এক নযরে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
قُلْ هَذِهِ سَبِيْلِيْ أَدْعُوْا إِلَى اللهِ عَلَى بَصِيْرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي
وَسُبْحَانَ اللهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
‘বলুন! ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে, জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই’ (ইউসুফ ১০৮)।
‘আহলেহাদীছ’ অর্থ ‘হাদীছের অনুসারী’। পারিভাষিক অর্থে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসারী’। সকল দিক ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দিকে ফিরে যাওয়ার আন্দোলনকেই বলা হয় ‘আহলেহাদীছ আনেদালন’। ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে এযাম ও সালাফে ছালেহীন সর্বদা এ পথেরই দাওয়াত দিয়ে গেছেন। ‘আহলেহাদীছ’ তাই প্রচলিত অর্থে কোন ফের্কা বা মতবাদের নাম নয়, এটি একটি পথের নাম। এ পথ আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র পথ। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ। এ পথের শেষ ঠিকানা হ’ল জান্নাত। মানুষের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের যাবতীয় হেদায়াত এ পথেই মওজুদ রয়েছে। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ সেই জান্নাতী পথেই মানুষকে আহবান জানায়। এ আন্দোলন তাই মুমিনের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র আন্দোলন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
নির্ভেজাল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন আহলেহাদীছ আন্দোলনের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য।
পাঁচটি মূলনীতি :
১. কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা :
এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আদেশ-নিষেধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তাকে নিঃশর্তভাবে ও বিনা দ্বিধায় কবুল করে নেওয়া ও সেই অনুযায়ী আমল করা।
২. তাক্বলীদে শাখ্ছী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন :
‘তাক্বলীদ’ অর্থ- শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে কারো কোন কথা চোখ বুঁজে মেনে নেওয়া। ‘তাক্বলীদ’ দু’ প্রকারের : জাতীয় ও বিজাতীয়। জাতীয় তাক্বলীদ বলতে ধর্মের নামে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন মাযহাব ও তরীক্বার অন্ধ অনুসরণ বুঝায়। বিজাতীয় তাক্বলীদ বলতে- বৈষয়িক ব্যাপারের নামে সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রভৃতি বিজাতীয় মতবাদের অন্ধ অনুসরণ বুঝায়।
৩. ইজতিহাদ বা শরী‘আত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্ত করণ :
‘ইজতিহাদ’ অর্থ : যুগ-জিজ্ঞাসার জওয়াব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হ’তে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। এই অধিকার ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল যুগের সকল মুত্তাক্বী ও যোগ্য আলিমের জন্য খোলা রাখা।
৪. সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে পরিগ্রহণ :
এর অর্থ- ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে গ্রহণ করা।
৫. মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ :
এর অর্থ- কুরআন ও সুন্নাহর আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
উপরোক্ত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতিসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ চায় এমন একটি ইসলামী সমাজ, যেখানে থাকবেনা প্রগতির নামে কোন বিজাতীয় মতবাদ; থাকবে না ইসলামের নামে কোনরূপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ।
কর্মসূচী :
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর চার দফা কর্মসূচী হ’ল- তাবলীগ, তানযীম, তারবিয়াত ও তাজদীদে মিল্লাত । অর্থাৎ প্রচার, সংগঠন, প্রশিক্ষণ ও সমাজ সংস্কার। এর মধ্যে সমাজ সংস্কারই হ’ল মুখ্য।
১ম দফা : তাবলীগ বা প্রচার
