জিহাদ ও কিতাল

بسم الله الرحمن الرحيم

১ম ভাগ

জিহাদ ও ক্বিতাল

‘জিহাদ’ অর্থ, আল্লাহর পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো’ এবং ‘ক্বিতাল’ অর্থ আল্লাহর পথে কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করা’। জিহাদ হ’ল ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া। পঞ্চস্তম্ভের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু চূড়া বা ছাদ না থাকলে তাকে পূর্ণাঙ্গ গৃহ বলা যায় না। চূড়াহীন গৃহের যে তুলনা, জিহাদবিহীন ইসলামের সেই তুলনা। জিহাদেই জীবন, জিহাদেই সম্মান ও মর্যাদা। জিহাদবিহীন মুমিন মর্যাদাহীন ব্যক্তির ন্যায়। জিহাদের মাধ্যমেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা পায়। আল্লাহর জন্য মুসলমানের প্রতিটি কর্ম যেমন ইবাদত, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠায় মুসলমানের প্রতিটি সংগ্রামই তেমনি জিহাদ। দ্বীনের বিজয় জিহাদের উপরেই নির্ভরশীল। জিহাদ হ’ল মুমিন ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্যের অন্যতম মানদন্ড। আল্লাহ বলেন, যারা ঈমানদার তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে। আর যারা কাফির, তারা যুদ্ধ করে ত্বাগূতের পথে। অতএব তোমরা শয়তানের বন্ধুদের সাথে যুদ্ধ কর। নিশ্চয়ই শয়তানের কৌশল সদা দুর্বল’ (নিসা ৪/৭৬)

বস্ত্ততঃ মুমিন তার জীবনপথের প্রতিটি পদক্ষেপ ও চিন্তা-চেতনায় শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। শয়তানী সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে মুমিনের সংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী। তাই সর্বদা তাকে জিহাদী চেতনা নিয়েই পথ চলতে হয়। কোন অবস্থাতেই সে বাতিলের ফাঁদে পা দেয় না বা তার সঙ্গে আপোষ করতে পারে না। কেননা শয়তান মুমিনের প্রকাশ্য দুশমন। বাতিলের সমাজে বসবাস করেও নবীগণ কখনো বাতিলের সঙ্গে আপোষ করেননি। তাদেরকে নিরন্তর যুদ্ধ করতে হয়েছে মূলতঃ সমাজের লালিত আক্বীদা-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে, যা কখনো কখনো সশস্ত্র মুকাবিলায় রূপ নিয়েছে। একই নীতি-কৌশল সকল যুগে প্রযোজ্য।

চেতনাহীন মানুষ প্রাণহীন লাশের ন্যায়। ইসলামের শত্রুরা তাই মুসলমানের জিহাদী চেতনাকে বিনাশ করার জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। এযুগেও তা অব্যাহত রয়েছে। তারা ইসলামকে চূড়াহীন একটা পাঁচখুঁটির চালাঘর বানানোর জন্য তাকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ময়দান থেকে হটানোর উদ্দেশ্যে যুগে যুগে নানা থিওরী প্রবর্তন করেছে। এভাবে সুকৌশলে তারা সর্বত্র একদল বশংবদ ‘নেতা’ বানিয়েছে এবং চূড়ার কর্তৃত্ব সর্বদা নিজেদের হাতে রেখে দিয়েছে। ফলে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও তাঁর প্রেরিত মঙ্গলময় জীবন বিধান প্রায় সকল ক্ষেত্রে পদদলিত হচেছ। আর মানবতা ইসলামের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্যই আল্লাহ মুমিনের উপর জিহাদকে ফরয করেছেন। যেমন তিনি বলেন,

وَجَاهِدُوْا فِي اللهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ ‘আর তোমরা জিহাদ কর আল্লাহর পথে যথার্থভাবে; তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন’ (হজ্জ ২২/৭৮)। অন্যত্র তিনি বলেন,

كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَكُمْ وَاللهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ -

‘তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে। অথচ তা তোমাদের জন্য কষ্টকর। বহু বিষয় এমন রয়েছে, যা তোমরা অপসন্দ কর। অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার বহু বিষয় এমন রয়েছে, যা তোমরা পসন্দ কর। অথচ তা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। বস্ত্ততঃ আল্লাহ (পরিণাম সম্পর্কে) অধিক জানেন, কিন্তু তোমরা জানো না’ (বাক্বারাহ ২/২১৬)। অত্র আয়াতের মাধ্যমে যুদ্ধকারী মুশরিকদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয় (কুরতুবী)। যা ২য় হিজরীতে নাযিল হয়।[1]

শাব্দিক ব্যাখ্যা :

(১)كُتِبَ  (কুতিবা) অর্থ ‘লিখিত হয়েছে’।  কুরআনী পরিভাষায় এর অর্থ : فُرِضَ وَأُثْبِتَ ‘ফরয করা হয়েছে’ বা ‘নির্ধারিত হয়েছে’। যেমন كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ ‘তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে’ (বাক্বারাহ ২/১৮৩) كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى ‘তোমাদের উপরে হত্যার বদলে হত্যাকে ফরয করা হয়েছে’ (বাক্বারাহ ২/১৭৮)

(২)الْقِتَالُ  (ক্বিতাল) অর্থ, (ক) ‘পরস্পরে যুদ্ধ করা’। বাবে মুফা‘আলাহর অন্যতম মাছদার। (খ) ‘প্রতিরোধ করা’। যেমন মুছল্লীর সম্মুখ দিয়ে গমনকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিস্বরূপ হাদীছে বলা হয়েছে فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ‘তার উচিৎ ওকে সজোরে রুখে দেয়া। কেননা ওটা শয়তান’।[2] (গ) ‘লা‘নত করা’। যেমন কুরআনে বলা হয়েছে, قَاتَلَهُمُ اللهُ أَنَّى يُؤْفَكُوْنَ ‘আল্লাহ ওদের ধ্বংস করুন, ওরা কোন্ পথে চলেছে? (তওবাহ ৯/৩০)। (ঘ) ‘বিস্মিত হওয়া ও প্রশংসা করা’। যেমন বলা হয়ে থাকে قَاتَلَهُ اللهُ مَا أَفْصَحَهُ ‘আল্লাহ ওকে ধ্বংস করুন, কতই না শুদ্ধভাষী সে’।

(৩) كُرْهٌ (কুরহুন) অর্থ, ‘কষ্ট’। ইবনু ‘আরাফাহ বলেন, الْكُرْهُ الْمَشَقَّةُ والْكَرْهُ بالفتح مَا أُكْرِهْتَ عَلَيْهِ ‘আল-কুরহু’ অর্থ, কষ্ট এবং ‘আল-কারহু’ অর্থ, যা তোমার উপর চাপানো হয়’। ইমাম কুরতুবী (৬১০-৬৭১ হিঃ/১২১৪-১২৭৩) বলেন, هذا هو الاختيار এটাই পসন্দনীয়। তবে দু’টি শব্দ একই অর্থে আসাটাও সিদ্ধ’ (কুরতুবী)। জমহূর বিদ্বানগণ এর অর্থ করেছেন, الكُرهُ الطَّبِيْعِىُّ وَالْمَشَقَّةُ ‘স্বভাবগত অপসন্দ ও কষ্ট’। এটি সন্তুষ্টি ও সমর্থনের বিরোধী নয় বা কষ্ট সহ্য করার আগ্রহের বিপরীত নয়। কেননা জিহাদের বিষয়টি আল্লাহর নির্দেশাবলীর অন্তর্ভুক্ত এবং এর মধ্যেই রয়েছে দ্বীনের হেফাযতের গ্যারান্টি’।[3] যা কোন মুমিন কখনো অপসন্দ করতে পারেনা।

ইকরিমা বলেন, ‘(কষ্টকর বিষয় হওয়ার কারণে) মুসলমানরা এটাকে অপসন্দ করে। কিন্তু পরে পসন্দ করে এবং বলে যে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। কেননা আল্লাহর হুকুম মানতে গেলে কষ্ট করতেই হবে। কিন্তু যখন এর অধিক ছওয়াবের কথা জানা যায়, তখন তার পাশে যাবতীয় কষ্টকে হীন মনে হয়’ (কুরতুবী)

