গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান

মহাকবি আল্লামা ইকবাল ও জনৈক ভিক্ষুক

একবার আল্লামা ইকবাল জনৈক ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেন। লোকটি যাবার সময় তাঁকে দো‘আ করল এই মর্মে যে, ‘মৃত্যুর পরে আপনার আত্মা যেন মহান পরমাত্মার দয়ার সাগরে মিশে যায়’। ইকবাল তাকে ডেকে বললেন, ‘বরং তুমি এই দো‘আ কর যে, ইকবালের আত্মা যেন বৃষ্টি বিন্দুর ন্যায় মহাসাগরে বিলীন না হয়ে তার উপরে মুক্তার ন্যায় ভেসে থাকে’।

এর দ্বারা মহাকবি আল্লামা ইকবাল (রহঃ) মা‘রেফতী ছূফীদের প্রচারিত ভ্রান্ত অদ্বৈতবাদী আক্বীদার প্রতিবাদ করেছেন। যারা বলে যে, ‘সকল সৃষ্টিই সৃষ্টিকর্তার অংশ। আহাদ ও আহমাদের মধ্যে মীমের একটি পর্দা ব্যতীত কোন পার্থক্য নেই। যত কল্লা তত আল্লা। তিনি নিরাকার। তিনি সবার মধ্যে সর্বত্র বিরাজমান’। অথচ প্রকৃত আক্বীদা হ’ল এই যে, সৃষ্টি ও সৃষ্টা সম্পূর্ণ পৃথক দু’টি সত্তা। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আনুগত্য ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হ’তে পারে। কিন্তু সে আল্লাহর সত্তায় বিলীন হয়ে যায় না। আল্লাহ নিজ সত্তা নিয়ে আসমানের উপরে আরশে সমুন্নত। কিন্তু তাঁর ইল্ম ও কুদরত সর্বত্র বিরাজমান।

শিক্ষা : আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ পরকালে মুক্তির সোপান। পক্ষান্তরে বিভ্রান্ত আক্বীদা মানুষকে পথভ্রষ্ট করে দেয় এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেয়।