হজ্জ ও ওমরাহ


প্রসিদ্ধ স্থান সমূহ
(الأماكن الشهيرة)

মক্কায়(في مكة):

১.বায়তুল্লাহ :পবিত্র কা‘বা গৃহকে ‘বায়তুল্লাহ’ বা আল্লাহর ঘর বলা হয়। বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম ইবাদতগাহ পবিত্র কা‘বা গৃহের চারপাশ ঘিরে তৈরী হয়েছে বিশালায়তন হারাম শরীফ। বর্তমান (২০১১ খৃঃ) আয়তন তিন লক্ষ ছাপ্পান্ন হাযার বর্গমিটার বা ৮৮.২ একর। সেখানে একত্রে ১০ লাখ মুছল্লীর ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে হজ্জের মৌসুমে এ সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখে পৌঁছে যায়। কা‘বা চত্বরে ও আঙিনায় দেওয়া সাদা পুরু মার্বেল পাথর প্রচন্ড রৌদ্রে ঠান্ডা থাকে, যা সঊদী সরকারের নিজস্ব কারখানায় প্রস্ত্ততকৃত। মদীনা হ’তে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কারখানাটি বর্তমান বিশ্বে সেরা পাথর তৈরীর কারখানা হিসাবে বিবেচিত।

২.জাবালুন নূর :অর্থ জ্যোতির পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ১২Í৫১/৪Í৭ বর্গফুট ‘হেরা গুহা’য় প্রথম ‘অহি’ নাযিল হয়। গৃহীত মতে তারিখটি ছিল সোমবার ২১শে রামাযান দিবাগত রাতে মোতাবেক ১০ই আগষ্ট ৬১০ খৃষ্টাব্দ।[1]হাদীছে যাকে ‘গারে হেরা’ বলা হয়েছে।[2]বায়তুল্লাহ থেকে ৬ কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এ পাহাড়টি মক্কার ট্যাক্সিওয়ালাদের নিকটে ‘জাবালুন নূর’ নামে পরিচিত। সকালে বা বিকালে পাহাড়ে ওঠা চলে। রাতে ওঠা নিষিদ্ধ। এখানে ‘অহি’ নাযিলের সূত্রপাত হ’লেও এর পৃথক কোন ধর্মীয় গুরুত্ব নেই। এটাকে পবিত্র স্থান হিসাবে গণ্য করার কোন প্রমাণ কুরআন-হাদীছ ও ছাহাবায়ে কেরামের আমল-আচরণে পাওয়া যায় না। যদিও বিদ‘আতীরা এখানে এসে অনেকে ছালাত আদায় করে ও কান্নাকাটি করে থাকে। এখানকার নুড়ি-কংকর বরকত মনে করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।

৩. গারে ছাওর : অর্থ, ছওর গুহা। বায়তুল্লাহর দক্ষিণ-পূর্বে ৩ কিঃমিঃ দূরে ‘ছওর’ পাহাড় অবস্থিত। আল্লাহর হুকুমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রিয় সাথী আবুবকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে গভীর রাতে কাফের নেতাদের হত্যা বেষ্টনী ভেদ করে ইয়াছরিবে হিজরতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পিছু ধাওয়াকারী কাফেরদের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য তাঁরা রাতেই ছাওর গিরিগুহায় আশ্রয় নেন।[3]পুরস্কার লোভী রক্ত পিপাসু কাফেররা গুহা মুখে গিয়েও ফিরে যায় এবং আল্লাহর রহমতে তাঁরা রক্ষা পান। তবে বর্তমানে যেটাকে ‘গারে ছাওর’ বলা হচ্ছে, সেটা সেই গুহা কি-না, এ বিষয়ে অনেকে সন্দেহ করেন। হেরা গুহার ন্যায় ছাওর গুহারও কোন ধর্মীয় গুরুত্ব নেই। যদিও এখানে রয়েছে বিদ‘আতীদের ব্যাপক আনাগোনা।

৪.জি‘ইর্রা-নাহ মসজিদ :এটি মাসজিদুল হারাম থেকে ১৬ কিঃমিঃ পূর্বে হোনায়েন-এর পথে জি‘ইর্রা-নাহ উপত্যকায় অবস্থিত। এখানে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ৮ম হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসে হোনায়েন যুদ্ধের গণীমত বণ্টন করেছিলেন। অতঃপর এখান থেকেই রাতের বেলা মক্কায় এসে ওমরাহ করে রওয়ানা হন এবং ২৪শে যুলক্বা‘দাহ মদীনায় পৌঁছেন।[4]

