নয়টি প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন-৯ : আমাদের উপরে কুরআনুল কারীমের তাফসীর কিভাবে করা ওয়াজিব?

উত্তর : আল্লাহ পাক কুরআনুল কারীম নাযিল করেছেন তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের) কল্বের উপরে, মানুষকে কুফর ও মূর্খতার অন্ধকার থেকে ইসলামের আলোর পথে বের করে আনার জন্য। যেমন আল্লাহ বলেন,

الر،كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيْزِ الْحَمِيْدِ- (إبراهيم ১-২)-

(১) ‘আলিফ-লাম-রা’ (২) এই কিতাব যাকে আমরা আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বের করে আনেন, তাদের পালনকর্তার নির্দেশ মতে, মহা পরাক্রান্ত ও মহা প্রশংসিতের পথের দিকে’ (ইবরাহীম ১৪/১-২)

অতঃপর আল্লাহ তাঁর রাসূলকে কুরআনের বিষয়বস্ত্ত সমূহের ব্যাখ্যাকারী, খোলাছাকারী ও স্পষ্টকারী বানিয়েছেন। যেমন তিনি বলেন, وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ-  ‘আর আমরা আপনার প্রতি স্মরণিকা নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষকে ব্যাখ্যা করে দেন যা তাদের উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহল ১৬/৪৪)

অতঃপর ‘সুন্নাহ’ এসেছে কুরআনের বিষয়বস্ত্তকে খোলাছাকারী ও ব্যাখ্যাকারী হিসাবে। যেটা আল্লাহর নিকট থেকে ‘অহি’ হিসাবে এসেছে। যেমন আল্লাহ বলেন, وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى- إِنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُّوْحَى-  ‘তিনি খেয়াল-খুশীমত কথা বলেন না।’ ‘এটি কিছুই নয় অহি ব্যতীত যা তাঁর নিকটে করা হয়’ (নাজম ৫৩/৩-৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

أَلاَ إِنِّىْ أُوْتِيْتُ الْقُرْانَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ، أَلاَ يُوْشِكُ رَجُلٌ شَبْعَانُ عَلَى أَرِيْكَتِهِ يَقُوْلُ: عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ، فَمَا وَجَدْتُّمْ فِيْهِ مِنْ حَلاَلٍ فَأَحِلُّوْهُ وَمَا وَجَدْتُّمْ فِيْهِ مِنْ حَرَامٍ فَحَرِّمُوْهُ، وَإنَّ مَاحَرَّمَ رَسُوْلُ اللهِ كَمَا حَرَّمَ اللهُ- رواه ابو داؤد-

‘শুনে রাখ, আমি কুরআন প্রাপ্ত হয়েছি এবং তার সাথে তারই মত আরেকটি বস্ত্ত। সাবধান! সত্বর কিছু আরামপ্রিয় লোককে দেখা যাবে, যারা পালংকের উপর ঠেস দিয়ে বলবে, তোমাদের জন্য এই কুরআনই যথেষ্ট। এখানে তোমরা যা হালাল পাও, তাকে হালাল মনে কর। আর যা হারাম পাও, তাকে হারাম মনে কর। অথচ নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল যা হারাম করেন, তা অনুরূপ যেমন আল্লাহ হারাম করেন’।[1]

এক্ষণে কুরআন তাফসীর করার জন্য প্রথম যে বস্ত্ত প্রয়োজন, তাহ’ল ‘সুন্নাহ’। আর তা হ’ল, রাসূলের কথা, কর্ম ও মৌন সম্মতি সমূহ। এরপরে বিদ্বানগণের ব্যাখ্যা। আর এঁদের শীর্ষে রয়েছেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ। যাদের মধ্যে অগ্রগণ্য হ’লেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)। এর কারণ একদিকে তিনি ছিলেন রাসূলের প্রথম যুগের সাথী। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে কুরআন বুঝা ও তার তাফসীরের ব্যাপারে তাঁর বিশেষ আগ্রহের কারণে। এরপর হ’লেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস, যাঁর সম্পর্কে ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, إنه ترجمانُ القران  ‘তিনি হ’লেন কুরআনের মুখপাত্র’। অতঃপর যেকোন ছাহাবী, যার থেকে কোন আয়াতের তাফসীর প্রমাণিত হয়েছে এবং সে বিষয়ে ছাহাবীগণের মধ্যে কোন মতভেদ নেই, আমরা খুশীর সাথে এবং আত্মসমর্পণ ও কবুল করার মন নিয়ে ঐ তাফসীর বরণ করে নেব। আর যদি সেটা না পাওয়া যায়, আমাদের উপরে তখন ওয়াজিব হবে তাবেঈগণের ব্যাখ্যা গ্রহণ করা। যারা আল্লাহর রাসূলের ছাহাবীগণের কাছ থেকে তাফসীর শিক্ষা করেছেন। যেমন সাঈদ ইবনে জুবায়ের, ত্বাঊস প্রমুখ। যাঁরা বিভিন্ন ছাহাবী বিশেষ করে ইবনু আববাস (রাঃ)-এর কাছ থেকে তাফসীর শিক্ষায় প্রসিদ্ধি অর্জন করেছেন।

