বাতিলপন্থীদের পরিণতি
দুনিয়ায় শক্তির বড়াই দেখালেও কিয়ামতের দিন বাতিলপন্থীদের অবস্থা কেমন হবে, সে বিষয়ে আল্লাহ বলেন, الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ لِلرَّحْمَنِ وَكَانَ يَوْمًا عَلَى الْكَافِرِينَ عَسِيرًا (26) وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلاً (27) يَا وَيْلَتَى لَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلاَنًا خَلِيلاً (28) لَقَدْ أَضَلَّنِي عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَاءَنِي وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلْإِنْسَانِ خَذُولاً (29) وَقَالَ الرَّسُولُ يَا رَبِّ إِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوا هَذَا الْقُرْآنَ مَهْجُورًا (30)- ‘সেদিন যথার্থ কর্তৃত্ব থাকবে দয়াময়ের হাতে এবং কাফিরদের জন্য দিনটি হবে বড়ই কঠিন’ (ফুরক্বান ২৫/২৬)। ‘সেদিন যালেম তার দু’হাত কামড়ে বলবে, হায়! যদি আমি (দুনিয়াতে) রাসূলের সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম’ (২৭)। ‘হায় কি দুর্ভোগ! যদি আমি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম’ (২৮)। ‘আমার নিকট উপদেশ (কুরআন) এসে যাওয়ার পর সে আমাকে পথভ্রষ্ট করেছিল। বাস্তবিকই শয়তান মানুষের জন্য মহা প্রতারক’ (২৯)। ‘সেদিন রাসূল বলবেন, হে আমার পালনকর্তা! আমার কওম এই কুরআনকে পরিত্যাগ করেছিল’ (ফুরক্বান ২৫/৩০)।
তাদের সম্পর্কে অন্যত্র আল্লাহ বলেন, يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِي النَّارِ يَقُولُونَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولاَ (66) وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلاَ (67) رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا (68)- ‘সেদিন তাদের মুখমন্ডল আগুনে ওলট-পালট করে ঝলসানো হবে, সেদিন তারা বলবে, হায়! যদি আমরা আল্লাহকে মানতাম ও রাসূলকে মানতাম’ (আহযাব ৩৩/৬৬)। ‘তারা আরও বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নেতাদের ও বড়দের মেনে চলতাম। অতঃপর তারাই আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল’ (৬৭)। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিশাপ দিন’ (আহযাব ৩৩/৬৮)।