৫.তান‘ঈম মসজিদ :মসজিদুল হারাম থেকে ৬ কিঃমিঃ উত্তরে মক্কা-মদীনা সড়কে (আল-হিজরাহ রোডে) অবস্থিত এ মসজিদটি ‘মসজিদে আয়েশা’ নামে পরিচিত। বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশাকে তার ভাই আব্দুর রহমানের সাথে হারামের বাইরে এখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বাঁধার জন্য পাঠিয়েছিলেন।[5]মসজিদটি ইসলামী শিল্পনৈপুণ্যের এক অনুপম নিদর্শন। অত্র দু’টি মসজিদ হারাম এলাকার বাইরে অবস্থিত। যেখান থেকে মক্কাবাসীগণ ওমরাহর জন্য ইহরাম বেঁধে থাকেন। বর্তমানে ভিনদেশী হাজীদের অনেকে ‘আয়েশা মসজিদ’ থেকে বারবার ভিন্ন ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন ওমরাহর ইহরাম বেঁধে থাকেন। যা একেবারেই ভিত্তিহীন ও বিদ‘আতী কাজ।

মদীনায়(في المدينة):

১.মসজিদে নববী:আঙ্গিনা সহ বর্তমান (২০০০ খৃঃ) আয়তন ৩,০৫,০০০ (তিন লক্ষ পাঁচ হাযার) বর্গমিটার। যেখানে হজ্জ মওসুমে ১০ লাখ হাজী একত্রে ছালাত আদায় করেন। বর্তমানে পুরা আঙিনা ছাতাবেষ্টিত করা হয়েছে। যা প্রতিদিন সময়মত খোলা ও বন্ধ করা হয়।

২.ফাহ্দ কুরআন কমপ্লেক্স :পবিত্র কুরআনের মুদ্রণ, অনুবাদ ও ক্যাসেট প্রকাশের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই কমপ্লেক্স ‘মুজাম্মা‘ মালেক ফাহ্দ’ নামে পরিচিত। ২,৫০,০০০ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই বিশাল কমপ্লেক্স ১৪০৫/১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১১ মিলিয়ন (এক কোটি দশ লক্ষ) কপি কুরআন শরীফ। এযাবৎ (২০১১) তের কোটি ষাট লাখ কপি মুছহাফ মুদ্রিত ও বিতরিত হয়েছে এবং বাংলা, উর্দূ, ইংরেজী ও চীনা সহ অন্যূন ৫০টি ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

৩.ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় :মসজিদে নববী থেকে পশ্চিমে অন্যূন ৫ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশালায়তন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে (২০১১) ১৬০ টিরও বেশী দেশের পনের হাযারের অধিক ছাত্র পড়াশুনা করে।

৪.মসজিদে ক্বোবা :মসজিদে নববী থেকে ২ কিঃমিঃ দক্ষিণে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মদীনার ‘প্রথম মসজিদ’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রতি শনিবারে সওয়ারীতে বা পদব্রজে এখানে এসে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন’। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বাড়ী থেকে ওযূ করে এখানে এসে ছালাত আদায় করবে, সে ব্যক্তি একটি ওমরাহ করার সমান নেকী পাবে।[6]

৫.মসজিদে যুল-ক্বিবলাতায়েন :মসজিদে নববীর পূর্বদিকে অনতিদূরে অবস্থিত অত্র ‘বনু সালামাহ’ মসজিদে যোহরের ছালাতরত অবস্থায় আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাস-এর বিপরীতে কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়ে ছালাত আদায় শুরু করেন। এ জন্য একে ‘দুই ক্বিবলার মসজিদ’ বলা হয়(কুরতুবী)। উল্লেখ্য যে, হিজরতের পর থেকে প্রায় ১৭ মাস রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আল্লাহর হুকুমে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করেছিলেন(ইবনু কাছীর)

৬. সাব‘আ মাসাজিদ :সাতটি মসজিদ বলা হ’লেও প্রকৃত প্রস্তাবে ৬টি মসজিদ রয়েছে। (১) মসজিদুল ‘ফাত্হ’। সম্মিলিত আরব শক্তির বিরুদ্ধে ৫ম হিজরীর শাওয়াল মাসে সংঘটিত ‘আহযাব যুদ্ধে’ অবিস্মরণীয় বিজয় লাভের স্মৃতি হিসাবে উমাইয়া খলীফা ওমর বিন আব্দুল আযীয (৯৯-১০১ হিঃ) উক্ত মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন (২) মসজিদে ‘আবুবকর’ (৩) মসজিদে ‘ওমর’ (৪) মসজিদে ‘আলী’ (৫) মসজিদে ‘ফাতেমা’ (৬) মসজিদে ‘সালমান ফারেসী (রাঃ)’। কেউ কেউ মসজিদে ক্বিবলাতায়েন-কে উক্ত ৭ মসজিদের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। এই সকল মসজিদের পৃথক কোন ধর্মীয় গুরুত্ব নেই। যদিও অনেকে এই সব মসজিদে ছালাত আদায়ের জন্য খুবই উদগ্রীব থাকেন।

