জিহাদ ও কিতাল
কাফের গণ্য করার ফল
উল্লেখ্য যে, কাফির ঘোষণা করা কেবল সরকারের বিরুদ্ধে নয়, যেকোন মুসলিমের বিরুদ্ধেও হতে পারে। আর কাফির গণ্য করে তাদের রক্ত ও ধন-সম্পদ যদি হালাল করা হয়, তাহলে মুসলিম উম্মাহ্র ঘরে-ঘরে বিপর্যয় নেমে আসবে। যেমন বাপকে ‘কাফের’ গণ্য করা হ’লে মায়ের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হবে। সন্তান পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। এমনকি তার জন্য পিতার রক্ত হালাল হবে। একই অবস্থা হবে ভাই ভাইয়ের ক্ষেত্রে, স্বামী ও স্ত্রীর ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের ক্ষেত্রে। আর যদি এটা কোন সরকারের বিরুদ্ধে হয়, তাহ’লে সেটা আরও কঠিন হবে এবং সারা দেশে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে। নিরপরাধ নারী-শিশু ও সাধারণ নির্দোষ মানুষ সরকারী জেল-যুলুম ও নির্যাতনের অসহায় শিকারে পরিণত হবে, যা আজকাল বিভিন্ন দেশে হচ্ছে।
কিছু লোক বোমা মেরে দ্বীন কায়েম করতে চায়। তারা অমুসলিমের চাইতে মুসলিম নেতাদের হত্যা করাকে বেশী অগ্রাধিকার দেয়। তাদের যুক্তি ‘রাহেগী মাক্ষী উসতক, যাবতাক রাহেগী নাজাসাত’ (‘মাছি অতক্ষণ থাকবে, যতক্ষণ দুর্গন্ধ থাকবে’)। অথচ শয়তান যেহেতু আছে, দুর্গন্ধ থাকবেই, মাছিও থাকবে। তবে মুমিন-কাফির যেই-ই হৌক নিরস্ত্র ও নিরপরাধ কোন মানুষকে হত্যা করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ইসলামী আদালত বা দায়িত্বশীল বৈধ কর্তৃপক্ষ ব্যতীত কেউ কাউকে হত্যাযোগ্য আসামী সাব্যস্ত করতে পারে না। অথচ স্বেচ্ছাচারী কিছু চরমপন্থীর জন্য আজ নির্দোষ মুসলিম নর-নারী নিজ দেশে ও প্রবাসে ধিকৃত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন।