ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে ইহসান ইলাহী যহীর
১. সাবেক সঊদী গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ) বলেন, الشيخ إحسان إلهي ظهير رحمه الله معروف لدينا، وهو حسن العقيدة، وقد قرأت بعض كتبه فسرني ما تضمنته من النصح لله ولعباده والرد على خصوم الإسلام. ‘শায়খ ইহসান ইলাহী যহীর (রহঃ) আমাদের নিকট সুপরিচিত। তাঁর আক্বীদা ভাল। আমি তাঁর কতিপয় গ্রন্থ পড়েছি। আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের জন্য তাতে যে নছীহত এবং ইসলামের শত্রুদের জবাব রয়েছে, তা আমাকে আনন্দিত করেছে’। তিনি বলেন, نعم الرجل وجهوده طيبة في الدعوة إلى الله. ‘তিনি অত্যন্ত ভাল ব্যক্তি। আর আল্লাহর পথে দাওয়াতের ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়’। তিনি আরো বলেন, له مآثر جميلة، ومؤلفاة طيبة نافعة. ‘তাঁর চমৎকার কীর্তি ও উপকারী ভাল বইপত্র রয়েছে’।
২. শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন বলেন, كرس الشيخ رحمه الله جهوده في الرد على المبتدعة والذب عن السنة ونصرها. ‘শায়খ যহীর (রহঃ) বিদ‘আতীদের মত খন্ডন এবং হাদীছের প্রতিরক্ষা ও সহযোগিতায় তাঁর প্রচেষ্টা নিয়োজিত করেছিলেন’।
৩. মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর শায়খ আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ বলেন, وله جهود طيبة في الرد على أهل البدع وكشف باطلهم، وله مؤلفات كثيرة في ذلك. ‘বিদ‘আতীদের মতামত খন্ডন ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদার স্বরূপ উন্মোচনে তাঁর প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। এ বিষয়ে তাঁর অনেক বই-পুস্তকও রয়েছে’।
৪. মক্কার হারামের ইমাম শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আস-সুবাইল বলেন, فضيلة الشيخ إحسان إلهي ظهير عالم جليل وداعية بصير من علماء أهل السنة والجماعة في باكستان ومن الدعاة المشهورين هناك. ‘মাননীয় শায়খ ইহসান ইলাহী যহীর পাকিস্তানের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের সম্মানিত আলেম এবং সেখানকার দূরদর্শী ও খ্যাতিমান দাঈ’। তিনি আরো বলেন, ويتمتع بقوة في الحجة وشدة في التأثير في خطبه ومواعظه. ‘তিনি দলীল-প্রমাণের বলিষ্ঠতা এবং তাঁর বক্তৃতা ও ওয়ায-নছীহতে প্রচন্ড প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন’।[1]
৫. সঊদী সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ সদস্য শায়েখ ছালেহ বিন মুহাম্মাদ আল-লিহীদান বলেন, وليس بخاف أنه رحمه الله قد أسهم بقلمه وخطابته في مجال مكافحة البدع والمبتدعة أيما إسهام، وكان لحماسه واندفاعه في دفاعه عن العقيدة أثره في بلاد الباكستان وغيرها. ‘এটা সুস্পষ্ট যে, তিনি (রহঃ) তাঁর লেখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে বিদ‘আত ও বিদ‘আতীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে কঠিনভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আক্বীদার প্রতিরক্ষায় তাঁর উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রভাব পাকিস্তান ও অন্যত্র ছিল’।[2] তিনি আরো বলেন, فقد كان مجاهدا بلسانه وقلمه- ‘তিনি তাঁর বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে একজন মুজাহিদ ছিলেন’।
৬. শায়খ আব্দুর রহমান আল-বাররাক বলেন, اشةهر بجهاده للرافضة. ‘তিনি রাফেযীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন’।
৭. শায়খ আব্দুল্লাহ আল-গুনায়মান বলেন, قلَّ أن يوجد مثله في شجاعةه في مواجهة الباطل ورده بالأدلة المقنعة. ‘বাতিলের প্রতিরোধ ও যথোপযুক্ত দলীল দ্বারা তার জবাবদানের ক্ষেত্রে তাঁর মতো দুঃসাহসী ব্যক্তি খুব কমই পাওয়া যায়’।
৮. ড. অছিউল্লাহ মুহাম্মাদ আববাস বলেন, وله جهود جبارة في ةوجيه الشباب إلى العقيدة السلفية. ‘যুবকদেরকে সালাফী আক্বীদার দিকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে তাঁর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিল’।