৭.বাক্বী‘উল গারক্বাদ :মসজিদে নববী থেকে বেরিয়ে পূর্ব-দক্ষিণে পাকা প্রাচীর বেষ্টিত প্রায় এক মাইল ব্যাসার্ধের এই বিশাল কবরস্থানটি অবস্থিত। যেখানে হযরত ওছমান গণী (রাঃ), হযরত ফাতেমা (রাঃ) সহ অসংখ্য ছাহাবী, তাবেঈ, ইমাম-মুজতাহিদ, শহীদ, গাযী ও ওলামায়ে কেরামের কবর রয়েছে। যদিও কোথাও কবরের কোন চিহ্ন নেই। বর্তমানে এটি মদীনা পৌর এলাকার কবরস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

‘গারক্বাদ’ নামক অত্র স্থানটি জনৈক ইহুদীর খেজুর বাগান ছিল এবং বৃক্ষশোভিত সমতলভূমি হওয়ায় এটিকে ‘বাক্বী‘ বলা হ’ত। এখানে হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর কবর থাকায় শী‘আরা এর নাম দিয়েছে ‘জান্নাতুল বাক্বী‘। যা বলা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। ‘ফাতেমার কবুতর’ মনে করে বিদ‘আতীরা এখানে কবুতরের জন্য দৈনিক শত শত প্যাকেট গম ছড়িয়ে দেয়। যেখানে পৃথিবীতে মানুষের খাবার জোটে না, সেখানে মানুষের খাদ্য পাখিকে খাওয়ানো নিঃসন্দেহে অপচয় ও গোনাহের কাজ। সেই সাথে বিদ‘আতের গুনাহ তো আছেই।

৮. শোহাদায়ে ওহোদ কবরস্থান :মসজিদে নববী থেকে ৩ কিঃ মিঃ উত্তরে ওহোদ যুদ্ধের স্মৃতিধন্য স্বল্প উঁচু প্রাচীরঘেরা এই কবরস্থানে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রিয় চাচা হামযাহ (রাঃ) সহ ৭০ জন শহীদ ছাহাবীকে দাফন করা হয়। যদিও কবরের কোন চিহ্ন নেই। তাঁদের উদ্দেশ্যে সালাম দেওয়া সাধারণভাবে কবর যিয়ারতের ন্যায় জায়েয রয়েছে। কিন্তু নেকী মনে করে কেবলমাত্র ঐ স্থানের উদ্দেশ্যে গমন করা জায়েয নয়। বর্তমানে এখানে ‘শোহাদা মার্কেট’ গড়ে উঠেছে।

আল্লাহ সকল মুমিনকে হজ্জে গমন করার এবং শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর তরীকা মোতাবেক হজ্জ সম্পাদন করার তাওফীক দান করুন- আমীন!!

 

কতগুলি উপদেশ (بعض النصائح للحاج):

  1. হজ্জের সকল অনুষ্ঠান ধীরে-সুস্থে ও বিনয়ের সাথে করবেন। সর্বদা ধৈর্য ধারণ করবেন।
  2. ‘তালবিয়াহ’ ব্যতীত অন্য সকল দো‘আ নিম্নস্বরে ও কাকুতি সহকারে পড়বেন। বিতর্ক ও ঝগড়া এড়িয়ে চলবেন। হুড়াহুড়ি করবেন না। হাত ও যবান দ্বারা কাউকে কষ্ট দিবেন না। সর্বদা হাসিমুখে থাকবেন।
  3. ধর্ম পালনে বাড়াবাড়ি করবেন না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা ধর্মে বাড়াবাড়ি করোনা। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগুলি ধ্বংস হয়েছে ধর্মে বাড়াবাড়ি করার কারণে’।[7]তাই বলে শৈথিল্যবাদী হবেন না। শৈথিল্যবাদীরা ইসলামের দুশমন। সর্বদা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করুন।[8]
  4. সকল ইবাদত ইত্তেবায়ে সুন্নাতের উপর ভিত্তিশীল। অতএব ছহীহ হাদীছের বাইরে কোন ইবাদত করবেন না।
  5. (ক) হজ্জ থেকে ফেরাকে নতুন জীবন লাভ মনে করুন (খ) এখন থেকে বেশী করে নফল ইবাদত শুরু করুন (গ) যাবতীয় শিরক-বিদ‘আত ও হারাম কাজ বর্জন করুন। কারণ শিরক করলে তার উপর আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করে দেন(মায়েদাহ ৭২)(ঘ) কম কথা বলুন ও নেকীর কাজে প্রতিযোগিতা করুন (ঙ) সর্বদা তওবা-ইস্তিগফার করুন ও নিজেকে পরপারে যাত্রার জন্য প্রস্ত্তত করুন।
  6. মনে রাখবেন, কবুল হজ্জের লক্ষণ হ’ল- পূর্বের চেয়ে উত্তম হওয়া এবং গোনাহে লিপ্ত না হওয়া। অতএব ছোট গোনাহ থেকে বিরত থাকুন। কেননা ছোট গোনাহ বারবার করলে তা কবীরা গুনাহে পরিণত হয়, যা তওবা ব্যতীত মাফ হয় না।আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন! আমীন!!

