মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রস্তাব
মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তাঁর প্রতিভার দ্যুতি ওখানকার আলেমগণ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন। সেজন্য পাঠ চুকানো মাত্র সেখানে অধ্যাপনার জন্য তাঁর নিকট প্রস্তাব পেশ করা হয়। কিন্তু তিনি সবিনয়ে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এই সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ না করার কারণ সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আমার এই প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, আমি দ্বীনের যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি এবং যা কিছু আমার কাছে আছে তা দিয়ে আমার দেশের সেবা করব। স্বদেশবাসীর কাছে আমার জ্ঞান পৌঁছাব। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং অপরিসীম দেশপ্রেমের কারণেই আমি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ না করে পাকিস্তানে চলে এসেছি। কুরআন মাজীদের হুকুমও এই যে, একদল লোক এমন থাকা চাই যারা জ্ঞান অর্জন করে নিজের জাতির কাছে ফিরে এসে নিজের অর্জিত জ্ঞান তাদের মাঝে বিতরণ করবে’। অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার ফিরে আসার একটা উদ্দেশ্য তো এটাও ছিল যে, আমি জমঈয়তে আহলেহাদীছকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করব। পাকিস্তানে আমার ফিরে আসার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা। কারণ পাকিস্তান ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল’।[1]