আমল বিষয়ে
এখন আমি আহলেহাদীছগণের ‘আমালিয়াত’ অর্থাৎ ব্যবহারগত কার্যকলাপ সম্বন্ধেও সংক্ষেপে কিছু পরিচয় দেওয়া অপ্রাসঙ্গিক হইবে না মনে করিয়া ছালাত সংক্রান্ত দুই চারিটি মাসআলার পরিচয় দিয়া এই অধ্যায়ের উপসংহার করিব বলিয়া স্থির করিয়াছি। যেহেতু ছালাতই মুসলমানের নাজাতের পথ মুক্ত করিতে পারে। আর আমাদের অন্তরের গুপ্ত ও দুষিত মনোভাবটা প্রায়ই প্রকাশ পায় এই ছালাত পড়িবার সময়ই। অথচ আমাদের ছালাত আল্লাহর প্রিয় হইতেছে কি-না সে বিচার না করিয়া মোহাম্মাদীগণের ছালাত কেমন হইতেছে না হইতেছে তাহা লইয়াই আমাদের যত মাথা ব্যথা।
আসুন পাঠক! আমরা এ সম্বন্ধে একবার ধীর-স্থিরভাবে আলোচনা করিয়া দেখি। তাহার পূর্বে আমি আপনাদের খেদমতে আমাদের অতীব গৌরব ও অশেষ ভক্তিভাজন ছাহাবীগণের সেই স্বর্ণযুগের একটি সত্য ঘটনা উপহার দিয়াই উক্ত আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি, যাহা দ্বারা মোহাম্মাদীগণের ছালাতের সনাতন পদ্ধতি জনসাধারণের মধ্যে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হইয়া উঠিবে। ঘটনাটি নিম্নরূপ :
(১) দশ জন ছাহাবায়ে কেরামের একটি পবিত্র মাহফিল, তন্মধ্যের আবু হোমায়েদ সা‘এদী (রাঃ) নামক ছাহাবী বলিতেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত কেমন ছিল তা আপনাদের হইতে আমিই ভাল জানি। ইহা শ্রবণে একজন জালীলুল কদর ছাহাবী বলিয়া উঠিলেন, আপনি এরূপ দাবী করিতে পারেন কেমন করিয়া? অথচ আপনি না আমাদের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন না আমাদের হইতে অধিক হযরতের সংসর্গ লাভ করিয়াছেন? আচ্ছা বলুনতো! আমাদের প্রিয় হযরত কিভাবে ছালাত পড়াইতেন। এতদশ্রবণে হযরত হোমায়েদ (রাঃ) তখন প্রিয় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের বাস্তব চিত্র দেখাইতে লাগিলেন এবং উক্ত ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) উহা নীরবে ও সাগ্রহে দেখিয়া যাইতে লাগিলেন। চলুন পাঠক! আমরাও উক্ত পবিত্র মাহফিলে যোগদান করতঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রদর্শিত ছালাত নীরবে দেখিয়া লই এবং বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিয়া যাই যে, সেই স্বর্ণযুগের একজন নিষ্কাম সাধক, প্রিয় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পাঠশালার সত্যসেবী ছাত্র, প্রিয় হযরতের শিখানো আল্লাহপ্রিয় ছালাতের কিরূপ চিত্র অংকন করিতেছেন।
