আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?

প্রশ্নোত্তর (اَلْأَسْئِلَةُ وَالْأَجْوِبَةُ)

১নং প্রশ্ন : ইসলামী আন্দোলন না বলে আহলেহাদীছ আন্দোলন বলার পিছনে যুক্তি কী?

উত্তর : ইসলামী আন্দোলন একটি ব্যাপক অর্থবোধক পরিভাষা। শী‘আ, সুন্নী, শিরকী, বিদ‘আতী সকল মত ও পথের মুসলমান ইসলামী আন্দোলনের নামে যে কোন দলে শরীক হ’তে পারেন। কিন্তু ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ একটি বিশেষ অর্থবোধক পরিভাষা। যেখানে শিরক ও বিদ‘আত বর্জিত প্রকৃত তাওহীদপন্থী মুসলমানই কেবল অংশগ্রহণ করতে পারেন। দ্বিতীয়তঃ আহলেহাদীছ আন্দোলনে মানব রচিত মতবাদের অনুসারী রায়পন্থী কোন মুসলমানের অংশগ্রহণের অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসারী ব্যক্তিই কেবল আহলেহাদীছ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাই আহলেহাদীছ আন্দোলনকেই প্রকৃত প্রস্তাবে নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

২নং প্রশ্ন : সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বিপরীতে আহলেহাদীছ-এর নামে আন্দোলন চালানো বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যে ফাটল ধরানোর নামান্তর নয় কি?

উত্তর : দেশে ঐক্যের শ্লোগান আছে। কিন্তু বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য বলে বাস্তবে কিছুই নেই। এর কারণ যারা ঐক্যের কথা বলেন, তারা বৃহত্তর ঐক্যের কোন গ্রহণযোগ্য ভিত্তি দিতে পারেননি। ফলে ইসলামী আন্দোলনের নামে এবং বিভিন্ন মাযহাব ও তরীক্বার নামে দেশে অসংখ্য ইসলামী দলের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রাজনীতির নামে অসংখ্য দল ও উপদল। অথচ এগুলিকে কেউ ফাটল বলেন না। বরং বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে এগুলির প্রশংসাই করা হয়। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ সকল দল মতের মুসলমানকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সিদ্ধান্তকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার একটিমাত্র শর্তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহবান জানিয়েছে। তাই আহলেহাদীছ আন্দোলনকেই ‘বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যের’ একমাত্র প্লাটফরম বলা যেতে পারে- যেখানে সুস্পষ্টভাবে মুসলিম ঐক্যের একটি সর্বজনগ্রাহ্য ভিত্তি পেশ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হ’ল এই যে, সংখ্যা কখনই সত্যের মাপকাঠি নয়। মুসলমানকে সংখ্যাপূজারী হ’তে পবিত্র কুরআনে নিষেধ করা হয়েছে (আন‘আম ১১৬)। বরং স্যখ্যায় কম-বেশী যাই-ই হৌক, সর্বাবস্থায় হক্ব-এর অনুসরণে তাকে আপোষহীন থাকতে হয়। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকেই মুসলমানগণ অভ্রান্ত সত্যের একমাত্র মানদন্ড বলে বিশ্বাস করেন। আহলেহাদীছ আন্দোলন সেই বিশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করতে চায় মাত্র। অধিকাংশ লোক চিরকাল হক্ব-এর দা‘ওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে, আজও করবে। তাই বলে কি সংখ্যাগুরুর নিন্দাবাদের ভয়ে সংখ্যালঘু সত্যসেবীগণ হক্ব-এর দা‘ওয়াত পরিত্যাগ করে বাতিলের মিছিলে হারিয়ে যাবেন? অতএব বৃহত্তর ইস্যুতে বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়টি দেখার সাথে সাথে পবিত্র কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী হক্বপন্থীদের সাথে জামা‘আতবদ্ধ হওয়ার (তাওবাহ ৯/১১৯) বিষয়টিও স্মরণে রাখতে হবে।

৩নং প্রশ্ন : আহলেহাদীছ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব কি? যদি না হয়, তাহ’লে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে জীবন গড়ার যে দাবী আহলেহাদীছগণ করে থাকেন, তা কিভাবে     বাস্তবায়িত হবে?

উত্তর : কাউকে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদান সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে। বিভিন্ন মাযহাব সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীর সকল মুসলিম অঞ্চলে এমনকি ৩৭৫ হিজরী পর্যন্ত ভারতবর্ষের তৎকালীন ইসলামী রাজধানী সিন্ধুর মানছূরাহ্তেও আহলেহাদীছগণ রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। ৮ম ও ৯ম শতাব্দী হিজরীতে আহলেহাদীছগণ দক্ষিণ ভারতের গুজরাট ও দাক্ষিণাত্যের শাসনদন্ড পরিচালনা করেছেন। পুনরায় যে আল্লাহ পাক তাদের হাতে সে ক্ষমতা দিবেন না, এই নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? স্মর্তব্য যে, আমাদের উপরে ফরয হ’ল, দ্বীনের দা‘ওয়াত দেওয়া এবং তাকে সর্বত্র বিজয়ী করার চেষ্টা করা। অবশ্য দা‘ওয়াত কবুল হ’লে তার বিনিময়ে আল্লাহপাক স্বীয় দ্বীনকে যেকোন উপায়ে শাসন ক্ষমতায় বসাতে পারেন।

