অন্ধ অহমিকাবোধ:
এই দর্শন মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে ফেলেছে এবং এর অনুসারীদের মধ্যে এক অন্ধ অহমিকাবোধের জন্ম দিয়েছে। এই দর্শন চৌদ্দশ’ বছর পরে এসে নিজেকে ইসলামের প্রকৃত ভাষ্যকার গণ্য করেছে এবং যারা এর অনুসারী হবে না তাদেরকে ‘ইহুদী’ হবার দুর্ভাগ্য বরণ করতে হবে বলে ধমকি দিয়েছে। যেমন বলা হয়েছে-
اس قسم كى ايك دعوت كا جيسى كه همارى يه دعوت ھے كسى مسلمان قوم كـے اندر اٹهنا اس كو ايك بڑى سخت ازمائش ميں ڈال ديناھے ...ياتو اس كا ساتهـ دے اور اس خدمت كو انجام دينـے كيلئے اٹه كهڑى هو جو امت مسلمه كى پيدائش كى ايك هى غرض ھے، يا نهين تو اسے رد كر كـے وهى پوزيشن اختيار كرلـے جو اس سـے پهلے يهودى قوم اختيار كر چكى ھے- ايسى صورت ميں ان دو راهوں كے سوا كسى تيسرى راه كى گنجائش اس قوم كيلۓ باقى نهى رهتى-
‘এই ধরনের একটি দাওয়াত যেমন আমাদের এই দাওয়াত, যখন কোন মুসলিম কওমের নিকট পেশ করা হয়, তখন তাদেরকে তা একটি কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয়। ... হয় এর সঙ্গে যোগ দিয়ে এর খিদমতে নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে, যে জন্যে মুসলিম উম্মাহ্কে সৃষ্টি করা হয়েছে, নতুবা দাওয়াত প্রত্যাখান করে সেই অবস্থা এখতিয়ার করবে, যে অবস্থা অর্জন করেছিল (নবীর যুগে) ইহুদীগণ। এক্ষণে এই দু’টি পথ ব্যতীত মুসলিম উম্মাহর জন্য অন্য কোন পথ আর খোলা থাকে না’।[1]
সকলেই জানেন যে, ইরানের বাহাঈ ফের্কার প্রতিষ্ঠাতা বাহাউল্লাহ ঈরানী এবং পাঞ্জাবের কাদিয়ানী ফের্কার প্রতিষ্ঠাতা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীও এক সময় মুসলিম উম্মাহ্কে এই ধরনের ধমকি শুনিয়েছিলেন। এখন পাক-ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের উপর এই ধমকি নাযিল হয়েছে। জানি না তারা তা কবুল করে এই দর্শনের অনুসারী দলটির নিকট থেকে পূর্ণাঙ্গ মুমিন হবার সার্টিফিকেট নিবেন, নাকি কবুল না করে ইহুদী হবার অভিশাপ কুড়াবেন? [2][1]. রোয়েদাদ (দিল্লী-৬; মারকাযী মাকতাবা ইসলামী, ৩য় সংস্করণ ১৯৮৩) ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ।
[2]. নভেম্বর ‘৮৫তে উক্ত দর্শনের অনুসারী রাবি-র পদার্থ বিদ্যার জনৈক ছাত্র (বর্তমানে একটি কলেজের শিক্ষক) দীন লেখককে লেখা এক পত্রে অত্যন্ত দরদের সঙ্গে বলেছিলেন ‘দো‘আ করি মৃত্যুর পূর্বে আপনি মুসলিম হয়ে মরুন।’