সৈয়দ রশীদ রিযা (১৮৬৫-১৯৩৫ খৃঃ) বলেন, কেউ কেউ জিহাদকে কঠিন বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অথচ মুমিনগণ এটাকে কিভাবে অপসন্দ করতে পারে? যে বিষয়টি আল্লাহ তাদের উপরে ফরয করেছেন এবং এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে তাদের সৌভাগ্য। তবে হ্যাঁ, এটি স্বভাবগত অপসন্দের বিষয়াবলীর মধ্যে গণ্য হ’তে পারে, যার মধ্যে তার জন্য উপকার ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে।  যেমন তিক্ত ঔষধ সেবন, ইনজেকশন গ্রহণ ইত্যাদি। তাছাড়া ছাহাবীগণ যুদ্ধ-বিগ্রহকে স্বভাবগতভাবেও অপসন্দ করতেন না। কেননা তাঁরা এতে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়টি খেয়াল করেছিলেন যে, মদীনায় তাঁদের অধিকাংশ ছিলেন মুহাজির এবং সংখ্যায় অল্প। মুশরিকদের মুকাবিলায় দুনিয়াবী শক্তির ভারসাম্যহীনতার কারণে তাঁরা যে মুছীবত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং যে হক-এর প্রতি তাঁরা মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছেন ও যার সামাজিক প্রতিষ্ঠা তাঁরা কামনা করছেন, সেটুকু অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যাবে। এতদ্ব্যতীত তাঁদের নিকটে আরেকটি চিন্তার বিষয় ছিল সেটি হ’ল, তাঁরা ছিলেন শান্তি ও মানবকল্যাণের আকাংখী। সশস্ত্র যুদ্ধ হ’লে সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে এবং এতে লোকদের সামগ্রিকভাবে ইসলামে প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আমিই মাত্র জানি, তোমরা জানো না’। অর্থাৎ শান্তির অবস্থায় সকল মানুষ ইসলামে প্রবেশ করবে- এরূপ ধারণা বাতিল। কেননা লোকদের মধ্যে বহু দুষ্ট চরিত্রের লোক রয়েছে। তাদেরকে সমাজদেহ থেকে উৎখাত করা সুস্থ দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার শামিল। অতএব এই যুদ্ধ বা জিহাদ তোমাদের জন্য নিঃসন্দেহে কল্যাণকর’।[4]

আয়াতের ব্যাখ্যা :

ইতিপূর্বে মক্কায় জিহাদের অনুমতি ছিল না। পরে সেখান থেকে হিজরতকালে জিহাদের অনুমতির আয়াত নাযিল হয় সূরা হজ্জ ৩৯ আয়াতের মাধ্যমে।[5] অতঃপর ২য় হিজরী সনে মদীনায় অবতীর্ণ সূরা বাক্বারাহ ২১৬ আয়াতের মাধ্যমে মুসলমানদের উপরে প্রথম ‘জিহাদ’ ফরয করা হয়।[6] অত্র আয়াতে ‘ক্বিতাল’ শব্দ বলা হ’লেও সূরা তাওবাহ ৪১ আয়াতে ‘জিহাদ’ শব্দ উল্লেখিত হয়েছে।[7] যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে শুধু ক্বিতাল বা ‘যুদ্ধ’ নয়, বরং মুশরিক ও কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে জান-মাল দিয়ে সর্বদা ‘জিহাদ’ বা সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়েছে।

‘জিহাদ’ শব্দটি ব্যাপক প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং ‘ক্বিতাল’ শব্দটি বিশেষভাবে ‘সশস্ত্র যুদ্ধ’ হিসাবে গণ্য হয়। ‘জিহাদ’ শান্তি ও যুদ্ধ সকল অবস্থায় প্রযোজ্য। পক্ষান্তরে ‘ক্বিতাল’ কেবল যুদ্ধাবস্থায় প্রযোজ্য। ‘জিহাদ’ বললে দু’টিই বুঝায়। ‘ক্বিতাল’ বললে স্রেফ ‘যুদ্ধ’ বুঝায়। যদিও দু’টি শব্দ অনেক সময় সমার্থক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে ইসলামী পরিভাষায় ‘জিহাদ’ শব্দটিই অধিক প্রচলিত ও অধিক গ্রহণীয়।

