মহাকবি আল্লামা ইকবাল ও জনৈক পীর ছাহেব
বর্তমান ভারতের হায়দরাবাদ রাজ্যের হোসিয়ারপুরে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলনে মহাকবি আল্লামা ইকবাল (মৃঃ ১৯৩৮) একবার অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ভারতবর্ষের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যাঁদের মধ্যে জনৈক পীর ছাহেব হাযির ছিলেন। তাঁকে দেখে জনৈক মুরীদ এসে ৫/= নযরানা পেশ করে তার জন্য দো‘আর আবেদন করেন। যাতে তার ৫০/= ঋণ থেকে আল্লাহ সত্বর মুক্ত করেন। সেই যামানায় এই টাকার যথেষ্ট মূল্য ছিল। যাইহোক পীর ছাহেবের আবেদনক্রমে তাঁর সাথে উপস্থিত সকলে হাত উঠিয়ে দো‘আয় শরীক হ’লেন। কিন্তু আল্লামা ইকবাল শরীক হ’লেন না। দো‘আ শেষে পীর ছাহেবের প্রশ্নের জওয়াবে ইকবাল বললেন, ‘দো‘আ চাওয়ার পূর্বে লোকটি ৫০/= টাকা ঋণী ছিল। এখন আপনার কাছে দো‘আ চাইতে গিয়ে সে ৫৫/= টাকা ঋণগ্রস্ত হ’ল। তাই আমি আবার দো‘আ করে তার ঋণের পরিমাণ বাড়াতে চাইনি’।
এর দ্বারা তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, শুধু দো‘আ নয়, বরং সবাই মিলে অর্থ সাহায্য করে লোকটিকে ঋণমুক্ত করাই ছিল ইসলামী নীতি। তাছাড়া নযরানার নামে ৫/= ঘুষ নিয়ে দো‘আ করলে ঐ দো‘আ নিঃস্বার্থ হয় না এবং তা আল্লাহ কবুল করেন না।
শিক্ষা : সাধারণ মানুষের পকেট ছাফ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ভন্ড পীর-ফকীর থেকে সাবধান!