জিহাদ ও কিতাল
কবীরা গোনাহগার কাফের নয়
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিন থাকা অবস্থায় কোন ব্যভিচারী ব্যভিচার করতে পারে না, কোন চোর চুরি করতে পারে না, কোন মদ্যপ মদ্যপান করতে পারে না, কোন ডাকাত ডাকাতি করতে পারে না, কেউ গণীমতের মালে খেয়ানত করতে পারে না। অতএব তোমরা সাবধান হও! তোমরা সাবধান হও’! ইবনু আববাস-এর বর্ণনায় আরও এসেছে, ‘মুমিন থাকা অবস্থায় হত্যাকারী কাউকে হত্যা করতে পারে না’। এর ব্যাখ্যায় ইবনু আববাস (রাঃ) দুই হাতের আঙ্গুলগুলি পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে অতঃপর বের করে নিয়ে বলেন, যখন সে তওবা করে, তখন ঈমান তার মধ্যে আবার প্রবেশ করে। ইমাম বুখারী (রহঃ) অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে ‘মুমিন’ অর্থ ‘পূর্ণ মুমিন’ (مُؤْمِنًا تَامًّا)। পাপ কাজের সময় ঈমানের নূর তার অন্তর থেকে বেরিয়ে যায়’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩)।
আর মুসলমান পরস্পরে যুদ্ধ করলেও তারা যে কাফের ও মুরতাদ হয় না, তার বড় প্রমাণ হ’ল সূরা হুজুরাত ৯ আয়াতটি। যেখানে আল্লাহ পরস্পরে যুদ্ধরত উভয়পক্ষকে ‘মুমিন’ বলে অভিহিত করেছেন।