হাদীছের প্রামাণিকতা

২. মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া (১৩১৭-১৪০২ হিঃ/১৮৯৮-১৯৮২ খৃঃ)

তাবলীগ জামা‘আতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস (১৩০৩-১৩৬৩/১৮৮৫-১৯৪৪ খৃঃ)-এর নির্দেশত্রুমে অন্যতম নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া কান্ধলভী সাহারানপুরী ‘তাবলীগী নেছাব’ প্রণয়ন করেন। যাতে হেকায়াতে ছাহাবা এবং ফাযায়েলে নামায, তাবলীগ, যিকর, কুরআন, রামাযান, দরূদ, ছাদাক্বাত ও হজ্জসহ মোট ৯টি বিষয়ে দু’খন্ডে সমাপ্ত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ১৯২১ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ‘মেওয়াত’ (ميوات) এলাকার ‘ফীরোযপুর নিমক’   (فيروزپور نمك)গ্রামে প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত অস্তিত্ব লাভ করে। যেখানে মাওলানা ইলিয়াস (১৮৮৫-১৯৪৪ খৃঃ জন্মস্থান : মেওয়াত, হরিয়ানা, ভারত) তাঁর শিষ্যদের নিকট প্রায়ই যেতেন। একদা সেখানে থাকা অবস্থায় তাঁর কিছু শিষ্য এসে বলল যে, তারা কালেমা শিখানোর জন্য ও মসজিদে ছালাতে আসার জন্য বাড়ী বাড়ী গিয়ে লোকদের দাওয়াত দিয়ে থাকে। তাদের একাজটি তাঁর খুব পসন্দ হয় এবং অন্যান্য গ্রামেও দাওয়াত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি তাদের উৎসাহ দেন। এভাবেই প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আতের সূচনা হয়।[1]

তাবলীগী নেছাব (تبليغى نصاب) :

আহলেহাদীছের নিকটে ‘ছহীহায়েন’-এর যে মর্যাদা, তাবলীগী ভাইদের নিকটে ‘তাবলীগী নেছাব’-এর সেই মর্যাদা বললেও অত্যুক্তি হবে না। এ কিতাবটিই তাদের নিকটে সর্বাধিক মর্যাদামন্ডিত এবং ঘরে-বাইরে, সফরে- অবসরে সর্বদা অতি যত্নের সাথে পঠিত। তাবলীগী নেছাবের লেখক ‘শায়খুল হাদীছ’ নামে খ্যাত। অথচ হাদীছের পিঠে মিষ্টিমুখে যে ছুরিকাঘাত তিনি করেছেন, তা অন্য কারু পক্ষে সম্ভব হয়েছে কি-না সন্দেহ। কুরআনের আয়াত ও হাদীছের অপব্যাখ্যার সাথে সাথে তিনি যেসব উদ্ভট ও কাল্পনিক মা‘রেফতী গল্পসমূহ জুড়ে দিয়েছেন, তা একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। দুর্ভাগ্য যে, এই কিতাবটি বিভিন্ন মসজিদে জামা‘আত শেষে ইমাম অথবা তাবলীগের লোকেরা মুছল্লীদেরকে অতি বিনয় ও নম্রতার সাথে পড়ে শুনিয়ে থাকেন ও শেষে দলবদ্ধভাবে মুনাজাত (প্রার্থনা) করে থাকেন।

অথচ এগুলি পড়লে আল্লাহভক্তির স্থান দখল করে নেয় তথাকথিত মুরববী ও বুযর্গ ভক্তি। কুরআন-হাদীছের স্থান দখল করে নেয় বিভিন্ন তরীকার ছূফী ও তাদের কাশ্ফ ও কারামতের মিথ্যা ও অলীক কাহিনীসমূহ। মুছল্লীর মাথার মধ্যে তখন ঐসব ভিত্তিহীন কল্পকথা ঘুরপাক খেতে থাকে। আর ভাবে যে, কখন চিল্লায় গিয়ে ঐসব ছূফী বুযর্গের ন্যায় উচ্চ মর্যাদা লাভে ধন্য হব। আশ্চর্যের বিষয়, দারুল উলূম দেউবন্দের মসজিদেও নাকি এ কিতাবটি পড়ে মুছল্লীদের শুনানো হয় এবং এ যাবত তার এই বইটির প্রতিবাদে কেউ কোন বই প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়নি। উপমহাদেশের বিশাল হানাফী জামা‘আতের হাযার হাযার হানাফী আলেম এ বইটিকে কিভাবে নীরবে সর্মথন দিয়ে চলেছেন।

ভেবে আশ্চর্য হ’তে হয় যে, ‘ইসরাঈলে’ ইসলামী বইপত্র নিষিদ্ধ, সেখানেও এ কিতাবের রয়েছে অবাধ প্রবেশাধিকার এবং এ কিতাবের প্রচারক তাবলীগী ভাইদের রয়েছে সেদেশে নির্বিঘ্নে পদচারণার ঢালাও অনুমতি। একইভাবে অনুমতি রয়েছে সেখানে কাদিয়ানীদের ব্যাপক প্রবেশাধিকারের। কাদিয়ানীদের হেড অফিস লন্ডনে ও ইসরাঈলের হাইফা নগরীতে। দু’টি আন্দোলনেরই উৎসস্থল ভারত উপমহাদেশ এবং দু’টিরই জন্ম বৃটিশ আমলে। কাদিয়ানীরা ধর্মদ্রোহী কাফের। কিন্তু তারা ইসলামের নামেই দেশে ও বিদেশে বিকৃত ইসলামের প্রচার করে থাকে। পক্ষান্তরে তাবলীগীরা ইসলামের গন্ডীর মধ্যে থেকেই ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যা দেশ-বিদেশে প্রচার করে। আখেরাতে মুক্তির সন্ধানী হুঁশিয়ার মুমিনগণ সাবধানে পা ফেলবেন, এটাই কাম্য।

তাবলীগী নেছাবের অন্য বিষয় বাদ দিয়ে কেবল তাদের হাদীছ প্রচারের কয়েকটি নমুনা উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরা হ’ল :

১. ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আদম (আঃ) অপরাধ করার পর আল্লাহর আরশের দিকে তাকিয়ে দেখেন সেখানে লেখা আছে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’। তখন তিনি মুহাম্মাদের অসীলায় আল্লাহর  নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন। অতঃপর আল্লাহ আদমকে বলেন, যদি মুহাম্মাদ না হ’তেন, তাহ’লে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’। অন্য একটি প্রসিদ্ধ জাল হাদীছ উক্ত মর্মে প্রচলিত আছে, ‘লাওলা-কা লামা খালাক্বতুল আফলা-কা’ (যদি আপনি না হ’তেন, তাহ’লে আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না)।[2]

অন্যত্র ‘ফাযায়েলে দরূদ শরীফে’ (পৃঃ ৮৫, গল্প নং ১৪) তিনি বলেছেন, ‘শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী স্বীয় ‘মাদারেজুন নবুঅত’ বইয়ে লিখেছেন যে, যখন হযরত হাওয়া-র জন্ম হ’ল, তখন হযরত আদম (আঃ) তার দিকে হাত বাড়াতে চাইলেন। ফেরেশতারা বললেন, ছবর কর, যতক্ষণ না বিয়ে হবে এবং মোহর না দেওয়া হবে। আদম (আঃ) বললেন, মোহর কি? ফেরেশতারা বললেন, ‘মুহাম্মাদ-এর উপর তিনবার দরূদ শরীফ পাঠ করুন’। এক রেওয়ায়াতে বিশ বারের কথা এসেছে।’ অথচ পবিত্র কুরআনে আদম সৃষ্টির ও তাঁর তওবা করার যে বর্ণনা রয়েছে (বাক্বারাহ ৩০-৩৯; আ‘রাফ ২৪), সেখানে এসবের কিছুই নেই।

পীর-আউলিয়াদের ‘অসীলা’ ধরে পরকালে মুক্তি পাওয়ার বৈধতা প্রমাণের জন্য এসব জাল হাদীছ ও মিথ্যা বর্ণনা পেশ করা হয়েছে। এরা পীর ধরতে বলেন না, বরং ‘মুরববী’ ধরতে বলেন। যেমন শায়খুল হাদীছ ‘ফাযায়েলে তাবলীগে’ (পৃঃ ৩) বলেছেন, যুগের ওলামা-মাশায়েখ হযরতগণের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি পরকালীন নাজাতের অসীলা ও গোনাহের কাফফারা হয়ে থাকে...।’ অথচ কুরআন ও হাদীছের নির্দেশনা অনুযায়ী রাসূল (ছাঃ)-এর অনুসরণ ব্যতীত পরকালে মুক্তি পাবার কোন উপায় নেই (বুখারী, মিশকাত হা/১৪৩)