ঐ দেখুন পাঠক! হযরত হোমায়েদ (রাঃ) ছালাত শুরু করিবার কালে প্রথম তাকবীর বলিবার সময়, রুকূতে যাইবার সময় ও রুকূ হইতে মাথা উঠাইবার সময় এবং দুই রাক‘আত সমাপ্তির পর তৃতীয় রাক‘আতের জন্য দাঁড়াইবার সময় ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করিতেছেন এবং এক রাক‘আতের পর দ্বিতীয় রাক‘আতের জন্য দাঁড়াইবার পূর্বে স্বল্প সময় বসিয়া লইতেছেন অর্থাৎ জালসায়ে এস্তেরাহাত করিতেছেন এবং শেষ রাক‘আত যাহাতে সালাম ফিরাইতে হয়, নিজের বাম পা ডান পায়ের নিম্ন দিয়া ডান পার্শ্বে বাহির করিয়া দিয়া বাম নিতম্বের উপর সুস্থির ভাবে বসিতেছেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দিয়া ইশারা করিয়া যাইতেছেন। ইহা দর্শনে বুযর্গ ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) সকলেই হোমায়েদ (রাঃ)-এর প্রদর্শিত ছালাত সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করতঃ বলিতেছেন, ‘ছদাকতা’ আপনি সত্যই বলিয়াছেন। প্রিয় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সদাসর্বদা এইভাবেই ছালাত আদায় করিতেন।[1]
মোহাম্মাদী আহলেহাদীছগণ ঠিক এইভাবেই চিরদিন নিজেদের ছালাত সম্পন্ন করিয়া আসিতেছেন। যাহা আমরা দেখিলাম। অন্ততঃ দশজন আমাদের প্রিয় হযরতের পাঠশালায় সনাতন শিক্ষার নিষ্কাম ছাত্র বিনা বাক্য ব্যয়ে এবং নিঃসংশয়ে সমর্থন করিতেছেন। এই বর্ণনায় আমরা স্পষ্টই বুঝিলাম যে, মোহাম্মাদীগণ মনগড়া যা-তা একটা পন্থা অবলম্বন পূর্বক তাহাদের ছালাত আদায় করিতেছেন না, বরং হযরত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর শিখান সেই স্বর্ণযুগের জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবায়ে কেরামের সনাতন পদ্ধতি অবলম্বনে নিজেদের ছালাত সুসম্পন্ন করিয়া আসিতেছেন। যদিও এই বিংশ শতাব্দীতে আমাদের ন্যায় হাদীছ অনভিজ্ঞ দুর্বল ঈমানদার মুসলমানের নিকটে এরূপ ছালাত নিতান্ত অপ্রিয়।
(২) ওয়ায়েল বিন হুজ্র (রাঃ) প্রমুখাৎ ছহীহ সনদে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় দক্ষিণ হস্ত বাম হস্তের উপর রাখিয়া বুকের উপর বাঁধিয়া ছালাত পড়িতেন।[2] মোহাম্মাদীগণও প্রিয় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর এই আচরণ সভক্তি বক্ষে ধারণ পূর্বক ঠিক এইরূপেই বুকে হাত বাঁধিয়া ছালাত পড়িয়া থাকেন। (৩) আহমাদ, তিরমিযী প্রভৃতিতে ওবাদা বিন ছামেত (রাঃ) হইতে ‘হাসান’ সনদে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মোক্তাদিগণকে বলিতেছেন যে, ‘তোমরা ইমামের পশ্চাতে সূরায়ে ফাতেহা ব্যতীত আর কিছুই পড়িবে না। কেননা যে ব্যক্তি উহা পড়িবে না, তাহার ছালাত হইবে না’।[3] মোহাম্মাদীগণ অত্র হাদীছ অবলম্বনে ইমামের পশ্চাতে সকল সময় সূরায়ে ফাতেহা পাঠ করিয়া থাকেন।
(৪) বোখারী, মুসলিম, আবুদাঊদ, দারেমী, ইবনে মাজা প্রভৃতিতে হযরত আবু হুরায়রা ও হযরত ওয়ায়েল বিন হুজ্র (রাঃ) হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় ছালাতে উচ্চকণ্ঠে ‘আমীন’ বলিতেন এবং স্বীয় ছাহাবীগণকে ‘আমীন’ বলিবার নির্দেশ দিতেন।[4] তাঁহার এই নির্দেশ পালনার্থে ও প্রিয় রাসূল (ছাঃ)-এর আমলের অনুসরণ পূর্বক মোহাম্মাদীগণ কোন দ্বিধা না করিয়া ঠিক ঐরূপ উচ্চকণ্ঠে ‘আমীন’ বলিয়া থাকেন।
