‘যান্নী’-এর ব্যাখ্যা (شرح الظني)
খ্রিষ্টান প্রাচ্যবিদগণ ও তাদের অনুসারী মুসলিম পন্ডিতগণ হাদীছ শাস্ত্রের গভীরে প্রবেশ না করার ফলে ‘যান্ন’ (ظن )-এর ব্যাখ্যায় দারুণভাবে ভ্রান্তিতে পড়েছেন। তাঁরা ‘যান্নী’-এর আভিধানিক অর্থ ‘ধারণা নির্ভর’ হিসাবে ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন। অথচ প্রকৃত অর্থ তা নয়।
উর্দূতে ‘যান্ন’ কল্পনা বা ধারণা অর্থে ব্যবহৃত হ’লেও আরবীতে বিনা কারণে উক্ত অর্থে ব্যবহৃত হয় না। যেমন ভাষাবিদ রাগেব ইসফাহানী বলেন,
الظَّنُّ: اِسْمٌ لِمَا يَحْصُلُ عَنْ أَمَارَةٍ، وَمَتَىَ قَوِيَتْ أَدَّتْ إِِلَى الْعِلْمِ، وَمَتَى ضَعُفَتْ جِدًّا لَمْ يَتَجَاوَزْ حَدَّ التَّوَهُّمِ -
‘যে জ্ঞান নির্দশনসমূহের মাধ্যমে অর্জিত হয়, তাকে ‘যান্ন’ বলা হয়। নিদর্শন ও প্রমাণাদি যখন শক্তিশালী হয়, তখন তা ইল্ম বা দৃঢ় বিশ্বাস অর্থে উপনীত হয়। আর যখন নিদর্শন ও প্রমাণাদি খুবই দুর্বল হয়, তখন তা ধারণার সীমা অতিত্রুম করে না’ (মুফরাদাত)। কুরআনে উপরোক্ত দুই অর্থেই ‘যান্ন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন-
(১) ‘দৃঢ় বিশ্বাস’ (الظن في معني اليقين) অর্থে। যেমন-
(ক) আল্লাহ বলেন, الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلاَقُوْا رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
‘(ঈমানদার তারাই, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে যে, নিশ্চয়ই তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাত লাভ করবে এবং তারা তাঁরই নিকটে ফিরে যাবে’ (বাক্বারাহ ২/৪৬)।
(খ) পাপীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,وَرَأَى الْمُجْرِمُونَ النَّارَ فَظَنُّوا أَنَّهُمْ مُوَاقِعُوهَا وَلَمْ يَجِدُوا عَنْهَا مَصْرِفًا ‘অপরাধীরা আগুন দেখে দৃঢ়ভাবে বুঝবে যে, তারা সেখানে পতিত হচ্ছে এবং তারা ওখান থেকে কোন পরিত্রাণস্থল পাবে না’ (কাহফ ১৮/৫৩)।
(গ) অতঃপর জান্নাতীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘ডানহাতে আমলনামা পাওয়ার পর খুশীতে তারা বলে উঠবে, هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ، إِنِّي ظَنَنْتُ أَنِّي مُلاَقٍ حِسَابِيَهْ ‘এই নাও! আমার আমলনামা, তোমরা পড়ে দেখ’। ‘আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখতাম যে, আমাকে অবশ্যই হিসাবের সম্মুখীন হ’তে হবে’ (হা-ক্কাহ ৬৯/২০)।
(ঘ) জিনেরা কুরআন শুনে বলেছিল, وَأَنَّا ظَنَنَّا أَنْ لَنْ نُعْجِزَ اللهَ فِي الْأَرْضِ وَلَنْ نُعْجِزَهُ هَرَبًا- ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমরা কখনোই পৃথিবীতে আল্লাহকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পালিয়ে গিয়েও তাঁকে ব্যর্থ করতে পারব না’ (জিন্ন ৭১/১২)।
(২) ‘ধারণা’ (الظن في معني الخرص) অর্থে। যেমন-
(ক) আল্লাহ বলেন, إِنْ يَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلاَّ يَخْرُصُونَ ‘অধিকাংশ লোক ধারণার অনুসরণ করে এবং তারা কেবল অনুমান ভিত্তিক কথা বলে’ (আন‘আম ৬/১১৬)।
(খ) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَمَا لَهُمْ بِهِ مِنْ عِلْمٍ إِنْ يَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا ‘(ফেরেশতা) বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল ধারণার অনুসরণ করে। অথচ সত্যের মুকাবিলায় ধারণার কোন মূল্য নেই’ (নাজ্ম ৫৩/২৮)।