৪নং প্রশ্ন : রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যতীত ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সেজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদীনায় হিজরত করে প্রথমে রাষ্ট্র কায়েম করেন। অতঃপর ইসলাম কায়েম করেন।

উত্তর : কথাটি বাস্তবসম্মত নয়। ইসলাম মানুষের জন্য স্বভাবধর্ম। তা কখনোই রাষ্ট্র ক্ষমতার সঙ্গে শর্তযুক্ত নয়। তবে তা নিঃসন্দেহে সহায়ক শক্তি। মুসলমান সর্বাবস্থায় সে চেষ্টা করে যাবে।

দ্বিতীয়তঃ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যতীত কুরআন-হাদীছ অনুযায়ী জীবন গড়া অসম্ভব-এই ধারণাটাই বা সার্বিকভাবে কতটুকু বাস্তব সম্মত? ইসলামের ফৌজদারী ও অর্থনৈতিক আইনের কতগুলি মৌলিক ধারা যেমন খুনের বদলে খুন, চোরের হাত কাটা, ব্যভিচারীর দন্ড প্রদান, সূদী লেনদেন সরকারীভাবে বন্ধ করা প্রভৃতি বিষয়গুলি বাস্তবায়নের জন্য অবশ্য রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োজন। যে কোন মুসলিম শাসকই এগুলি করতে বাধ্য। না করলে তিনি এজন্য আল্লাহর নিকট দায়ী হবেন। সাধারণ মুসলমানগণ ও ইসলামী সংগঠনসমূহ শাসন কর্তৃপক্ষকে সংশোধনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং নিজেরা সাধ্যমত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী জীবন যাপনের চেষ্টা করবেন। জনমত পক্ষে এনে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী বিধান জারি করতে সচেষ্ট হবেন। সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম বিশ্বজনীন ধর্ম। ইসলামী রাষ্ট্র থাক বা না থাক, সংখ্যাগুরু হৌক বা সংখ্যালঘু হৌক সকল অবস্থায় সকল দেশে মুসলমানকে ইসলাম অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। এজন্য সর্বত্র ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক পূর্বশর্ত নয় এবং তা কখোনা সম্ভবও নয়। আল্লাহ পাক কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেননি (বাক্বারা ২৮৬)। তাছাড়া উচ্চাভিলাষী ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীকে আল্লাহ পসন্দ করেন না’ (ক্বাছাছ ২৮/৮৩)

তৃতীয়তঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস’। পক্ষান্তরে ইসলামী রাজনীতিতে ‘আল্লাহ্ই সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস’। বাংলাদেশী রাজনীতিতে ‘দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ই চূড়ান্ত’। ইসলামী রাজনীতিতে ‘অহি’-র বিধানই চূড়ান্ত’। দুঃখের বিষয়, এদেশে যারা এমনকি ইসলামী আন্দোলনের নামে রাজনীতি করে থাকেন, তারাও বৃটিশ প্রবর্তিত গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী ‘অধিকাংশের রায়ই চূড়ান্ত’-এই মতবাদে বিশ্বাসী। আর সে কারণেই তারা সোচ্চার কণ্ঠে ঘোষণা করে থাকেন যে, ‘দেশে যে মাযহাবের লোকংখ্যা বেশী সে মাযহাব অনুযায়ী সেখানে শাসন ব্যবস্থা হওয়াই স্বাভাবিক’[1] হক্ব-নাহক্ব কোন ব্যাপার নয়, সংখ্যায় বেশী হ’লেই হ’ল। অথচ আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম ইসলামের নামে অর্জিত সুন্নী প্রধান পাকিস্তানের পথম গভর্ণর জেনারেল মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ ও প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান হ’লেন শী‘আ এবং আইনমন্ত্রী যাফরুল্লাহ খান হ’লেন অমুসলিম ক্বাদিয়ানী। আল্লাহর ইচ্ছা তো এভাবেই কার্যকর হয়।

চতুর্থতঃ আজকাল ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে জোট করাকে রাসূলের ‘হোদায়বিয়ার সন্ধি’-র সঙ্গে তুলনা করছেন, অথচ  রাসূল (ছাঃ) সেদিন তাগূতী কোন বিধানের সঙ্গে আপোষ করেননি। কেবল নিজের নামের শেষে ‘রাসূলুল্লাহ’ শব্দটি কেটে দিয়ে সন্ধি করেছিলেন। অথচ ইসলামী নেতাগণ সরকারের পার্টনার হয়ে অসংখ্য ত্বাগূতী বিধানের সাথে আপোষ করে ভবিষ্যতের জন্য ইসলামী আন্দোলনের পথকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছেন। এর ফলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপরে তোহমত দেওয়া হচ্ছে মাত্র।

বলা বাহুল্য, প্রচলিত এই শিরকী রাজনীতির সঙ্গে আপোষ নয়; বরং জনমত পরিবর্তনের মাধ্যমে একে পরিবর্তন করাই হ’ল প্রকৃত অর্থে ইসলামী রাজনীতি।

