল দাওয়াতও এটাই। আমরা বলব, সত্যিকারের বিপ্লবী ও আদর্শবাদী যারা হবেন, তাঁরা কখনই সংখ্যা পূজারী হবেন না, বরং সত্য পূজারী হবেন। وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَاهُ ‘তুমি লোকদের ভয় পাও, অথচ আল্লাহ বড় হকদার তাকে ভয় পাবার জন্য’ (আহযাব ৩৩/৩৭)।[1]. ইসলামী বিপ্লবের পথ (ঢাকা: ১ম সংস্করণ ১৯৫৪) ১৯, ২৩ ও ২৭ পৃ:।
[2]. ইসলামী আইন কি ও কেন? পৃঃ ৩৬-৩৭, (প্রকাশক: রূপসা পাবলিকেশন্স, ৩০ সিমেট্রী রোড, খুলনা, তাবি)।
[3]. এ ব্যাপারে ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর সাক্ষ্য শ্রবণ করুন এবং আপাততঃ পঞ্চাশটি মাসআলা নমুনা স্বরূপ দেখুন। -তরীক্বে মুহাম্মাদী (করাচী-৬; মাকতাবা মুহাম্মাদীয়া, তাবি) পৃঃ ১৩৬-১৫৪।
[4]. আল-ইমামাতু ওয়াস সিয়াসাহ ১/২৩১ পৃঃ ১৮ লাইন ليس فى الإسلام شهادة ولكنها الندباء
[5]. সাপ্তাহিক ‘আল ই’তিছাম’ লাহোর, ৩৫ বর্ষ, ২৬ সংখ্যা, ৩৭ বর্ষ ১১ সংখ্যা; ‘আল-ইসলাম’ ১৩ বর্ষ ২৩ সংখ্যা।
[6]. মাজাল্লা আহলে হাদীছ (হরিয়ানা, ভারত) ২১ জুলাই সংখ্যা ১৯৮৫ ইং।
[7]. সাপ্তাহিক ‘আল-ই‘তিছাম’ লাহোর ৩৭ বর্ষ ১৮শ সংখ্যা, ১৩পৃঃ ২৯শে নভেম্বর ১৯৮৫ ইং।
[8]. মাওলানা আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদী একে ‘খারেজী’ আন্দোলন বলেছেন। মাওলানা হোসায়েন আহমাদ মাদানী, মাওলানা আহমদ আলী সাহারানপুরী, মাওলানা আতাউল্লাহ শাহ বুখারী একে ‘হানাফী’ বলে স্বীকার করেননি। দেখুন মাসিক তর্জুমানুল হাদীছ, ঢাকা (অধুনালুপ্ত) ৭ম বর্ষ ১৪৭-৪৮ পৃঃ।
[9]. ঢাকা, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ৩১ শে জানুয়ারী ১৯৮৬।
[10]. হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ, মিসরী ছাপা, ১/১২৮ পৃঃ।