৯. মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর শায়খ রবী বিন হাদী আল-মাদখালী বলেন, عرفةه مجاهدا في ميدان العقيدة. ‘আক্বীদার ময়দানে আমি তাঁকে একজন মুজাহিদ হিসাবে জেনেছি’।
১০. শায়খ আব্দুল আযীয আল-ক্বারী বলেন, إنه كان مقاتلا من الطراز الأول، لا بالسنان ولكن بالفكر والتعلم واللسان. ‘তিনি প্রথম শ্রেণীর যোদ্ধা ছিলেন। তবে বর্শা তথা অস্ত্রের মাধ্যমে নয়; বরং গবেষণা, শিক্ষাদান ও বক্তৃতার মাধ্যমে’।
১১. শায়খ মুহাম্মাদ বিন নাছির আল-উবূদী বলেন, لقد عاش الشيخ إحسان إلهي حميدا ومضى شهيدا إن شاء الله. ‘শায়খ ইহসান ইলাহী প্রশংসিত ব্যক্তিরূপে বেঁচে ছিলেন এবং ইনশাআল্লাহ শহীদ হয়েই (পরপারে) চলে গেছেন’।
১২. ড. মারযূক বিন হাইয়াস আয-যাহরানী বলেন, كان عالما ذكيا فذًّا شجاعا، حسن الأخلاق، يقول رأيه ولا يهاب العواقب. ‘তিনি অত্যন্ত মেধাবী, অনন্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সাহসী ও চরিত্রবান আলেম ছিলেন। পরিণামের ভয় না করে তিনি তাঁর মতামত ব্যক্ত করতেন’।[3]
১৩. জীবনীকার মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আশ-শায়বানী বলেন,كان شجاعا في قوله الحق، باحثا عن الحقيقة، ناصحا لأمته. ‘তিনি হক কথা বলায় সাহসী, সত্যানুসন্ধানী এবং তাঁর জাতির হিতাকাঙ্খী ছিলেন’।[4]
১৪. ড. আলী বিন মূসা আয-যাহরানী বলেন, كان صاحب خلق، وورع، وكرم، قوي الإيمان، شديد التمسك بدينه قوي في الصدع بالحق. ‘তিনি চরিত্রবান, আল্লাহভীরু, দানশীল, সুদৃঢ় ঈমানের অধিকারী, দ্বীনকে কঠিনভাবে ধারণকারী এবং হক কথা প্রচারে নির্ভীক ছিলেন’।[5]
১৫. পশ্চিম বঙ্গের ড. লোকমান সালাফী বলেন, هو الخطيب المسقع العظيم الذي لم يعرف له مثيل في تاريخ باكستان، وقد شهد له بالعظمة في هذا الشأن القاصي، والداني، والصديق، والعدو. ‘তিনি অনলবর্ষী বাগ্মী, পাকিস্তানের ইতিহাসে যার সমতুল্য কেউ দৃষ্টিগোচর হয়নি। এক্ষেত্রে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে নিকটবর্তী-দূরবর্তী এবং শত্রু-মিত্র সবাই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন’।[6] তিনি আরো বলেন,هو الكاتب البارع الفذ الذي قمع بقلمه السيال قصور الباطل، وهدم بنيان الفرق الباطلة هدما ليس بعده هدم. ‘তিনি সেই শ্রেষ্ঠ ও অনন্য লেখক, যিনি তাঁর গতিশীল লেখনীর মাধ্যমে বাতিলের রাজপ্রাসাদকে চূর্ণ করেছিলেন এবং বাতিল ফিরকাগুলোর ভিত্তিগুলোকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন’।[7]
১৬. ওআইসি তাঁর সম্পর্কে বলেছে, وقد أوقف حياةه ووقةه وماله على الدفاع عن العقيدة الإسلامية. ‘ইসলামী আক্বীদার প্রতিরক্ষায় তিনি তাঁর জীবন, সময় ও সম্পদ ওয়াক্ফ করে ছিলেন’।[8]
১৭. ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জমঈয়তে আহলেহাদীছের শুববান বিভাগের সাবেক পরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের তদানীন্তন সহকারী অধ্যাপক (বর্তমানে প্রফেসর ও আমীর, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ) মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব আল্লামা যহীরের মৃত্যুতে লাহোরে একটি শোকবার্তা পাঠান। যেটি ‘মুমতায ডাইজেস্ট’ বিশেষ সংখ্যা-১, সেপ্টেম্বর ’৮৭-তে ‘মাকতূবে বাংলাদেশ : আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর কি শাহাদত পর ইযহারে গাম’ (বাংলাদেশের চিঠি : আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীরের শাহাদতে শোক প্রকাশ) শিরোনামে প্রকাশিত হয়। উক্ত শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান-এর সেক্রেটারী জেনারেল আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীরের শাহাদতে আমরা সবাই আন্তরিকভাবে ব্যথিত-মর্মাহত। বাংলাদেশের আহলেহাদীছ ছাত্র ও যুবকদের পক্ষ থেকে আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। আল্লাহ পাক মরহূম আল্লামাকে স্বীয় খাছ রহমত ও মাগফিরাতে সম্মানিত করুন এবং তাঁর উত্তরাধিকারী ও আত্মীয়-স্বজনকে পরম ধৈর্যধারণের ক্ষমতা দান করুন। আমীন!
আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর ছিলেন তাঁর সময়ের অতুলনীয় বাগ্মী, লেখক, সংগঠক, আলেমে দ্বীন ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের নির্ভীক মুজাহিদ। মুশরিক, বিদ‘আতী ও দ্বীন বিকৃতকারীদের বুকে কম্পন সৃষ্টিকারী, নির্ভীক সত্যভাষী আল্লামা যহীরের মৃত্যু এভাবে হওয়াটাই মর্যাদাকর ছিল। জিহাদের ময়দানের সেনাপতিকে খ্যাতির শীর্ষে চমকানো অবস্থায় মহান প্রভু তাকে স্বীয় রহমতের ছায়াতলে টেনে নিলেন।
আল্লামা যহীর কি চলে গেছেন? শত্রুরা তাকে মেরে ফেলেছে? কখনোই না। আল-কাদিয়ানিয়াহ, আল-বাহাইয়াহ, আশ-শী‘আ ওয়াল কুরআন, আল-ব্রেলভিয়া এবং তাঁর অন্যান্য মূল্যবান গ্রন্থাবলী, সংবাদপত্র, তাঁর তর্জুমানুল হাদীছ, জমঈয়তে আহলেহাদীছ সবই তাঁর জীবন্ত কীর্তি।
ফেব্রুয়ারী ’৮৫-এর ঢাকা কনফারেন্সে তাঁর অগ্নিঝরা ভাষণ তো আমরা এখনো শুনতে পাচ্ছি। বাংলাদেশে আগামী সফরে তিনি বাংলায় ভাষণ দিবেন বলে ওয়াদা করে গেছেন। আর আমরা আহলেহাদীছ যুবসংঘের পক্ষ থেকে তাঁকে সেদিন ‘শেরে পাকিস্তান’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করব বলে দৃঢ় সংকল্প নিয়েছিলাম। এখন মৃত্যুর পরে কি তাঁকে আমরা উক্ত লকব দিতে পারি না?
এরূপ অতুলনীয় নেতার মৃত্যুতে পাকিস্তানীদের এবং বিশেষ করে আহলেহাদীছ জামা‘আত ও জমঈয়তের যে অপরিসীম ক্ষতি সাধিত হয়েছে, আল্লাহ পাক তাঁর খাছ রহমতে তার উত্তম বিনিময় দান করুন! আমীন’!![9]
২৪.০৯.২০১১ তারিখে লেখককে দেওয়া এক লিখিত তথ্যে তিনি বলেন, ‘যহীর আমার সাময়িককালের বন্ধু ছিলেন। প্রথমে কলমী, পরে সরাসরি। আমি তাঁকে ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমায় বক্তা হিসাবে দাওয়াতনামা পাঠিয়েছিলাম। তিনি তা কবুল করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি শাহাদাত লাভ করেন।
১৯৮৫ সালে ঢাকায় জমঈয়ত কনফারেন্সে তাঁকে আনার মূল ভূমিকায় ছিলাম আমি। কেন জানিনা ডক্টর ছাহেব তাঁকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারেননি। তাই তাঁকে মাত্র ১৫ মিনিট সময় দেন বক্তৃতার জন্য। যার জন্য হাযারো মানুষের আগমন, যার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে হাযারো শ্রোতা, তাঁর জন্য এত সংক্ষিপ্ত সময় নির্ধারণ কেউই মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু সভাপতির আদেশ শিরোধার্য। আমার বিরূপ মনোভাব বুঝতে পেরে যহীর মাইকের কাছে যাওয়ার আগে আমার হাতে হাত রেখে বললেন, ‘দিল খারাব না কী জিয়ে’ (মন খারাব করবেন না)। তারপর মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে হামদ ও ছানা শেষে ভাষণ শুরুর এক পর্যায়ে ঝলসে উঠে বললেন, ছদরে জালসা মুঝে পন্দ্রা মিনিট টাইম দিয়ে হ্যাঁয়। ওহ নেহী জানতে হ্যাঁয় কে যহীর কো গরম হোনে কে লিয়ে পন্দ্রা