‘জিহাদ’ جُهْدٌ ‘জুহদুন’ ধাতু হ’তে উৎপন্ন। যার অর্থ, কষ্ট ও চূড়ান্ত প্রচেষ্টা।جَاهَدَ يُجَاهِدُ مُجَاهَدَةً وَجِهَادًا إِذَا اسْتَفْرَغَ وُسْعَهُ وَبَذَلَ طَاقَتَهُ وَتَحَمَّلَ الْمَشَاقَّ فِىْ مُقَاتَلَةِ الْعَدُوِّ وَمُدَافَعَتِهِ-  অর্থাৎ যখন কেউ শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে ও তাকে প্রতিরোধের জন্য তার সকল ক্ষমতা ও শক্তি ব্যয় করে এবং কষ্টসমূহ সহ্য করে, তাকে আভিধানিক অর্থে ‘জিহাদ’ বলে’।[8] ইসলামী পরিভাষায় ‘জিহাদ’ অর্থ : আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য বাতিলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো’। ‘জিহাদ’ শব্দটি পারিভাষিক অর্থেই অধিক প্রচলিত। মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন, ‘জিহাদ’ অর্থ ‘কাফেরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো অথবা মাল দ্বারা, পরামর্শ দ্বারা, দলবৃদ্ধি দ্বারা কিংবা অন্য যেকোন পন্থায় কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতা করা’। তিনি বলেন, জিহাদ হ’ল ‘ফরযে কিফায়াহ’। কেউ সেটা করলে অন্যের উপর থেকে দায়িত্ব নেমে যায়’।[9]

ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন,  الْجِهَادُ شَرْعًا بَذْلُ الْجُهْدِ فِي قِتَالِ الْكُفَّارِ وَيُطْلَقُ أَيْضًا عَلَى مُجَاهَدَةِ النَّفْسِ وَالشَّيْطَانِ وَالْفُسَّاقِ ‘শারঈ পরিভাষায় জিহাদ হ’ল, কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়োজিত করা। এর দ্বারা নফস, শয়তান ও ফাসিকদের বিরুদ্ধে জিহাদকেও বুঝানো হয়’।[10]



[1]. সৈয়দ মুহাম্মাদ রশীদ রেযা, মুখতাছার তাফসীরুল মানার (বৈরূত : ১ম সংস্করণ ১৪০৪/১৯৮৪) ১/১৮৬ পৃঃ।

[2]. ইবনু মাজাহ হা/৯৫৪, নাসাঈ হা/৪৮৬২; বুখারী, মিশকাত হা/৭৭৭।

[3]. সৈয়দ রশীদ রেযা, মুখতাছার তাফসীরুল মানার ১/১৮৬।

[4]. সৈয়দ রশীদ রেযা, মুখতাছার তাফসীরুল মানার ১/১৮৬-১৮৭ পৃঃ (সার-সংক্ষেপ)।

[5]. أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُوْنَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيْرٌ -হজ্জ ২২/৩৯।

[6]. তিরমিযী হা/৩১৭১, নাসাঈ হা/৩০৮৫; মুখতাছার তাফসীরুল মানার ১/১৮৬।

[7]. তওবাহ ৪১ আয়াত; انْفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالاً وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللهِ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ-                                                                       

[8]. সাইয়িদ সাবিক্ব, ফিক্বহুস সুন্নাহ (কায়রো : দারুল ফাৎহ, ৫ম সংস্করণ ১৪১২/১৯৯২) ৩/৮৬।

[9]. মোল্লা আলী ক্বারী, মিরক্বাত শরহ মিশকাত (মুলতান : ইশ‘আতুল মা‘আরেফ, ১৩৮৬/১৯৬৬) ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৭/২৬৪ পৃঃ।الْجِهَادُ : بِكَسْرِ أَوَّلِهِ، وَهُوَ لُغَةً الْمَشَقَّةُ، وَشَرْعًا بَذْلُ الْمَجْهُودِ فِي قِتَالِ الْكُفَّارِ مُبَاشَرَةً، أَوْ مُعَاوَنَةً  بِالْمَالِ، أَوْ بِالرَّأْيِ، أَوْ بِتَكْثِيرِ السَّوَادِ، أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ-

[10]. আহমাদ ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাৎহুল বারী শরহ ছহীহুল বুখারী (কায়রো : ১৪০৭/১৯২৭) ‘জিহাদ’ অধ্যায় ৬/৫ পৃঃ।