জিহাদ ও কিতাল

দণ্ডবিধি প্রয়োগ

ইসলামী হুদূদ বা দণ্ডবিধি সমূহ যে কেউ প্রয়োগ করতে পারে না। বরং এজন্য সর্বোচ্চ বৈধ কর্তৃপক্ষ থাকতে হবে। আর তা হ’ল শারঈ আদালতের অভিজ্ঞ ও আল্লাহভীরু মুসলিম বিচারপতিগণ। যারা ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী ফায়ছালা দিবেন এবং দেশের শাসক তা কার্যকর করবেন। যদি কোন দেশে মুসলমানদের এরূপ কোন বৈধ শাসক না থাকে, তাহ’লে স্রেফ আমর বিল মা‘রূফ ও নাহি ‘আনিল মুনকার-এর দাওয়াতই যথেষ্ট হবে। কেননা এটাই মুসলিম উম্মাহর প্রধান দায়িত্ব (আলে ইমরান ৩/১১০)। এতদ্ব্যতীত অন্যভাবে একে অপরের উপর উক্ত দন্ডবিধি প্রয়োগের কোন অবকাশ নেই। তাতে সমাজে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণ বেশী হবে। সর্বোপরি ইসলাম থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিবে।

ইবনুল ‘আরাবী বলেন, মাল-সম্পদ ও অন্যান্য দাবী-দাওয়ার বিচার-ফায়ছালা অন্যেরা করতে পারে। কিন্তু দন্ডবিধি কার্যকর করার অধিকার কেবল শাসনকর্তার।[1]

অমুসলিম বা ধর্মনিরপেক্ষ দেশসমূহে মুসলিমদের ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী শাসন ও বিচার ব্যবস্থার জন্য পৃথক ইসলামী শারী‘আহ কাউন্সিল ও শারঈ আদালত থাকা আবশ্যক। যাতে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকে এবং তাদের মধ্যে বঞ্চনার ক্ষোভ ধূমায়িত না হয়।


[1]. কুরতুবী, মায়েদাহ ৪১ আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য, ৬/১৭১ পৃঃ।