এ দফার করণীয়ঃ (ক) ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ও সম্প্রীতির মাধ্যমে জনগণের নিকটে আহলেহাদীছ আন্দোলনের দাওয়াত পৌছানো (খ) প্রতিদিন বাদ এশা মুছল্লীদের সম্মুখে অর্থসহ একটি করে হাদীছ শুনানো (গ) সাপ্তাহিক তা‘লীমী বৈঠকে যোগদান ও তাবলীগী সফরে গমন করা (ঘ) সাপ্তাহিক পারিবারিক তা‘লীমের ব্যবস্থা করা (ঙ) জুম‘আর খুৎবা প্রদান করা, ইসলামী জালসা, সুধী সমাবেশ, সাংবাদিক সম্মেলন, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করা ও সেখানে বক্তৃতা করা, (চ) সংগঠনের পত্রিকা ও বইসমূহ পড়ানো, ক্যাসেট-সিডি ইত্যাদি বিক্রয় করা, পোষ্টারিং ও প্রচারপত্র বিতরণ করা ইত্যাদি।
২য় দফা : তানযীম বা সংগঠন
(ক) কর্মীদের স্তর তিনটি : প্রাথমিক সদস্য, সাধারণ পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য
(খ) সাংগঠনিক স্থর চারটি : শাখা, এলাকা, যেলা ও কেন্দ্র। কোন গ্রামে বা মহল্লায় কমপক্ষে তিনজন ‘প্রাথমিক সদস্য’ থাকলে যেকোন একজনকে সভাপতি, একজনকে সম্পাদক ও একজনকে সদস্য করে শাখা গঠন করা যাবে। না থাকলে সমর্থকদের মধ্য হ’তে একজনকে আহবায়ক ও একজনকে যুগ্ম আহবায়ক করে সাতজনের একটি ‘আহবায়ক কমিটি’ ছয় মাস মেয়াদের জন্য গঠিত হবে। যেলা না থাকলে উক্ত শাখা কেন্দ্র কর্তৃক সরাসরি অনুমোদিত হ’তে হবে।
৩য় দফা : তারবিয়াত বা প্রশিক্ষণ
এ দফার করণীয় : (ক) প্রতিদিন নিয়মিতভাবে কুরআন, হাদীছ ও সাংগঠনিক ইসলামী বইপত্র অধ্যয়ন করা (খ) নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক তা‘লীমী বৈঠকে যোগদান করা (গ) প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করা (ঘ) নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য নফল ছালাত আদায় করা এবং সপ্তাহে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বা মাসে তিন দিন আইয়ামে বীয-এর নফল ছিয়াম পালন করা (ঙ) সর্বদা হালাল রূযী গ্রহণে সচেষ্ট থাকা, সুন্নাতী দাড়ি রাখা, তাক্বওয়ার লেবাস পরিধান করা ও বাড়ীতে ইসলামী পর্দা রক্ষা করা (চ) নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে জাহেলিয়াতের বিভিন্নরূপী চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায় ইসলামকে বিজয়ী করার মত যিন্দাদিল মর্দে মুজাহিদ কর্মী তৈরীর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪র্থ দফা : তাজদীদে মিল্লাত বা সমাজ সংস্কার
আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ‘অহি’ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হ’ল অভ্রান্ত সত্যের চূড়ান্ত মানদন্ড। উক্ত অহি-র সত্যকে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে প্রতিষ্ঠা করা ও সেই আলোকে সমাজের আমূল সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চাই -
(১) শিক্ষা সংস্কার :
উচ্চ নৈতিকতা সম্পন্ন, যোগ্য, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জনশক্তি তৈরী করাই হবে শিক্ষার জাতীয় লক্ষ্য। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের প্রথম দায়িত্ব হ’ল : তাওহীদ, রেসালাত ও আখেরাত ভিত্তিক জাতীয় শিক্ষানীতি নির্ধারণ করা। উক্ত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের মৌলিক কর্মসূচী নিম্নরূপ : (ক) দেশে প্রচলিত ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বিমুখী ধারাকে সমন্বিত করে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক একক ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা এবং সরকারী ও বেসরকারী তথা কিন্ডার গার্টেন, প্রি-ক্যাডেট, ও-লেভেল ইত্যাদি নামে পুঁজিবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করে বৈষম্যহীন ও সহজলভ্য শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। (খ) ছেলে ও মেয়েদের পৃথক শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে উভয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষা এবং পৃথক কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণ করা (গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় দলাদলি ও রাজনৈতিক ক্রিয়াকান্ড নিষিদ্ধ করা এবং প্রয়োজনবোধে সেখানে বয়স, যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। (ঘ) আক্বীদা বিনষ্টকারী সকলপ্রকার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বর্জন করা এবং তদস্থলে ছহীহ আকবীদা ও আমল ভিত্তিক সাহিত্য ও সংষ্কৃতি চালু করা।
(২) অর্থনৈতিক সংস্কার :