মুহাদ্দিছ বিদ্বানগণ হাদীছকে যে ‘যান্ন’ বলেছেন, তার অর্থ হ’ল প্রথমোক্ত ‘যান্ন’। তার অর্থ কখনোই শেষোক্ত ‘যান্ন’ বা নিছক ধারণা ও কল্পনা নয়।
ইসলামী শরী‘আতে প্রথমোক্ত ‘যান্ন’-এর গুরুত্ব অপরিসীম। চুরি, মদ্যপান ব্যভিচার, হত্যাকান্ড প্রভৃতি অপরাধের বিচার ও শাস্তি বিধানের জন্য আদালতের বিচারক বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ‘নিশ্চত ধারণা’য় উপনীত হওয়ার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ ও সূক্ষ্ম তদন্তের পর আসামীর ব্যাপারে ধারণা নিশ্চিত হ’লেই তবে তাকে দন্ড প্রদান করা হয়। ফলে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের সর্বযুগের তাবৎ বিচার ব্যবস্থাই নির্ভর করছে ধারণার উপরে। নিশ্চিত ধারণার ভিত্তিতেই মানুষের জেল-ফাঁস হয়ে থাকে।
ইসলাম উক্ত রূপ ‘নিশ্চিত ও প্রমাণসিদ্ধ ধারণা’-কে শুধু সমর্থনই দেয়নি, বরং গুরুত্ব দিয়েছে। যেমন মৃত্যুকালীন অছিয়তের সময় দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী রাখার নির্দেশ দানের পর কুরআনে বলা হচ্ছে, ‘যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে উভয়কে ছালাতের পরে থাকতে বলবে। তারপর উভয়ে আল্লাহর নামে শপথ করবে যে, আমরা এই সাক্ষ্যের মাধ্যমে কোনরূপ স্বার্থ হাছিল করব না, যদিও তার নিকটাত্মীয় হয় এবং তারা বলবে যে, আমরা গোনাহ করব না, (যদি করি, তাহ’লে) সে অবস্থায় আমরা গোনাহগারদের অন্তর্ভুক্ত হব’। ‘অতঃপর যদি জানা যায় যে, উক্ত দু’জন সাক্ষী কোন পাপে লিপ্ত হয়েছে (অর্থাৎ মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে), তাহ’লে অন্য দু’জন তাদের স্থলে দাঁড়িয়ে যাবে এবং দু’জনে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে যে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই ঐ দু’জনের সাক্ষ্য অপেক্ষা সত্য এবং আমরা সীমালংঘনকারী নই। (যদি হই) তাহ’লে সেক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিতভাবে যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হ’য়ে যাব’ (মায়েদাহ ৫/১০৬-১০৭)।
উক্ত আয়াতে সাক্ষ্য মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ব্যক্ত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সাক্ষ্য ‘যান্ন’ বা ধারণা নির্ভর প্রমাণিত হয়েছে। তথাপি পুনরায় সঠিক সাক্ষ্যের মাধ্যমেই বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে বিবাহের সাক্ষী, চুরির সাক্ষী, ব্যভিচারের সাক্ষী, হত্যাকান্ডের সাক্ষী প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষীদের সাক্ষ্যের উপরেই নির্ভর করতে বলা হয়েছে। যদিও সাক্ষ্যের মাধ্যে সত্য-মিথ্যার আশংকা বিদ্যমান থাকে। বিচারক চূড়ান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিশ্চিত সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করবেন, এটাই সর্বদা কাম্য থাকে এবং বাদী-বিবাদী সকলেই উক্ত ‘রায়’ মেনে নেন ও সেমতে ফাঁসির দড়ির নীচে আসামী নিজের গলা বাড়িয়ে দেন। একইভাবে চিকিৎসক তাঁর সর্বোচ্চ ধারণার ভিত্তিতেই রোগ নির্ণয় করেন ও ঔষধ নির্বাচন করেন বা রোগীর অস্ত্রোপচার করেন। রোগী নির্বিবাদে তা মেনে নেন এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা জেনেও বন্ড লিখে দিয়ে ডাক্তারের অস্ত্রোপচারের টেবিলে নিজেকে সমর্পণ করে দেন।
