আন্দোলন অথবা ধ্বংস
(الحركة او الهلاكة)
কথা, কলম ও সংগঠন- জিহাদের এই ত্রিমুখী হাতিয়ার নিয়ে আমাদেরকে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আল্লাহ বলেন,
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنْ تَنصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ وَ يُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ-
‘হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের কদম সুদৃঢ় করবেন’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৭)। ‘আল্লাহ তার দ্বীনকে হেফাযত করবেন’ অতএব আপনার-আমার কিছুই করণীয় নেই- এই ধরনের ধোকা হ’তে দূরে থাকুন। আল্লাহ যেমন দ্বীনের মালিক, তেমনি আপনার রূযিরও মালিক। কিন্তু রূযি কামাইয়ের বেলায় তো আপনি ঘরে চুপচাপ বসে থাকেন না। বিনা প্রচেষ্টায় যদি রুযি আপনার ঘরে না আসে, তাহ’লে বিনা প্রচেষ্টায় দ্বীন কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? তীব্র স্রোতের মুখে দুর্বল বাঁধের যেমন কোন অস্তিত্ব থাকে না, সর্বব্যাপী জাহেলিয়াতের তীব্র স্রোতের মুখে হকপন্থীদের প্রতিরোধ যদি মযবুত না হয়, তাহ’লে তারাও তেমনি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তখন ঐ দায়িত্ব আল্লাহ অন্য লোকদের হাতে ন্যস্ত করবেন, আমরা মাহরূম হব। যেমন আল্লাহ বলেন,
إِلاَّ تَنْفِرُوْا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيْمًا وَّيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلاَ تَضُرُّوْهُ شَيْئًا وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ-
‘যদি তোমরা (জিহাদে) বেরিয়ে না পড়, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মান্তিক শাস্তি দিবেন এবং অন্য কওমকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। যাদেরকে তোমরা কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল বস্ত্তর উপরে কর্তৃত্বশীল (তওবা ৯/৩৯)। অতএব হয় আন্দোলন, নয় ধ্বংস, যে কোন একটি পথ বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আপনার-আমার।