২. হযরত আদম (আঃ) হিন্দুস্তান থেকে পায়ে হেঁটে এক হাযার বার হজ্জ করেছেন। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবীদের সাধারণ রীতি ছিল পায়ে হেঁটে হজ্জ করা।[3]

বাস্তবতা এই যে, শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মদীনা থেকে মক্কায় সওয়ারীতে এসে বিদায় হজ্জ করেছিলেন। অথচ ইবনু আববাস (রাঃ)-এর ন্যায় একজন প্রখ্যাত ছাহাবীর নামে এমন মিথ্যা বর্ণনা চালিয়ে দেওয়া হ’ল। একইভাবে আদম (আঃ) সম্পর্কিত বর্ণনাটি একেবারেই ভিত্তিহীন। কেননা তাঁর মোট বয়স ছিল ৯৪০ অথবা ৯৬০ বছর।[4] তাছাড়া তিনি হিন্দুস্তানে বসবাস করেছেন বলে কুরআন ও ছহীহ হাদীছে কোন প্রমাণ নেই।

৩. ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করবে, তার জন্য আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হবে’। অন্য বর্ণনায় ‘যে ব্যক্তি আমার মৃত্যুর পরে আমাকে যিয়ারত করবে, সে ব্যক্তি যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সাথে সাক্ষাত করল’। অন্য বর্ণনায় ‘যে ব্যক্তি হজ্জ করল, অথচ আমার কবর যিয়ারত করল না, সে আমার উপর যুলুম করল’।[5] হাদীছগুলি মওযূ বা জাল।[6] আর এটা স্পষ্ট যে, রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যেয়ারত হজ্জের কোন অংশ নয়।

৪. রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ছালাত ক্বাযা করবে, যদিও সে তা পরে আদায় করে, তথাপি সময় মত ছালাত আদায় না করার কারণে ঐ ব্যক্তি এক হোক্ববা জাহান্নামে থাকবে। এক ‘হোক্ববা’ হ’ল ২ কোটি ৮৮ লক্ষ বছর।[7] পাঠক স্মরণ রাখুন, খন্দকের যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ)-এর পর পর কয়েক ওয়াক্ত ছালাত এবং খায়বার যুদ্ধে ফজরের ছালাত ক্বাযা হয়েছিল। এতদ্ব্যতীত ছাহাবায়ে কেরাম থেকেও ছালাত ক্বাযা করার বহু প্রমাণ দেখা যায়। তাহ’লে তাঁদের অবস্থা কী হবে?

৫. (ক) মুসলমানদের জিহাদী জাযবা খতম করার জন্য তিনি বিনা সনদে লেখেন, একদা রাসূল (ছাঃ) নাজদে সৈন্য পাঠান। তারা দ্রুত যুদ্ধ জয় করে গণীমতের মালামাল সহ ফিরে আসেন। এত দ্রুত ফিরে আসায় লোকেরা বিস্ময় প্রকাশ করলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এর চাইতেও কম সময়ে এর চাইতেও বেশী গণীমত লাভকারী দল সম্পর্কে সংবাদ দিব না? তারা হ’ল ঐসব লোক, যারা ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করে। অতঃপর সূর্যোদয়ের পরে দু’রাক‘আত ইশরাক্বের ছালাত আদায় করে’।[8] তিনি ইশারাক্বের দু’রাক‘আত ছালাতকে জিহাদের বিজয়ের চাইতেও উত্তম বলে গণ্য করেছেন।

(খ) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, কুযা‘আহ (قضاعة) গোত্রের দু’জন ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে এসে একত্রে মুসলমান হ’লেন। পরে তাদের একজন শহীদ হয়ে গেলেন। আরেকজন একবছর পরে স্বাভাবিকভাবে মারা গেলেন। ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহ (রাঃ) পরে স্বপ্নে দেখেন যে, শহীদ ব্যক্তির আগেই ইনি জান্নাতে প্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন যে, এতে বিস্মিত হয়ে আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি কি এক রামাযানের পূর্ণ ছিয়াম ও একবছরে ছয় হাযারের বেশী রাক‘আত সুন্নাত ছালাত আদায় করেনি?’[9] অর্থাৎ শাহাদাত লাভের চাইতে সুন্নাত-নফলের মর্যাদা বেশী।