মিনিট লাগতা হ্যায়’ (সভাপতি ছাহেব আমাকে ১৫ মিনিট সময় দিয়েছেন। উনি জানেন না যে, যহীরের গরম হ’তেই ১৫ মিনিট সময় লাগে)। এতেই শ্রোতারা সব গরম হয়ে উঠলো। ওদিকে যহীরের বক্তৃতায় আগুনের ফুলকি বের হতে লাগলো। শুরু হ’ল আহলেহাদীছের সত্যতার উপরে একের পর এক কোটেশন টানা ও তার আবেগঘন ব্যাখ্যা। অগ্নিঝরা ভাষণ, অপূর্ব বাকভঙ্গি, যুক্তি আর চ্যালেঞ্জের দাপট, সব মিলে পুরা সম্মেলনটাই হয়ে গেল যহীরময়। সভাপতি ছাহেবও অপলক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছেন এই তরুণ পাকিস্তানী সিংহের প্রতি। ১৫ মিনিট পেরিয়ে কখন যে সময় ঘণ্টার কাছাকাছি চলে গেছে, কারুরই খেয়াল নেই। যহীর এবার শেষ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন- ‘বিদ‘আতী লোগো! আগার আহলেহাদীছ কা এক মাসআলা ভী তোম ছহীহ হাদীছ কে খেলাফ দেখানা সেকো তো লে আও। তোমহারে লিয়ে যহীর হাফতা ভর হোটেল মে ইন্তেযার করে গা’ (বিদ‘আতীরা শোনো। যদি তোমরা আহলেহাদীছের একটি মাসআলাও ছহীহ হাদীছের খেলাফ দেখাতে পারো, তবে নিয়ে আস। তোমাদের জন্য যহীর হোটেলে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করবে)।
সমস্ত সম্মেলন মুহুর্মুহু তাকবীর ধ্বনিতে ফেটে পড়ল। দক্ষ শিল্পীর মত যহীর এবার দপ করে নিভে গেলেন ও ভাষণ শেষ করে পিছন ফিরে আমার হাত ধরে মঞ্চ থেকে নেমে এসে সোজা একটানে হোটেল শেরাটন। সেখানে এসে চলল বহুক্ষণ তার সরস আলাপচারিতা। সেই সাথে রাগ-ক্ষোভ অনেক কিছু। পাকিস্তান জমঈয়তের নেতাদের সাথে বাংলাদেশ জমঈয়তের নেতার মনোভঙ্গি ও আচরণের সাথে তিনি অনেক মিল খুঁজে পেলেন এবং আমাকে হিম্মত নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার ব্যাপারে উৎসাহ দিলেন। তার তেজস্বিতা, ওজস্বিনী ভাষণ, খোলামেলা আলাপচারিতা ও এক দিনের বন্ধুসুলভ আচরণ আমি আজও ভুলতে পারি না। শত্রুর বোমা তাকে সরিয়ে নিয়ে গেছে আমাদের কাছ থেকে। কিন্তু ঢাকায় তার ঐতিহাসিক ভাষণের অগ্নিঝরা কণ্ঠ আজও আমাদের কানে ভাসছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নছীব করুন- আমীন!’
[1]. ড. যাহরানী, প্রাগুক্ত, পৃঃ ৯৩-৯৭।
[2]. ইহসান ইলাহী যহীর, দিরাসাত ফিত-তাছাওউফ, পৃঃ ৫, শায়খ লিহীদান লিখিত ভূমিকা দ্রঃ।
[3]. ড. যাহরানী, প্রাগুক্ত, পৃঃ ৯৯-১০৩, ১০৫-১০৬।
[4]. শায়বানী, ইহসান ইলাহী যহীর, পৃঃ ২।
[5]. ড. যাহরানী, প্রাগুক্ত, পৃঃ ৪৯।
[6]. ‘আল-ইস্তিজাবাহ’, সংখ্যা ১২, যুলহিজ্জাহ ১৪০৭ হিঃ, পৃঃ ৩৩-৩৪; ‘আদ-দাওয়াহ’, সংখ্যা ১০৮৭, ১৫/৮/১৪০৭ হিঃ, পৃঃ ৪০-৪১।
[7]. ‘আল-ইস্তিজাবাহ’, সংখ্যা ১২, যুলহিজ্জাহ ১৪০৭ হিঃ।
[8]. ‘আর-রিসালাহ আল-ইসলামিয়্যাহ’, সংখ্যা ২০২, বর্ষ ২০, শা‘বান ১৪০৭ হিঃ, পৃঃ ১২৯।
[9]. মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, (লাহোর : সেপ্টেম্বর ১৯৮৭), পৃঃ ১২৩।