হালাল রূযী ইবাদত কবুলের অন্যতম পূর্বশর্ত। অথচ সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী যা ইসলামে হারাম ঘোষিত হয়েছে এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির নোংরা হাতিয়ার হিসাবে যা সর্বযুগে সকল জ্ঞানী মহল কর্তৃক নিনিদত হয়েছে, সেই প্রকাশ্য হারামী অর্থব্যবস্থা বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে চালু রয়েছে। ফলে ধনীদের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ও গরীবেরা আরও নিঃস্ব হচেছ। যার পরিণতি স্বরূপ সমাজে অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে দেশী ও বিদেশী পুঁজিবাদী সুদখোর এন,জি,ও-সমূহের অপতৎপরতা। যাদের অধিকাংশ দারিদ্র্য বিমোচনের নামে দারিদ্র্য স্থায়ীকরণ করছে এবং অনেকে সাধারণ জনগনের ঈমান ও নৈতিকতা হরণ করছে। এভাবে দেশটি সর্বদা অর্থ নৈতিকভাবে পঙ্গু ও পরমুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে- যা আন্তর্জাতিক সূদীচক্র ও সাম্রাজ্যবাদীদের সুদূরপ্রসারী নীল নকশারই অংশ। উপরোক্ত দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা হ’তে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের কর্মসূচী সমূহ নিম্নরূপ :
(ক) সকল প্রকারের হারাম উপার্জন হ’তে বিরত থাকা।
(খ) যাবতীয় অলসতা, বিলাসিতা ও অপচয় পরিহার করা এবং সর্বদা ‘অল্পে তুষ্ট থাকার’ ইসলামী নীতির অনুশীলন করা।
(গ) নির্দিষ্ট ইমারত-এর অধীনে সুষ্ঠু পরিকল্পনা মোতাবেক বায়তুল মালের সংগ্রহ ও বন্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
(ঘ) সমাজ কল্যাণমূলক ইসলামী প্রকল্প সমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
(ঙ) অনৈসলামী অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করা এবং দেশের সরকারের নিকটে ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালুর জন্য জোর দাবী পেশ করা।
৩. নেতৃত্বের সংস্কার :
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসৎ নেতৃত্ব আজ সমাজ জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। শান্তিপ্রিয় সৎ নেতৃত্ব সর্বত্র মুখ লুকিয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য পূর্বে বর্ণিত শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক কারণ দু’টি ছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলিকে আমরা মৌলিক কারণ হিসাবে চিহ্নিত করতে পারিঃ
(ক) সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক পদ্ধতি এবং হরতাল, ধর্মঘট ও মিছিলের যথেচ্ছ ব্যবহার।
(খ) দল ও প্রার্থী ভিত্তিক নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা।
(গ) সৎ ও অসৎ সকলের ভোটের মূল্য ও নির্বাচনের অধিকার সমান গণ্য করা।
(ঘ) দলীয় প্রশাসন, দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা।
এক্ষণে নেতৃত্ব সংস্কারের লক্ষ্যে জাতির নিকটে আমাদের প্রস্তাবসমূহ নিম্নরূপ :
(ক) সর্বত্র ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন নীতি অনুসরণ করা এবং ইমারত ও শূরা পদ্ধতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা।
(খ) আল্লাহ্কে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসাবে ঘোষণা করা এবং তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ ‘অহি’ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে রাষ্ট্রীয় আইনে মূল ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করা।
(গ) স্বাধীন ও ইসলামী বিচার ব্যবস্থা চালু করা।
আমাদের দাওয়াত
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ এদেশে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিজয় ও বাস্তবায়ন দেখতে চায়। এজন্যে রাসুলুল্লাহ (ছাঃ)-এর তরীকা আনুযায়ী নির্দিষ্ট ‘ইমারত’-এর অধীনে পূর্ণ ইখলাছের সাথে দাওয়াত ও জিহাদের কর্মসূচী নিয়ে জামা‘আতবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চায়। অতএব কিতাব ও সুন্নাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশ্বাসী সকল মুমিন ভাই-বোনকে এই জিহাদী কাফেলায় শামিল হ’য়ে জান ও মালের কুরবাণী পেশ করার জন্যে আমরা উদাত্ত আহবান জানাই!! আরও জানতে হ’লে ‘আন্দোলন’-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বইপত্র পড়ুন ও সংগঠনে যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ গ্রহণ করুন।