এইভাবে সনদ বিহীন স্বপ্নের বর্ণনা ছাহাবী ও রাসূল (ছাঃ)-এর নামে লাগামহীন ভাবে লিখতে এইসব শায়খুল হাদীছের হৃদয় একটুও কেঁপে ওঠেনি। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ্বে দখলদার ইংরেজের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের মুসলমানেরা যখন জিহাদ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, তখনই দেউবন্দ-সাহারানপুরের এইসব ছূফী-শায়খুল হাদীছগণ মুসলমানদের জিহাদ থেকে বিমুখ করে বৃটিশের গোলামীর দিকে ফিরিয়ে নেবার এবং দ্বীনের নামে মুসলমানদের ঈমানী চেতনা বিনাশ করে তাবলীগের বেশে দেশ-বিদেশে ঘুরানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমে ছিলেন। আর তার পুরস্কার স্বরূপ তখন থেকে এযাবৎ তারা ইহুদী-খৃষ্টান প্রভাবিত সকল দেশে বিনা বাধায় তাদের কথিত তাবলীগী মিশন চালিয়ে যাচ্ছে।

(গ) ত্বাঊস বলেন, বায়তুল্লাহ দর্শন করা উত্তম হ’ল ঐ ব্যক্তির ইবাদতের চাইতে, যিনি ছিয়াম পালনকারী, রাত্রি জাগরণকারী এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী’।[10]

এখানে বায়তুল্লাহ দর্শনকে তিনি জিহাদের চাইতে উত্তম বলতে চেয়েছেন।

এতদ্ব্যতীত তাদের মধ্যে এই ‘মুনকার’ হাদীছটির খুবই প্রসিদ্ধি রয়েছে যে, رَجَعْنَا مِنَ الْجِهَادِ الْأَصْغَرِ إِلَى الْجِهَادِ الْأَكْبَرِ ‘আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে ফিরে এলাম’।[11] এর দ্বারা তারা তাদের হালক্বায়ে যিক্রের মজলিসগুলিকে ‘বড় জিহাদ’ এবং সশস্ত্র জিহাদের ময়দানকে ‘ছোট জিহাদ’ হিসাবে গণ্য করতে চেয়েছেন।[12]

৬. আবু হুরায়রা (রাঃ)-হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমার উপর পঠিত দরূদ পুলছিরাত পার হওয়ার সময় ‘নূর’ (জ্যোতি) হবে। যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন আমার উপর ৮০ বার দরূদ পড়বে, তার আশি বছরের গোনাহ মাফ করা হবে’।[13]


[1]. দিল্লী : পাক্ষিক মাজাল্লা আহলেহাদীছ পৃঃ ৭. ২১শে জুন ১৯৮৬ ইং/১৩ই শাওয়াল ১৪০৬ হিঃ  সম্পাদক ও লেখক : হাকীম মুহাম্মাদ আজমল খাঁ।

[2]. সিলসিলা যঈফাহ ওয়াল মওযূ‘আহ হা/২৫, ২৮২; ফাযায়েলে যিকর (মূল উর্দূ, দিল্লী : উর্দূ বাযার, মদীনা বুক ডিপো, ১৩৯৫হিঃ/১৯৭৫ খৃঃ) পৃঃ ৯৫।

[3]. ফাযায়েলে হজ্জ পৃঃ ৩৫।

[4]. তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৬২, ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘সালাম’ অনুচ্ছেদ; ঐ, হা/১১৮, ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘তাক্বদীরে বিশ্বাস’ অনুচ্ছেদ; তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৫০৭২, ৮/৪৫৯ পৃঃ।

[5]. ফাযায়েলে হজ্জ ৯৬, ৯৭, ৯৮ পৃঃ।

[6]. দারাকুৎনী, ইরওয়াউল গালীল হা/১১২৭-২৮।

[7]. ফাযায়েলে নামায, পৃঃ ৩৯।

[8]. ফাযায়েলে নামায, পৃঃ ২০।

[9]. ফাযায়েলে নামায পৃঃ ১৫।

[10]. ফাযায়েলে হজ্জ, পৃঃ ৭৭।

[11]. সিলসিলা যঈফাহ ওয়াল মওযূ‘আহ হা/২৪৬০, হাদীছ ‘মুনকার’।

[12]. আব্দুর রহমান উমরী, তাবলীগী জামা‘আত আওর উসকা নিছাব (নয়াদিল্লী : দারুল কিতাব, ১৯৮৮ খৃঃ); পৃঃ ৮৪।

[13]. ফাযায়েলে দরূদ শরীফ ১/৩৮, হা/৪; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৮০৪।