জিহাদ ও কিতাল
মানুষ হত্যার পরিণাম
আল্লাহ বলেন, مَنْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا، ‘যে কেউ জীবনের বদলে জীবন অথবা জনপদে অনর্থ সৃষ্টি করা ব্যতীত কাউকে হত্যা করে, সে যেন সকল মানুষকে হত্যা করে। আর যে ব্যক্তি কারু জীবন রক্ষা করে, সে যেন সকল মানুষের জীবন রক্ষা করে’ (মায়েদাহ ৫/৩২)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, وَالَّذِىْ نَفْسِى بِيَدِهِ لَقَتْلُ مُؤْمِنٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ مِنْ زَوَالِ الدُّنْيَا ‘যাঁর হাতে আমার জীবন নিহিত তাঁর কসম করে বলছি, একজন মুমিনকে হত্যা করা অবশ্যই আল্লাহ্র নিকটে দুনিয়া লয় হয়ে যাওয়ার চাইতে অধিক ভয়ংকর’।[1] অন্য বর্ণনায় এসেছে, لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عِنْدَ اللهِ مِنْ قَتْلِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ ‘একজন মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যা করার চাইতে দুনিয়া লয় হয়ে যাওয়া আল্লাহ্র নিকট অধিক হালকা বিষয়’।[2] এর অর্থ এটা নয় যে, কাফেরকে হত্যা করায় নেকী আছে। সেটা হ’লে রাসূল (ছাঃ) শীর্ষ কাফের নেতা আবু সুফিয়ানকে মক্কা বিজয়ের আগের রাতে নিরস্ত্র অবস্থায় ধরা পড়ার পরেও তাকে কেন হত্যা করেননি? বরং তিনি তাকে মুসলিম হওয়ার সুযোগ দেন। পরদিন মক্কা বিজয়ের পর প্রদত্ত ভাষণে তিনি সকল কাফির-মুশরিককে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং রক্তপাতকে স্থায়ীভাবে হারাম করে দেন।[3] ফলে সবাই ইসলাম কবুল করে ধন্য হয়।[1]. নাসাঈ হা/৩৯৮৬; আলবানী, ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩৬১।
[2]. নাসাঈ হা/৩৯৮৭; তিরমিযী হা/১৩৯৫; মিশকাত হা/৩৪৬২ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়।
[3]. সীরাতে ইবনে হিশাম (মিসর : বাবী হালবী, ২য় সংস্করণ ১৩৭৫/১৯৫৫) ২/৪০৩, ৪১৫; ছফিউর রহমান মুবারকপুরী, আর-রাহীক্বুল মাখতূম (কুয়েত : ২য় সংস্করণ ১৪১৬/১৯৯৬) ৪০৫, ৪০৭ পৃঃ; বুখারী হা/১০৪; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৭২৬।