(৫) ছহীহ বুখারী সহ ছেহাহ সেত্তার অধিকাংশ গ্রন্থে হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) হইতে ছহীহ সনদে বর্ণিত হইয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন ছালাত শুরু করিতেন এবং রুকুতে যাইতেন, রুকু হইতে মাথা উঠাইতেন ও তৃতীয় রাক‘আতে উঠিয়া দাঁড়াইতেন, তখন রাফ‘উল ইয়াদায়েন করিতেন।[5] মোহাম্মাদীগণও ঠিক ঐরূপে স্বীয় ছালাতে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করিয়া থাকেন।
প্রিয় পাঠক! আহলেহাদীছগণের ছালাতের মাসআলা কয়টি যাহা বর্ণিত হইল- আসুন উহা লইয়াও আমরা একবার স্থির ভাবে আলোচনা করিয়া দেখি। আমরা দেখিলাম যে, তাহারা ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করেন, বুকের উপর হাত বাঁধেন, ইমামের পশ্চাতে সূরায়ে ফাতেহা পাঠ করিয়া থাকেন। এখন দেখিতে হইবে যে, এইগুলি তাহারা ন্যায় করিতেছেন, না অন্যায়। যদি ন্যায় হয়, তবে তো আমাদের বলিবার কিছুই নাই। আর যদি আমরা উহা করিনা এবং আমাদের চক্ষে ভাল লাগেনা বলিয়াই অন্যায় বলি, তবে আমাদিগকে ঈমান ও জ্ঞানচক্ষু দিয়া দেখিতে হইবে যে, বাস্তবিক উহা অন্যায় কি-না। আমরা দেখিলাম, আমাদের প্রিয় রাসূল (ছাঃ) উপরোক্ত নিয়মেই আমৃত্যু ছালাত পড়িয়া গিয়াছেন এবং স্বীয় ভক্তপ্রাণ ছাহাবীদিগকেও ঠিক ঐরূপে ছালাত পড়িবার অছিয়ত করিয়া গিয়াছেন। যদি তাহাতে আমরা সন্তুষ্ট হইতে না পারি, তবে আমরা ইচ্ছা করিলে দেখিতে পাইব যে, আমাদের মাথার মণি প্রাতঃস্মরণীয় ও স্বনামখ্যাত ইমাম চতুষ্টয়ের মধ্যে অধিকাংশ ইমাম উপরোক্ত নিয়মে ছালাত পড়িয়া গিয়াছেন ও তাঁহাদের অনুসারী ও অনুগামীগণও তাঁহাদের নির্দেশমতে ঠিক ঐভাবেই আজ পর্যন্ত ছালাত পড়িয়া আসিতেছেন। তাহাতেও যদি সন্তুষ্ট হইতে না পারি, তবে আসুন আমাদের হানাফী মাযহাবের সর্বজনমান্য বিশ্বস্ত কেতাবগুলি একবার আলোচনা করিয়া দেখি।
ঐ দেখুন! আমাদের প্রসিদ্ধ কেতাব দোররে মোখতারের ১ম খন্ড ৫৬ পৃষ্ঠায় লিখিত
আছে যে, ‘কোন হানাফী মুছল্লী যদি শাফেঈ মুছল্লীর ন্যায় সশব্দে আমীন বলিয়া, রাফ‘উল ইয়াদায়েন করিয়া ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতেহা পড়িয়া স্বীয় ছালাত সম্পন্ন করেন এবং কোন শাফেঈ মুছল্লী যদি হানাফী মুছল্লীর ন্যায় স্বীয় ছালাত সমাধা করেন, তবে কাহাকেও বাধা দেওয়া যাইবে না। উভয়ের ছালাত শরী‘আত মতে সঙ্গত ও মকবুল হইবে’। প্রিয় পাঠক! বিচার করুন, ছালাতের মধ্যকার উক্ত কার্যগুলি যথা: রাফ‘উল ইয়াদায়েন করা, সশব্দে আমীন বলা ইত্যাদি যদি অন্যায় ও শরী‘আত বিগর্হিত হইত, তবে উক্ত হানাফী মুছল্লীর ছালাত মকবুল হইল কেমন করিয়া?
