সাংবাদিকতা ও প্রবন্ধ লিখন
দেশে থাকা অবস্থাতেই তিনি বিভিন্ন উর্দূ পত্র-পত্রিকায় কাদিয়ানীদের সম্পর্কে অনেক প্রবন্ধ লিখেন।[1] দেশে ফিরে এসে তিনি ‘চাটান’, ‘লায়েল ওয়া নাহার’, ‘আক্বদাম’, ‘কোহিস্তান’ প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিষয়ে উর্দূতে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন। তিনি ‘মারকাযী জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান’-এর মুখপত্র সাপ্তাহিক ‘আল-ই‘তিছাম’ এবং পরে সাপ্তাহিক ‘আহলেহাদীছ’ ও ‘আল-ইসলাম’-এর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তানে’র মুখপত্র রূপে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসে ‘তরজুমানুল হাদীছ’ নামে একটি মাসিক উর্দূ পত্রিকাও বের করেন। এ পত্রিকার তিনি প্রধান সম্পাদক ছিলেন।[2] এ পত্রিকায় তিনি কাদিয়ানী, বাবিয়া, হাদীছ অস্বীকারকারী, পুঁজিবাদী বিভিন্ন ভ্রান্ত মতাদর্শের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার প্রবন্ধ লিখেন। মন্ত্রী ও গভর্ণরদের বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপেরও এতে সমালোচনা করেন। অধ্যাবধি পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানে কুরআন ও সুন্নাহর দাওয়াত প্রচারে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।[3]
[1]. ইহসান ইলাহী যহীর, আল-কাদিয়ানিয়্যাহ দিরাসাতুন ওয়া তাহলীল (রিয়াদ : কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা, ১৪০৪ হিঃ/১৯৮৪ খৃঃ), পৃঃ ৯।
[2]. আহমাদ শাকির, ‘আল-ই‘তিছাম কী চালীসবেঁ জিলদ কা আগায; মাযী আওর হাল কী মুখতাছার সারগুযাশত’ (সম্পাদকীয়), সাপ্তাহিক ‘আল-ই‘তিছাম’, বর্ষ ৪০, সংখ্যা ১-২, ১-৮ জানুয়ারী ১৯৮৮, লাহোর, পাকিস্তান, পৃঃ ৪; মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-২, পৃঃ ১১৮-১৯; বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৪৫, ১১৮; শাহাদত, মার্চ ২০০৮, পৃঃ ২২।
[3]. ড. যাহরানী, প্রাগুক্ত, পৃঃ ২৩২-৩৩।