কুল দ্বীন ও ইক্বামতে দ্বীন-এর ব্যাখ্যা:
কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ‘কুল দ্বীন’ ও ‘ইক্বামতে দ্বীন’-এর সঠিক ব্যাখ্যা এই হ’তে পারে যে, যিনি জীবনের যে শাখায় কাজ করবেন, তিনি সেই শাখায় দ্বীনের হেদায়াত মেনে চলবেন। যিনি ব্যবসায়ী হবেন তিনি স্বীয় ব্যবসা ক্ষেত্রে ‘ইক্বামতে দ্বীন’ করবেন। অর্থাৎ শরী‘আতের সীমারেখার মধ্যে থেকে তিনি ব্যবসা করবেন। যিনি রাজনীতিক হবেন তিনি নিজে শরী‘আতের বিধান মেনে রাজনীতি করবেন এবং রাষ্ট্রীয় আইনে শরী‘আতের বিধান বলবৎ করার চেষ্টা করবেন। যিনি চাকুরী করবেন তিনিও সেখানে দ্বীনের হেদায়াত মেনে চলবেন। যিনি বিদ্বান হবেন, তিনি তাঁর বিদ্যাবুদ্ধিকে অন্যান্য মতাদর্শের উপরে ইসলামকে বিজয়ী করার পিছনে ব্যয় করবেন। মোটকথা আল্লাহ পাক দুনিয়ার এ সংসার আবাদ করার জন্য যাকে যে কাজের যোগ্য করে পাঠিয়েছেন, তিনি সে কাজে অবশ্যই সাধ্যপক্ষে আল্লাহর আইন মেনে চলবেন। একেই বলে ‘ইক্বামতে দ্বীন’ বা দ্বীন প্রতিষ্ঠা। আর এভাবেই অন্যান্য দ্বীনের উপরে ইসলাম বিজয়ী হ’তে পারে। অতঃপর মানব জীবনের আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক সকল ক্ষেত্রে অভ্রান্ত হেদায়াত মওজূদ থাকার কারণে ইসলাম অবশ্যই একটি ‘কুল দ্বীন’ বা পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান যা অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা ইসলাম ব্যতীত কোন ধর্মই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নয়।