জিহাদ ও কিতাল

বড় কুফর (الكفر الأكبر) ৬ প্রকার

(১) ইসলামে মিথ্যারোপ করা (নমল ২৭/৮৩-৮৪) (২) তাকে অস্বীকার করা (নমল ২৭/১৪; বাক্বারাহ ২/৮৯) (৩) ইসলামের বিরুদ্ধে হঠকারিতা করা (বাক্বারাহ ২/৩৪) (৪) এড়িয়ে চলা (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৩-৫) (৫) সন্দেহ পোষণ করা (ইবরাহীম ১৪/৯) (৬) অন্তরে অবিশ্বাস রাখা ও মুখে স্বীকার করা (নিসা ৪/৬১)

এগুলি তিনভাবে হয়ে থাকে : (১) বিশ্বাসগতভাবে। যেমন কাউকে আল্লাহ বা তাঁর গুণাবলীতে শরীক সাব্যস্ত করা বা অসীলা নির্ধারণ করা। আল্লাহর ইবাদতের ন্যায় অন্যকে সম্মান প্রদর্শন করা। আল্লাহর ন্যায় অন্যকে মঙ্গলামঙ্গলের অধিকারী মনে করা। আল্লাহর স্ত্রী-পুত্র নির্ধারণ করা। তাঁর কৃত হারামকে যেমন সূদ-ব্যভিচার, মদ্যপান প্রভৃতিকে হালাল জ্ঞান করা ইত্যাদি। (২) কথার মাধ্যমে। যেমন আল্লাহ বা তাঁর রাসূলকে বা ইসলামকে গালি দেওয়া, হেয় করা, উপহাস ও ব্যঙ্গ করা। কুরআন বা তার কোন আয়াতকে অস্বীকার বা তাচ্ছিল্য করা (তওবাহ ৯/৬৫)। (৩) কাজের মাধ্যমে। যেমন কবরে বা ছবি-মূর্তি ও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করা, সূর্য বা চন্দ্রকে সিজদা করা (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৩৭)। পবিত্র কুরআনকে তাচ্ছিল্যভরে ছুঁড়ে ফেলা বা পুড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি।

যদি কেউ এগুলি জেনে-বুঝে করে এবং বারবার বুঝানো সত্ত্বেও তার ভ্রান্ত বিশ্বাসে অটল থাকে এবং তওবা না করে, তাহ’লে সে স্পষ্ট কাফির এবং ইসলাম থেকে খারিজ ও ‘মুরতাদ’ বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য যে, মুনাফিকরা বড় কাফের হ’লেও তারা ‘মুরতাদ’ হবে না এবং তাদের উপর দন্ডবিধি জারি হবে না। কেননা তারা বাহ্যিকভাবে ইসলামকে স্বীকার করে। তবে আখেরাতে তারা কাফেরদের সাথেই একত্রে জাহান্নামে থাকবে (নিসা ৪/১৪০)। বরং তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে (নিসা ৪/১৪৫)