জান্নাতের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়
(طريق الجنة ليس زهرىُّ)
মধু পেতে গেলে মৌমাছির কামড় সহ্য করতে হয়। গোলাপ আহরণ করতে গেলে আঙ্গুলে কাঁটা ফোটার জন্য প্রস্ত্তত থাকতে হয়। জান্নাত পেতে গেলে তেমনি কাঁটা বিছানো রাস্তায় চলতে হবে। বিলাসিতাকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হবে। সকল প্রকারের রিয়া ও অহংকার পায়ের তলে দাবাতে হবে। আল্লাহ্র ওয়াস্তে সকল কষ্ট হাসি মুখে বরণ করে নিতে হবে। আল্লাহ বলেন,
أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُم مَّسَّتْهُمُ الْبَأْسَآءُ وَالضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُواْ حَتَّى يَقُوْلَ الرَّسُوْلُ وَالَّذِيْنَ آمَنُواْ مَعَهُ مَتَى نَصْرُ اللّهِ أَلآ إِنَّ نَصْرَ اللّهِ قَرِيْبٌ-
‘তোমরা কি ভেবে নিয়েছ যে, জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ এখনও তোমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি ঐ ধরনের দুঃখ-বেদনা, যা স্পর্শ করেছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের। তাদেরকে স্পর্শ করেছিল বাইরের বিপদ ও ভিতরের কষ্টসমূহ এবং তারা ভীত-কম্পিত হয়েছিল। অবশেষে রাসূল ও তাঁর সঙ্গী ঈমানদারগণ বলতে বাধ্য হয়েছিলেন- আল্লাহ্র সাহায্য কখন আসবে! জেনে রেখ নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাহায্য অতীব নিকটবর্তী’ (বাক্বারাহ ২/২১৪)।
নবীগণ ও তাঁদের সাথীদের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহ’লে জাহেলিয়াত যখন মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে দৃঢ়ভাবে জেঁকে বসে আছে, সে অবস্থায় আমাদের মত গোনাহগারদের আরও কত গুণ বেশী কষ্ট ও মুছীবতের সম্মুখীন হ’তে হবে?