দুঃখের বিষয়, কোন কোন আয়াতের তাফসীর নিজস্ব রায় ও মাযহাব অনুযায়ী করা হয়েছে। যে বিষয়ে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) থেকে সরাসরি কোন ব্যাখ্যা আসেনি। পরবর্তী যুগের কিছু বিদ্বান ঐসব আয়াতের তাফসীর নিজ নিজ মাযহাবের সমর্থনে করেছেন। যা অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। অথচ তাফসীরবিদগণ উক্ত মাযহাবের বিপরীত তাফসীর করেছেন।

আমরা এখানে উদাহরণ স্বরূপ একটি আয়াতের তাফসীর উল্লেখ করতে পারি। যেমন আল্লাহ বলেন, فَاقْرَؤُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ  ‘তোমরা কুরআন থেকে যা সহজ মনে কর, তা পাঠ কর’ (মুযযাম্মিল ৭৩/২০)। কোন একটি মাযহাবে এর তাফসীর করা হয়েছে স্রেফ কুরআন পাঠ হিসাবে। অর্থাৎ প্রত্যেক ছালাতে ওয়াজিব হ’ল কুরআন থেকে কিছু অংশ পাঠ করা। যা হবে একটি দীর্ঘ আয়াত অথবা তিনটি ছোট আয়াত। তারা এটা বলেছেন, রাসূলের এ ছহীহ হাদীছ থাকা সত্ত্বেও যে, لاَصَلَوةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ  ‘ছালাত হয় না ঐ ব্যক্তির, যে সূরা ফাতেহা পাঠ করে না’।[2] অন্য হাদীছে

এসেছে, مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيْهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهِىَ خِدَاجٌ فَهِىَ خِدَاجٌ فَهِىَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ-   ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ- অসম্পূর্ণ।[3]

বর্ণিত আয়াতটির তাফসীরে এ দু’টি হাদীছকে প্রত্যাখ্যান করার যুক্তি হিসাবে বলা হয় যে, উক্ত আয়াতে স্রেফ কুরআন পাঠের কথা বলা হয়েছে। তাদের নিকটে মুতাওয়াতির হাদীছ ব্যতীত কুরআনের ব্যাখ্যা জায়েয নয়। অর্থাৎ মুতাওয়াতিরের তাফসীর মুতাওয়াতির ভিন্ন করা যাবে না। ফলে তারা উপরোক্ত দু’টি হাদীছকে প্রত্যাখ্যান করেছেন নিজেদের রায় অথবা মাযহাবের ভিত্তিতে কৃত উক্ত আয়াতের তাফসীরের উপরে নির্ভর করার কারণে।

অথচ প্রথম দিকের ও পরবর্তীকালের সকল তাফসীর বিশেষজ্ঞ বিদ্বান উক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন যে, فَاقْرَءُوْا اي فَصَلُّوْا مَا تَيَسَّرَ لَكُمْ مِنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ  ‘তোমরা পাঠ কর’ অর্থ ‘তোমরা ছালাত আদায় কর তোমাদের সহজমত রাত্রির ছালাত’। কেননা মহান আল্লাহ এই আয়াতটি বর্ণনা করেছেন নিম্নোক্ত আয়াতের সাথে সম্পর্কিত করে,

إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُوْمُ أَدْنَى مِنْ ثُلُثَىِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهُ وَثُلُثَهُ وَطَائِفَةٌ مِّنَ الَّذِيْنَ مَعَكَ وَاللهِ يُقَدِّرُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارِ، إِلَى أَنْ قَالَ: فَاقْرَءُوْا مَاتَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْانِ-

অনুবাদ: নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা জানেন যে, আপনি ও আপনার সাথী একটি দল রাত্রিতে ছালাতে দন্ডায়মান হন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বা অর্ধাংশ বা এক তৃতীয়াংশ ব্যাপী। আর আল্লাহ রাত্রি ও দিবসের পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকেন’। এখান থেকে বর্ণিত আয়াতাংশ পর্যন্ত فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنَ   অর্থাৎ فَصَلُّوْا مَاتَيَسَّرَ لَكُمْ مِنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ  ‘অতএব তোমরা ছালাত আদায় কর তোমাদের সহজ মত রাত্রির (নফল) ছালাত’। বিশেষ করে রাত্রির ছালাতে মুছল্লীর জন্য ক্বিরাআতের পরিমাণ কতটুকু হবে, আয়াতটি সে বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। বরং আল্লাহ এর দ্বারা উম্মতের জন্য সহজ করে দিয়েছেন যেন তারা তাদের সহজ মত সময় ধরে রাত্রির ছালাত আদায় করে। তাদের উপরে ওয়াজিব নয় এগারো রাক‘আত পড়া, যা আপনারা জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পড়তেন।

বস্ত্ততঃ এটাই হ’ল আয়াতের অর্থ। আর এটাই হ’ল আরবী ভাষারীতি যে, অংশের দ্বারা সমষ্টির অর্থ নেওয়া হয়ে থাকে।[4]

অতএব আল্লাহর বাণী فَاقْرَءُوْا  ‘পাঠ কর’ অর্থ فَصَلُّوْا  ‘ছালাত আদায় কর’। এখানে ‘ছালাত’  (الصلاة)  হ’ল ‘সমষ্টি’  (الكل)  এবং ‘ক্বিরাআত’  (القراءة)  হ’ল ‘অংশ’  (الجزء)। যেমন অন্যত্র আল্লাহ বলেন, أَقِمِ الصَّلاَةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ إِلَى غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ  ‘তুমি ছালাত কায়েম কর সূর্য ঢলে পড়া হ’তে রাত্রির প্রথম অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফজরের কুরআন’ (বনু ইস্রাঈল ১৭/৭৮)। এখানে ‘ফজরের কুরআন’  (قُرْآنَ الْفَجْرِ)  অর্থ ‘ফজরের ছালাত’  (صلاة الفجر)। এখানে অংশ বর্ণনা করে সমষ্টি বুঝানো হয়েছে। আরবী ভাষার এ বাকরীতি খুবই পরিচিত।

অতএব আলোচ্য আয়াতের তাফসীর প্রকাশিত হওয়ার পর, যে তাফসীরে বিগত ও পরবর্তী যুগের কোন তাফসীরবিদের মধ্যে মতভেদ নেই, প্রথম ও দ্বিতীয় হাদীছটি স্রেফ ‘আহাদ’[5] হওয়ার দাবী তুলে প্রত্যাখ্যান করা সিদ্ধ নয়, এ যুক্তিতে যে, ‘আহাদ’ পর্যায়ের হাদীছ দ্বারা কুরআনের তাফসীর করা জায়েয নয়। কেননা বর্ণিত আয়াতটি তাফসীর করা হয়েছে কুরআনের ভাষা সম্পর্কে গভীর তত্ত্ব জ্ঞানের অধিকারী বিদ্বানগণের বক্তব্য সমূহের মাধ্যমে- এটা হ’ল প্রথম কথা। দ্বিতীয় এজন্য যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাদীছ কুরআনের বিরোধী নয়; বরং তা কুরআনকে ব্যাখ্যা করে ও স্পষ্ট করে। যা আমরা এই আলোচনার শুরুতে উল্লেখ করেছি। অতএব এটা কিভাবে বলা যেতে পারে? অথচ আয়াতের সঙ্গে এ বিষয়ের কোন সম্পর্কই নেই যে, মুসলমানের জন্য তার ছালাতে চাই তা ফরয হৌক বা নফল হৌক, কতটুকু ক্বিরাআত করা ওয়াজিব হবে।

