ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও গণতন্ত্র
ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে গণতন্ত্র অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রথমে মুসলমানকে ঈমানের গন্ডীমুক্ত করে। অতঃপর গণতন্ত্র তাকে মানুষের গোলাম বানায়। অতঃপর সে আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে ভোটারের মনস্ত্তষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়। যা তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়।[1] গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদকে যদি একটি পাকা কলার সঙ্গে তুলনা করা যায়, তাহ’লে গণতন্ত্র হ’ল উপরের খোসা এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হ’ল ভিতরের কলা। খোসা উল্টালেই ধর্মনিরপেক্ষতার কলা বেরিয়ে আসবে। সেকারণ গণতন্ত্রের রথে চড়ে কোন ইসলামী দল ক্ষমতায় গেলে পাশ্চাত্য তাকে ‘মডারেট’ (নমনীয়) বলে স্বাগত জানায়। কোন সামরিক নেতা ক্ষমতায় গেলেও তাকে মেনে নিতে দ্বিধা করে না। কারণ ক্ষমতায় গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতেই তারা দেশ চালাবে। আর এটাই হ’ল পাশ্চাত্যের মুখ্য উদ্দেশ্য।[1]. এ বিষয়ে পাঠ করুন, ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ প্রকাশিত মাননীয় লেখকের ‘ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’ বই। -প্রকাশক।