হাদীছের বিশুদ্ধতা প্রমাণের ক্ষেত্রেও মুহাদ্দিছ বিদ্বানগণ চিকিৎসক ও বিচারকের ন্যায় চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কেবল বর্ণনাকারীকে নয় বরং সনদ, মতন ও আনুষঙ্গিক সকল বিষয় যাচাই করেই তাঁরা হাদীছটি সত্য সত্যই রাসূল (ছাঃ)-এর কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত ধারণা লাভে সচেষ্ট হন। যেসব হাদীছের ক্ষেত্রে তাঁরা নিশ্চিত হন, সেগুলি ‘ছহীহ’ সাব্যস্ত হয়। আর যেগুলিতে নিশ্চিত হতে পারেন না, সেগুলি ‘যঈফ’ সাব্যস্ত হয়। বর্ণনাকারীর সংখ্যা সর্বস্তরে অগণিত হলে এবং তাতে মিথ্যার কোন অবকাশ না থাকলে এবং সেগুলি সর্বযুগে অবিরত ধারায় বর্ণিত ও গৃহীত হ’লে সেগুলিকে ‘মুতাওয়াতির’ (متواتر) বলা হয়। পক্ষান্তরে বর্ণনাকারী একজন বা একাধিক হ’লে তাকে ‘আহাদ’ (آحاد) বলা হয়।
ইবনু হাযম আন্দালুসী (রহঃ) বলেন,
القسم الثاني من الأخبار ما نقله الواحد عن الواحد فهذا إذا اتصل برواية العدول إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وجب العمل به ووجب العلم بصحته أيضا-
‘যদি একজন সত্যনিষ্ঠ রাবী আরেকজন সত্যনিষ্ঠ রাবী থেকে বর্ণনা করেন এবং এভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন সনদ বা বর্ণনাসূত্র পাওয়া যায়, তবে তার উপরে আমল ওয়াজিব হবে এবং তাকে বিশুদ্ধ জানাও ওয়াজিব হবে’। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত রয়েছে এবং ইমাম আবু হানীফা, মালেক, শাফেঈ, আহমাদ, দাঊদ প্রমুখ বিদ্বানগণ থেকেও একই কথা প্রমাণিত হয়েছে’।
তিনি বলেন, পরবর্তী যুগের কিছু লোক ‘খবরে ওয়াহেদ’ (خبر واحد) সম্পর্কে সন্দেহবাদ আরোপ করতে চেয়েছেন। অথচ তারা বলে থাকেন যে, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন, যা সূরায়ে মায়েদাহ ৩ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে এবং আল্লাহ নিজেই কুরআন ও হাদীছের হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন, যা সূরা হিজ্র ৯ ও ক্বিয়ামাহ ১৬-১৯ আয়াতসূমহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এক্ষণে আধুনিক চিন্তাবিদগণের ধারণা মতে উক্ত পূর্ণাঙ্গ দ্বীনে যদি সন্দেহ সৃষ্টি করা হয় এবং তাতে সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত হয়ে যায় ও তা পার্থক্য করার সুযোগ না থাকে, তাহ’লে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ ও সর্বশেষ দ্বীন কিভাবে হবে? বরং উক্ত সন্দেহবাদ আরোপের মাধ্যমে দ্বীনের সুদৃঢ় ইমারতকে ধ্বংস করা হবে। অতএব এটাই নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত সত্য কথা যে, ন্যায়নিষ্ঠ রাবীদের মাধ্যমে বর্ণিত হাদীছ অকাট্ট ও বিশুদ্ধ এবং তার উপরে দৃঢ় বিশ্বাস ও আমল দু’টিই ওয়াজিব’।[1]
মাওলানা মওদূদী ‘মুতাওয়াতির’ হাদীছগুলিকে ‘ইয়াক্বীনী’ (يقينى) বা নিশ্চিত বিশ্বাসযোগ্য বলেছেন। কিন্তু ‘আহাদ’ হাদীছগুলিকে বিশ্বাসযোগ্য বলেননি। এখানে গিয়ে তিনি মুজতাহিদগণের রায় ও তাদের ব্যক্তিগত রুচিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অথচ অল্প সংখ্যক ‘মুতাওয়াতির’ হাদীছ ব্যতীত ইসলামী শরী‘আতের বিশাল ভান্ডারের প্রায় সবটুকুই নির্ভর করে ‘আহাদ’ পর্যায়ের হাদীছসমূহের উপরে। ফলে ‘খবরে ওয়াহেদ’ পর্যায়ের হাদীছসমূহকে সন্দেহ বা অবিশ্বাস করার অর্থ পুরো ইসলামী শরী‘আতকে অবিশ্বাস করা। জানিনা সুন্নাহকে বাদ দিয়ে এঁরা ইসলামের নামে দেশে কিসের হুকুমত প্রতিষ্ঠা করবেন!