এক্ষণে উপরে বর্ণিত দু’টি হাদীছের বিষয়বস্ত্ত পরিষ্কার যে, মুছল্লীর ছালাত শুদ্ধ হবে না সূরা ফাতেহা পাঠ করা ব্যতীত। হাদীছ দু’টি হ’ল, (১) لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ  ‘ছালাত হয় না যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পাঠ করে না’ (২) مَنْ

 صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيْهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهِىَ خِدَاجٌ فَهِىَ خِدَاجٌ فَهِىَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ-  ‘যে ব্যক্তি ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ’, অপূর্ণাঙ্গ। অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ  (وهى ناقصة)। এমতাবস্থায় যে ব্যক্তি ত্রুটিপূর্ণভাবে ছালাত শেষ করল, সে ছালাত আদায় করল না। ঐ ছালাত তার বাতিল হ’ল। যা প্রথম হাদীছটি থেকে পরিষ্কার বুঝা যায়।

এই প্রকৃত অবস্থা যখন আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল, তখন আমাদের নিশ্চিন্ত মনে রাসূলের হাদীছ সমূহের দিকে ফিরে যাওয়া উচিত, প্রথমতঃ যা হাদীছের কিতাবসমূহে বর্ণিত হয়েছে এবং দ্বিতীয়তঃ যা বিশুদ্ধ সূত্র সমূহে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে নতুন নতুন থিওরী বের করে আমরা অহেতুক সন্দেহবাদ আরোপ করব না, যেরূপ এ যামানায় করা হচ্ছে। আর তা হ’ল যেমন কেউ বলেন, ‘আহকাম’ বিষয় ব্যতীত ‘আক্বীদা’ বিষয়ে আমরা ‘আহাদ’ পর্যায়ের হাদীছের পরোয়া করি না। ‘আহাদ’ হাদীছের উপরে আক্বায়েদের ভিত্তি হ’তে পারে না। এভাবেই তারা কল্পনা করে থাকেন। অথচ আমরা জানি যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আহলে কিতাব (ইহুদী-নাছারাদের) নিকটে মু‘আয (রাঃ)-কে পাঠিয়েছিলেন তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য’।[6] অথচ তিনি ছিলেন একক ব্যক্তি।

‘কুরআনুল কারীমের তাফসীর কিভাবে করা আমাদের উপরে ওয়াজিব’ এ বিষয়ের জন্য পূর্বোক্ত আলোচনাই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।

وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمد وآله وصحبه والتابعين لهم بإحسان إلى يوم الدين، والحمد لله رب العالمين-

‘আল্লাহ শান্তি ও সমৃদ্ধি নাযিল করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহাবীগণের উপর এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁদের অনুসারী হবেন তাদের সকলের উপর। সকল প্রশংসা বিশ্ব চরাচরের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য’।

›š

سبحانك اللهم وبحمدك أشهد أن لا إله إلا انت استغفرك وأتوب إليك- اللهم اغفرلى ولوالدىّ وللمؤمنين يوم الحساب-

 



[1]. আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৬৩‘ঈমান’ অধ্যায় ‘কিতাব ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ

[2]. ছহীহুল জামে‘ হা/৭৩৮৯মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২; ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ

[3]. ছিফাতুছ ছালাত পৃঃ ৯৭মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩

[4]. যেমন আল্লাহ বলেন, يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ  ‘যেদিন মানুষ প্রত্যক্ষ করবে তার দু’হাত যা অগ্রিম প্রেরণ করেছে’ (নাবা ৭৮/৪০)। এখানে দু’হাত বলে ‘ব্যক্তি’কে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ দেহের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে দেহধারী ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে।  -অনুবাদক]

[5]. ‘আহাদ’ ঐ হাদীছকে বলে যার বর্ণনাকারীর সংখ্যা এক বা দু’জন। যেমন হযরত ওমর (রাঃ) বর্ণিত প্রসিদ্ধ হাদীছ ‘সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল’। -অনুবাদক।

[6]. বুখারী হা/১৪৫৮; মুসলিম হা/১৯; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৭৭২ ‘যাকাত’ অধ্যায়।