œপথনির্দেশ

কা‘বা হ’তে- (১) জেদ্দা ৭৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে (২) ইয়ালামলাম ৯২ কিঃমিঃ দক্ষিণে (৩) মদীনা ৪৬০ কিঃমিঃ উত্তর-পশ্চিমে (৪) মিনা ৮ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে (৫) ও আরাফাত ২২.৪ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে। আর (৬) মিনা হ’তে আরাফাত ১৪.৪ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে (৭) আরাফাত হ’তে মুযদালেফা ৯ কিঃমিঃ উত্তর-পশ্চিমে (৮) মুযদালেফা হ’তে মিনা ৫ কিঃমিঃ উত্তরে (৯) কা‘বা হ’তে হেরা পাহাড় ৬ কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে (১০) ছওর পাহাড় ৩ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে। (১১) যমযম কা‘বা গৃহের দক্ষিণ-পূর্বে (১২) ছাফা ও মারওয়া কা‘বার পূর্বে দক্ষিণ হ’তে উত্তরে প্রায় অর্ধ কিঃমিঃ (৪৫০ মিটার)। সাত সাঈ-তে মোট ৩.১৫ কিঃমিঃ (১৩) জেদ্দা হ’তে মদীনা ৪৪০ কিঃমিঃ উত্তর-পশ্চিমে (১৪) মদীনা হ’তে বদর প্রান্তর ১৪৫ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে \

১. মক্কার হারামের চতুঃসীমা :উত্তরে তান‘ঈম (৬ কিঃমিঃ), উত্তর-পূর্বে নাখলা উপত্যকা (১৪ কিঃমিঃ), দক্ষিণে আযাহ (১২ কিঃমিঃ), পূর্বে জি‘ইর্রা-নাহ (১৬ কিঃমিঃ), পশ্চিমে হোদায়বিয়াহ (১৫ কিঃমিঃ)।

২. মদীনার হারামের চতুঃসীমা :৩ কিঃমিঃ উত্তরে ওহোদ পাহাড় ও ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণে যুল হুলাইফা পাহাড়ের মধ্যবর্তী ১২ মাইল এলাকা।

উল্লেখ্য যে, মক্কা ও মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর কোথাও ‘হারাম’ এলাকা নেই। এমনকি বায়তুল মুক্বাদ্দাসও নয়। এ দুই হারামের সম্মান বজায় রাখা ওয়াজিব। ‘এখানে কোন অস্ত্র বহন করা যাবে না। এমনকি গাছের পাতাও ছেঁড়া যাবে না গবাদিপশুর খাদ্যের কারণে ব্যতীত’।[9]

 

سبحانك اللهم وبحمدك أشهد أن لآ إله إلا أنت أستغفرك وأتوب إليك، اللهم اغفرلي ولوالدىَّ وللمؤمنين يوم يقوم الحساب-

 



[1]. ছফিউর রহমান মুবারকপুরী, আর-রাহীকুল মাখতূম পৃঃ ৬৬।

[2]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত, হা/৫৮৪১ ‘ফাযায়েল’ অধ্যায়।

[3]. ১৪ নববী বর্ষের ২৭শে ছফর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মোতাবেক ৬২২ খৃষ্টাব্দের ১২/১৩ সেপ্টেম্বর, আর-রাহীক্ব পৃঃ ১৬৩-৬৪।

[4]. আর-রাহীক্ব পৃঃ ৪২২।

[5]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত, হা/২৫৫৬।

[6]. আর-রাহীক্ব পৃঃ ১৭২; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯৫; আহমাদ, ছাহীহাহ হা/৩৪৪৬।

[7]. আহমাদ, নাসাঈ, ছহীহুল জামে‘ হা/২৬৮০।

[8]. বুখারী, মিশকাত হা/১২৪৬।

[9]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭১৫, ২৭৩২; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪৮৯-৯১।