মূলতঃ ‘আহাদ’ পর্যায়ের হাদীছসমূহে যদি সত্যতা ও নিশ্চয়তার প্রমাণাদি মওজূদ থাকে, বিদ্বানগণ তা কবুল করে থাকেন এবং খোদ সংকলক যদি হাদীছের বিশুদ্ধতার অপরিহার্যতাকে নিজের জন্য শর্ত করে থাকেন, তবে ঐ হাদীছ নিঃসন্দেহে কবুলযোগ্য। চাই সেটা আক্বীদা বিষয়ে হৌক বা আহকাম বিষয়ে হৌক। যেমন বুখারী-মুসলিম সংকলিত ও হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) বর্ণিত বিখ্যাত হাদীছ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ ‘নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের উপরে নির্ভরশীল’(মুসলিম)। হাদীছটির একমাত্র রাবী ওমর (রাঃ) এবং এটি ‘খবরে ওয়াহেদ’ পর্যায়ের হাদীছ। হাদীছটি উম্মতের সকল বিদ্বান কবুল করে নিয়েছেন এবং এর বিশুদ্ধতার ব্যাপারে সংকলক মুহাদ্দিছগণ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। অনুরূপভাবে ছাদাক্বাতুল ফিৎর ফরয হওয়ার হাদীছ, ফরয গোসলের হাদীছ প্রভৃতি খবরে ওয়াহেদের অন্তর্ভুক্ত।
ইবনু হাযম (রহঃ) বলেন, মূলতঃ ১ম শতাব্দী হিজরী পর্যন্ত আহলুস সুন্নাহ, খারেজী, শী‘আ,ক্বাদারিয়া সকলে ‘খবরে ওয়াহেদ’ পর্যায়ের হাদীছকে বিনা বাক্য ব্যয়ে কবুল করতেন। কিন্তু দ্বিতীয় শতাব্দীতে এসে মু‘তাযিলা দার্শনিকগণ ইজমায়ে উম্মতের বিরোধিতা করে এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন ও বিতর্কে লিপ্ত হন’।[2]
পরবর্তীকালে এদের কূটতর্কে বিভ্রান্ত হয়েছেন বহু বিদ্বান এবং সেই সুযোগ গ্রহণ করেছেন প্রাচ্যবিদ খ্রিষ্টান পন্ডিতগণ। আবার তাদেরই যুক্তিবাদের ধূম্রজালে আটকা পড়েছেন বহু আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদ। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন -আমীন![1]. ইসমাঈল সালাফী, হুজ্জিয়াতে হাদীছ (লাহোর ১৪০১ হিঃ/১৯৮১ খৃঃ) পৃঃ ১১৬-১১৭, গৃহীত : আল-ইহকাম ১/১০৮, ১১৪, ১২৩, ১২৪।
[2]. হুজ্জিয়াতে হাদীছ পৃঃ ১১২, গৃহীত : আল-ইহকাম ১/১১৪।