সবল ও দুর্বল বিড়াল
এক গরীব বুড়ির একটি দুর্বল বিড়াল ছিল। বুড়ির আহারের দু’লোকমা খেয়ে সে বেঁচে থাকতো। একদিন কষ্ট করে ঘরের চালে উঠে পাশের বাড়ির এক মোটা-তাজা বিড়ালকে চলাফেরা করতে দেখে বলল, ও ভাই! তুমি এত মোটা-তাজা হলে কী করে? মোটা বিড়ালটি জবাব দিল, এই বান্দা প্রতিদিন শাহী মহলে যাতায়াত করে। সেখানে চুরি করে পোলাও কোরমাতে ভাগ বসায়, আর কিছুটা অন্য সময়ের জন্য নিয়েও আসে। দুর্বল বিড়ালটি শাহী দস্তরখানের মজাদার খাবারের কথা শুনে অস্থির হয়ে পড়ল। খুব বিনয়ের সুরে সবল বিড়ালকে বলল, ভাই প্রতিবেশীর হক আদায় করা তোমার কর্তব্য। তুমি নিজে প্রত্যেকদিন শাহী দস্তরখানের স্বাদ লুটবে আর আমি কিছুই পাব না- একি ইনছাফের কথা!
সবল বিড়ালটি বলল, ভাই আমাকে এত কৃপণ মনে কর না। তোমাকে আমার খাবারে অংশীদার করতে কোন আপত্তি নেই। আমার সাথে আগামীকাল যেও। পরদিন সবল বিড়ালের সাথে দুর্বল বিড়ালটি শাহী মহলে গেল। ওদিকে এরই মধ্যে দস্তরখানের আশপাশে বিড়ালের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় বাদশাহ তীরন্দায নিযু্ক্ত করে বিড়াল আসামাত্রই তীর ছুড়ে মারার নির্দেশ দিলেন। দুর্বল বিড়ালটি যখন শাহী মহলের কাছে আসল এবং রাজকীয় খাবারের ঘ্রাণ পেয়ে জিভ বের করল, অমনি রক্ষীরা তাকে তীর মেরে জীবনলীলা সাঙ্গ করে দিলো।
শিক্ষা : অতি লোভে তাঁতী নষ্ট।