আহলেহাদীছ আন্দোলনের কর্মীগণ দু’টি বিষয়কে নিজেদের দায়িত্ব মনে করেন। ১ম : আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের মৌলিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট ওযর পেশ করা। ২য়ঃ হঠকারী বান্দাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর জন্য দলীল কায়েম করা, যেন ‘দাওয়াত পায়নি’ বলে আল্লাহর সম্মুখে তাদের কোনরূপ ওযর পেশ করার সুযোগ না থাকে।

আর দু’টি বিষয়কে তারা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর উপরে ছেড়ে দেন। তিনি চাইলে সে দু’টি তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত করবেন, চাইলে দেরীতে করবেন। একটি হ’ল, মানুষের হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়া। দ্বিতীয়টি হ’ল, তাঁর প্রেরিত দ্বীনকে পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা। উক্ত দু’টি বিষয় অর্জনের জন্য ইসলাম প্রদত্ত সমাজ বিপ্লবের রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণে জনগণের আক্বীদা ও আমলের সংস্কার সাধনে সদা সচেষ্ট থাকা যরূরী কর্তব্য বলে আমরা মনে করি। কারণ সরকার পরিবর্তনের চেয়ে নবীগণ সমাজ পরিবর্তনকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা নবীদের সেই তরীক্বায় চলতে চাই। কেননা সমাজ পরিবর্তন ব্যতীত সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। আর কোনভাবে সম্ভব হ’লেও তা সমাজে কোনরূপ স্থায়ী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয় না। যেমন সক্ষম হয়নি ভারতে প্রায় সাড়ে ছয়শো বছরের মুসলিম শাসন এবং বাংলাদেশে ১৯০ বছরের খৃষ্টান ইংরেজ শাসন।

৫নং প্রশ্ন : ইসলামী আন্দোলনের নামে যতগুলি দল কাজ করছে, তারা সবাই ঠিক। অতএব যেকোন একটি দলে যোগ দিলেই তো চলে।

উত্তর : আমরা বিশ্বাস করি কোন ব্যাপারে ‘ঠিক’ একটাই হয়, একাধিক নয়। আমরা বিশ্বাস করি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের  ফায়ছালাই একমাত্র ঠিক, বাকী সবই বেঠিক। আহলেহাদীছ আন্দোলনের কর্মীদেরকে বিশুদ্ধ ইসলামী আন্দোলন থেকে সরিয়ে ভেজাল আন্দোলনসমূহে নেওয়ার জন্যই বর্তমানে ‘এটাও ঠিক ওটাও ঠিক’-এর ধোঁকা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

৬নং প্রশ্ন : আহলেহাদীছ-এর রাজনৈতিক দর্শন কী?

উত্তর : সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সৃষ্টিকে পরিচালিত করা।

৭নং প্রশ্ন : আহলেহাদীছ-এর নিকটে দেশে আইন রচনার মূলনীতিসমূহ কী কী?

উত্তর : (১) আল্লাহ্কে সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস হিসাবে মেনে নেওয়া (২) আল্লাহর বিধানকে অভ্রান্ত সত্যের মানদন্ড হিসাবে গ্রহণ করা (৩) পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে আইন রচনার মূল ভিত্তি হিসাবে গণ্য করা (৪) অস্পষ্ট বিষয়গুলিতে পবিত্র কুরআনে, ছহীহ হাদীছ ও ইজমায়ে ছাহাবার আলোকে ‘ইজতিহাদ’ করা (৫) মুহাদ্দেছীনের মাসলাক অনুসরণের উদ্ভূত সমস্যাবলীর সমাধান করা।

৮নং প্রশ্ন : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?

উত্তর : নির্ভেজাল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করা। আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য।

৯নং প্রশ্ন : আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর কর্মপদ্ধতি কী?

উত্তর : আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর কর্মপদ্ধতি হ’ল দু’টি (১) আল্লাহর পথে দা‘ওয়াত (২) আল্লাহ বিরোধীদের সাথে জিহাদ। এই জিহাদ হবে জান, মাল, সময়, শ্রম, কথা, কলম ও সংগঠন তথা সর্বাত্মকভাবে বৈধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে। এক কথায় আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর কর্মপদ্ধতি হ’ল দু’টি : দা‘ওয়াত ও জিহাদ।

১০নং প্রশ্ন : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ কেমন সমাজ চায়?

উত্তর :  ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ চায় এমন একটি ইসলামী সমাজ যেখানে থাকবে না প্রগতির নামে কোন বিজাতীয় মতবাদ; থাকবে না ইসলামের নামে কোনরূপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ।

আল্লাহ পাক সকল মুসলিম ভাই-বোনকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!



[1]. দ্রষ্টব্য: সাপ্তাহিক সোনার বাংলা (ঢাকা) ৩১শে জানুয়ারী ১৯৮৬ প্রশ্নোত্তর আসর; অধ্যাপক গোলাম আযম, প্রশ্নোত্তর (ঢাকা: গ্রন্থমালঞ্চ ১৯৯৮) পৃঃ ১৮২।