অতএব প্রমাণিত হইল যে, উক্ত কার্যগুলি অন্যায় বা দোষের নহে। সুতরাং মোহাম্মাদীরা ঐ কাজগুলি মোটেই অন্যায় করিতেছেন না। আর যদি অন্যায় বলা হয়, তবে আমাদের মাযহাবী দলের অধিকাংশ শ্রদ্ধেয় ইমামকেও ইহার জন্য দোষী হইতে হইবে সর্বাগ্রে (না‘ঊযুবিল্লাহে মিন যালেক)। যেহেতু তাঁহারাও উহা প্রিয় রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নত জ্ঞানে সাদরে গ্রহণ পূর্বক সশ্রদ্ধ আমল করতঃ পুণ্যভাজন তো হইয়াছেনই, উপরন্তু কেয়ামতের দিন ইনশাআল্লাহ প্রিয় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর শুভাশীষ অবশ্যই প্রাপ্ত হইবেন। ইহা ব্যতীত তাপসকুলতিলক হযরত বড়পীর ছাহেব স্বীয় প্রসিদ্ধ ‘গুণিয়াতুত ত্বালেবীন’ গ্রন্থে সশব্দে আমীন, রাফ‘উল ইয়াদায়েন, সূরা ফাতেহা পাঠ ইত্যাদিকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রিয় সুন্নত বলিয়া সপ্রমাণ করিতেছেন। সুতরাং সর্বতোভাবে প্রমাণিত হইল যে, মোহাম্মাদীগণের ছালাতের মধ্যকার বর্ণিত কার্যগুলি মোটেও দোষের নহে। বরং উহাতে প্রিয় নবী (ছাঃ)-এর প্রিয় সুন্নতগুলি যথাযথভাবে পালিত হয়। এ সম্বন্ধে সবিস্তার সদলীল জানিবার বাসনা থাকিলে মৎপ্রণীত ‘আল-মাসায়েলুল আরবা‘আহ’ নামক পুস্তক খানা পাঠ করিতে অনুরোধ রইল।[6]
প্রিয় পাঠক! যে কার্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হইল, শ্রদ্ধেয় ইমামগণ যাহা সমর্থন ও পুণ্যের কার্য বলিয়া সভক্তি আমলও করিলেন, ছূফিয়ানে কেরামের অগ্রণী সর্বশ্রেষ্ঠ তাপস হযরত বড়পীর ছাহেবও যাহা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রিয় সুন্নত বলিয়া সাক্ষ্য দান করিতেছেন, জানিনা কোন বিদ্যাবুদ্ধি ও কোন গুণ-গরিমা লইয়া আমরা সেই কার্যের দোষ অনুসন্ধান করিতে যাই। ইহাতে আমাদেরই অজ্ঞতার ও শরী‘আত অনভিজ্ঞতার পরিচয় দেওয়া হয় না কি? আর জানি না ইহা লইয়া আমাদের এত মাথাব্যথা, এত মারামারি-কাটাকাটি কেন? ইহাতে তো কাহারো স্বার্থে এতটুকুও ব্যাঘাত ঘটেনা। ইহাতো নিছক আল্লাহর কাজ। আল্লাহ তুষ্ট হইলেই সব মিটিয়া গেল। এখন আল্লাহ তুষ্ট হইবেন কি-না তাহা প্রিয় রাসূল (ছাঃ) ভালই জানিতেন। আর জানিতেন বলিয়াই তো তিনি উপরোক্ত কার্যগুলি নিজে করিয়াছেন এবং স্বীয় ছাহাবীগণকে শিখাইয়া গিয়াছেন। আমরা মাঝখানে অনধিকার চর্চা করিয়া, অপ্রিয় বাক-বিতন্ডা ও আত্মবিরোধের সৃষ্টি করিতে যাই কেন? বাস্তবিক ইহা আমাদের ন্যায় আল্লাহভক্ত সমাজের পক্ষে মোটেও শোভনীয় নহে।[1]. বুখারী হা/৮২৮; আবুদাঊদ হা/৯৬৩; তিরমিযী হা/৩০৪; ইবনু মাজাহ হা/১০৬১; মিশকাত হা/৭৯২, ৮০১ ‘ছালাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ-১০।
[2]. বুলূগুল মারাম হা/২৭৫; আবুদাঊদ হা/৭৫৫; মুসনাদে আহমাদ হা/১৮৮৮৬; মিশকাত হা/৭৯৭ ইত্যাদি।
[3]. আহমাদ হা/২২৭৯৮; তিরমিযী হা/৩১১; ঐ, মিশকাত হা/৮৫৪ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২।
[4]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮২৫, তিরমিযী, আবুদাঊদ, দারেমী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৮৪৫ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২।
[5]. বুখারী হা/৭৩৯, আবুদাঊদ হা/৭৪১; ঐ, মিশকাত হা/৭৯৪ ‘ছালাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ-১০।
[6]. উক্ত চারটি মাসআলা চারটি বই আকারে পরে প্রকাশিত হয়। যথাক্রমে (১) সূরা ফাতেহা পাঠের সমস্যা সমাধান (১ম প্রকাশ ১৩৬৪ বাং)। (২) সশব্দে আমীন সমস্যা সমাধান (১৩৬৫ বাং)। (৩ ও ৪) রাফ‘উল ইয়াদায়েন ও বুকের উপর হাত সমস্যা সমাধান (১৩৬৯ বাং)। -প্রকাশক।