আহলেহাদীছ : অন্যদের দৃষ্টিতে (أَهْلُ الْحَدِيْثِ عِنْدَ غَيْرِ الْمُسْلِمِ)
আহলেহাদীছগণের পরিচয় দিতে গিয়ে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্বনামধন্য পন্ডিতগণ বলেন: AHL-I-HADEETH : The followers of the prophetic traditions, who profess to hold the same view as the early Ashab-al-hadith or Ahl-al-hadith (as opposed to Ahl-al-ray). They do not hold themselves bound by “Taqlid”.... But consider themselves free to seek guidance in matters of religious faith and practices from the authentic traditions which together with the Quran are in their view the only worthy guide for the true Muslims.
The Ahle-hadith try to go back to first principles and to restore the original simplicity and purity to faith and practices. Emphasis is accordingly laid in particular on the reassertion of `Twahid' and the denial of occult powers and knowledge of the hidden things (Ilm-al-ghayb) to any of his creatures. This involves a rejection of the miraculous powers of Saints and of the exaggerated veneration paid to them. They also make every effort to eradicate customs either to innovation (bid‘a) or to Hindu or non-Islamic systems.
In all these, their reformist programme bears a striking resemblance to that of the `Wahhabis' of Arabia and as a matter of fact their adversaries often nickname them Wahhabeis.
অর্থাৎ ‘আহলেহাদীছ’ বলতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীছের অনুসারী দলকে বুঝায়। যারা প্রাথমিক যুগের আহলেহাদীছ বা আছহাবে হাদীছের ন্যায় মত পোষণ করে থাকেন (আহলুর রায়-এর বিপরীত)। যারা তাক্বলীদের বন্ধনকে স্বীকার করেন না...। বরং স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে ছহীহ হাদীছের অনুসরণ করে থাকেন। যারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছকেই একজন প্রকৃত মুসলিমের জন্য যথার্থ পথপ্রদর্শক বা worthy guide বলে মনে করেন।
আহলেহাদীছগণ ইসলামের প্রাথমিক যুগের নীতিসমূহের দিকে ফিরে যেতে চান এবং আক্বীদা ও আমলের মৌলিক সরলতা ও স্বচ্ছতাকে পুনরুদ্ধার করতে প্রচেষ্টা চালান। তারা স্রষ্টার কোন সৃষ্টিকে অলৌকিক শক্তি অথবা অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী বলে স্বীকার করেন না। সে কারণে কোন আউলিয়া বা সাধু ব্যক্তির প্রতি তারা কোনরূপ অতিভক্তি প্রদর্শন করেন না। তারা মুসলিম সমাজে সৃষ্ট কোন বিদ‘আত (ধর্মের নামে সৃষ্ট কোন নতুন বস্ত্ত) কিংবা হিন্দুয়ানী প্রথা বা অন্য যে কোন অনৈসলামী রীত-নীতি সমূলে উচ্ছেদ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। তাদের এই সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহ আরবে ওয়াহ্হাবীদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় এবং সত্য বলতে কি তাদের বিরোধীরা এ কারণেই তাদেরকে কখনো কখনো ‘ওয়াহ্হাবী’ বলে দুর্নাম করে থাকেন’।[1]