জিহাদ ও কিতাল

বড় কুফরের উদাহরণ

আল্লাহ বলেন, (১) هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ فَمِنْكُمْ كَافِرٌ وَمِنْكُمْ مُؤْمِنٌ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ ‘তিনি সেই সত্তা যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় ‘কাফির’ ও কেউ হয় ‘মুমিন’। আর তোমরা যা কর, সবই আল্লাহ দেখেন’ (তাগাবুন ৬৪/২)। (২) قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ- لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ ‘তুমি বল, হে কাফিরগণ! আমি ইবাদত করি না যাদের তোমরা ইবাদত কর’ (কাফিরূন ১০৯/১-২)। (৩) لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللهَ ثَالِثُ ثَلاَثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلاَّ إِلَهٌ وَاحِدٌ ‘নিশ্চয়ই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, আল্লাহ তিন উপাস্যের অন্যতম। অথচ এক উপাস্য ভিন্ন অন্য কোন উপাস্য নেই’... (মায়েদাহ ৫/৭৩)। (৪) وَمَنْ يَتَبَدَّلِ الْكُفْرَ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ ‘যে ব্যক্তি ঈমানের বদলে কুফরীকে অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়’ (বাক্বারাহ ২/১০৮)। (৫) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ ِللهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِى الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِى النَّارِ ‘তিনটি বস্ত্ত যার মধ্যে রয়েছে, সে তার মাধ্যমে ঈমানের স্বাদ পেয়েছে। (ক) যার নিকটে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সকল কিছু হ’তে প্রিয়তর (খ) যে ব্যক্তি কাউকে স্রেফ আল্লাহর জন্য ভালোবাসে এবং (গ) যে ব্যক্তি কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে এমন অপসন্দ করে, যা থেকে আল্লাহ তাকে মুক্তি দিয়েছেন, যেমন সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হ’তে অপসন্দ করে।[1]

(৬) তিনি বলেন, কাফের যখন কোন সৎকর্ম করে, তার বিনিময়ে আল্লাহ তাকে দুনিয়ায় খাদ্য দান করেন। পক্ষান্তরে আল্লাহ মুমিনের নেকীসমূহ আখেরাতের জন্য জমা রাখেন’।[2] (৭) বিদায় হজ্জের ভাষণে তিনি বলেন, وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِى أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ يَهُودِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِى أُرْسِلْتُ بِهِ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ  ‘যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন, তাঁর কসম করে বলছি, ইহূদী হৌক বা নাছারা হৌক এই উম্মতের যে কেউ আমার আগমনের খবর শুনেছে, অতঃপর মৃত্যুবরণ করেছে, অথচ আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি, তার উপরে ঈমান আনেনি, সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে’।[3]  


[1]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮।

[2]. মুসলিম হা/২৮০৮; মিশকাত হা/৫১৫৯।

[3]. মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০।