লেখকের আরয (كلمة المؤلف)
অন্যান্য সকল বস্ত্তর ন্যায় কালক্রমে ইসলামেও যথেষ্ট ভেজালের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এসব থেকে ইসলামকে মুক্ত করে মুসলিম মিল্লাতকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর মূল আদর্শের দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ছাহাবায়ে কেরাম ও তৎকালীন হক্বপন্থী মুসলমানগণ যে আন্দোলন শুরু করেন, সেটাই ‘আহলুল হাদীছ’ বা আহলেহাদীছ আন্দোলন নামে ইতিহাসে পরিচিত। এ আন্দোলনের মর্মবাণী একটাই- মানুষকে নির্ভেজাল ইসলামের দিকে দা‘ওয়াত দেওয়া এবং ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে তা প্রতিষ্ঠা করা। এ আন্দোলন ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই চলে আসছে। ইনশাআল্লাহ ক্বিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
এ প্রসঙ্গে পাক-ভারত উপমহাদেশে আহলেহাদীছের নেতৃত্বে পরিচালিত জিহাদ আন্দোলনের বীর সিপাহ্সালার সৈয়দ আহমাদ ব্রেলভী, শাহ ইসমাঈল শহীদ, মাওলানা বেলায়েত আলী, মাওলানা এনায়েত আলী, সৈয়দ নিছার আলী তিতুমীর, হাজী শরী‘আতুল্লাহ্ প্রমুখের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
বাংলার সচেতন যুব সমাজের কাছে ইসলামের নির্ভেজাল রূপ তুলে ধরার যে দায়িত্ব নিয়ে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ তাদের অগ্রযাত্রা শুরু করেছে, আমি তাদের এ প্রচেষ্টাকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। আল্লাহ তাদের এ প্রচেষ্টা কবুল করুন-আমীন!
অতঃপর আমি এতদ্বারা ঘোষণা করছি যে, শুধুমাত্র পরকালীন স্বার্থেই আমি আমার ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন’ বইটি ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় কমিটিকে দান করলাম। ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ যতদিন তার সাংগঠনিক ঐক্য ও কার্যক্রম বজায় রাখবে, ততদিন যাবত এ বইয়ের পূর্ণ স্বত্বাধিকারী তারাই থাকবে।
পরিশেষে এ বই দ্বারা পাঠকের মন হ’তে যদি আহলেহাদীছ আন্দোলন সম্পর্কে অহেতুক ধাঁধা দূর হয় এবং নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর অনুসরণের প্রতি কারো মনে তাকীদ সৃষ্টি হয়, তবেই আমার এ শ্রম সার্থক বলে মনে করব। ইতি-
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
তাং ৫ই জুলাই ১৯৭৯
সাং বুলারাটি
পোঃ আলীপুর, যেলাঃ খুলনা