জিহাদ ও কিতাল

উপসংহার

একজন মুমিন যেখানেই বসবাস করুক, সর্বদা তার জিহাদী চেতনা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। ‘ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ’-এর মূলনীতি থেকে সে মুহূর্তের জন্যও বিরত থাকতে পারবে না। বাতিলের সঙ্গে আপোষ করে নয়, বরং বাতিলের মুকাবিলা করেই তাকে এগোতে হবে। এজন্য নিরন্তর দাওয়াত ও জিহাদের মাধ্যমে সংস্কার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এককভাবে ও সুসংগঠিতভাবে। এভাবেই সমাজে স্থায়ী পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। আর এটাই হ’ল নবীগণের চিরন্তন তরীকা। কেননা একজন পথভোলা মানুষের আক্বীদা ও আমল পরিশুদ্ধ করা ও তাকে জান্নাতের পথ প্রদর্শন করা অন্য সকল কিছুর চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আর ইসলাম তরবারীর জোরে নয় বরং তা প্রতিষ্ঠিত হবে তার অন্তর্নিহিত তাওহীদী চেতনার অজেয় শক্তির জোরে। একদিন যা পৃথিবীর সকল প্রান্তে মাটির ঘরে ও গরীবের পর্ণকুটিরেও প্রবেশ করবে ইনশাআল্লাহ।[1] আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!

سبق پڑه پهر شجاعت كا صداقت كا  أمانت كا

ليا  جائيگا  كام  تجھ  سے دنيا  كى  إمامت كا

‘সবক পড় আবার সত্যবাদিতার, বীরত্বের ও আমানতদারীর

তোমাকে দিয়ে কাজ নেওয়া হবে পৃথিবীর নেতৃত্ব প্রদানের’ (ইকবাল) \



[1]. আহমাদ হা/১৬৯৯৮; ছহীহাহ হা/৩; মিশকাত হা/৪২।