সূদ

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এম.এল.এম) সম্পর্কে মাসিক আত-তাহরীকে  প্রকাশিত ফৎওয়া।

প্রশ্নঃ ‘নিউওয়ে প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘ডেসটিনি ২০০০ প্রাইভেট লিমিটেড’ যে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং Multi Level Marketingপদ্ধতিতে যে লভ্যাংশ মানুষকে দিচ্ছে, এটা কি জায়েয?

উত্তরঃ মৌলিকভাবে দু’টি পদ্ধতিতে যৌথ ব্যবসা সিদ্ধ। একটির নাম ‘মুশারাকাহ’ (مشاركة) অর্থাৎ শরীকানা ব্যবসা। এতে যার যেমন অর্থ থাকবে, সে তেমন লভ্যাংশ পাবে।১ অপরটির নাম ‘মুযারাবাহ’ (مضاربة) অর্থাৎ একজনের অর্থ নিয়ে অপরজন ব্যবসা করবে। এ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ তাদের মাঝে চুক্তিহারে বন্টিত হবে।২ প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যবসা এ দু’য়ের অন্তর্ভুক্ত নয়।

প্রশ্নে বর্ণিত সংস্থার প্রকাশিত The Index File, The Concept এবং Sales & Marketing Plan বইসমূহ এবং অন্যান্য উপাত্তসমূহ পর্যালোচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগের এবং সঊদী আরবের কিং আব্দুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরগণের যে লিখিত মতামত আমরা পেয়েছি, তার কিছু অংশ নিম্নে উদ্ধৃত হ’লঃ

(১) বিধিসম্মত ব্যবসা বলতে লাভ-লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে কোন বৈধ পণ্যের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডকেই বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু আলোচ্য (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা MLM) ব্যবসায় শুধু লাভের প্রলোভনই দেখানো হয়েছে। কোথাও লোকসানের বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেই। তাই এটা ব্যবসা নাকি লাভের এজেন্সী সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া কঠিন ও জটিল। (২) এ ব্যবসায় সূদের বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিষয়টি করা না হ’লেও সম্পৃক্ততার বিষয়টি নির্দ্বিধায় উড়িয়ে দেয়া যায় না। (৩) এতে পিরামিড জুয়ার বিষয়টি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। (৪) সাধারণ কমিশন ব্যবসায়ীরা পণ্য যতটুকু বিক্রি হয়, তার উপরে কমিশন পায় এবং অবিক্রিত পণ্য ফেরৎযোগ্য। কিন্তু ডেসটিনির

১. আবুদাঊদ, বুলূগুল মারাম হা/৮৭০; নায়ল হা/২৩৩৪-৩৫

২. দারাকুৎনী, মুওয়াত্ত্বা, বুলূগুল মারাম হা/৮৯৫, মওকূফ ছহীহ

(তথা এম,এল,এম) ব্যবসায়ে এ ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই। (৫) ইনডেক্সে বর্ণিত উদ্দেশ্য মতে কোন প্রলোভন না দেখিয়ে নবাগতদের সম্পৃক্ত করার কথা বলা হ’লেও প্রতিটি বক্তব্যের সাথেই প্রলোভনমূলক উপস্থাপনা লক্ষ্যণীয়। (৬) এখানে জুয়ার উপস্থিতি রয়েছে। এটা এমন একটি খেলা যেখানে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে পণ্যকে আশ্রয় করে সদস্য সংগ্রহ করা হয় এবং নিয়মতান্ত্রিক বিক্রয়লব্ধ লভ্যাংশের বাইরে গ্রাহককে সহজে অর্থ (Easy money) লাভের আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, যা জু্য়ার অন্তভূুর্ক্ত।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এইসব (এমএলএম) কোম্পানীর পরিবেশিত পণ্যের বাজার মূল্য ধার্যকৃত মূল্যের অর্ধেকেরও কম হবে। এগুলি মানসম্পন্ন হওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। যেমন ৭৫০০/= টাকার প্যাকেজে (১ম গ্রুপে) তাদের দেওয়া তথ্যমতে পণ্যের মূল্য ৩৫০০/=, সার্ভিস চার্জ ১০০০/=, সিকিউরিটি ১৫০০/=, ডিস্ট্রিবিউশন ১৫০০/= মোট ৭৫০০/=। অর্থাৎ, ৩৫০০/= টাকার পণ্যে ৪০০০/= টাকা বিভিন্ন নাম দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে। এর একটা অংশ পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।

মার্চ ২০০৮-এ  ‘ডেসটিনি’ প্রকাশিত সেল্স এন্ড মার্কেটিং প্ল্যানে (পৃঃ ৭) বলা হয়েছে যে, তাদের মোট বিপণন লভ্যাংশ বণ্টন পরিমাণ প্রায় ৮৮ শতাংশ। অতঃপর ১৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ১২টি ধাপের পর্যায় অর্জিত হবার পর প্রথম ক্রেতা-পরিবেশককে যদি পরবর্তীকালে কোম্পানী থেকে প্রতিটি ভোক্তার ক্রয়কৃত পণ্য-সামগ্রীর উপর (ধরা যাক মাসিক ক্রয় ১০০ টাকা) লভ্যাংশ স্বরূপ বা সাপ্তাহিক কমিশন বাবদ শতকরা ৫ ভাগ হারেও দেয়া যায়, তাহ’লেও সপ্তাহে ন্যূনতম তাকে ৮,০০০/= টাকা কমিশন দিতে হবে’। এইভাবে বিরাট লাভের অংক দেখিয়ে এরা মানুষকে টেনে নিচ্ছে। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় ‘গারার’ বা প্রতারণাকে নিষিদ্ধ করেছেন।৩

সঊদী আরবের জাতীয় গবেষণা ও ফৎওয়া বিভাগের স্থায়ী কমিটি (লাজনা দায়েমাহ) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে, পিরামিড স্কীম, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এমএলএম যে নামেই হোক না কেন এ ধরনের সকল প্রকার লেনদেন  নিষিদ্ধ।  কেননা  এর  উদ্দেশ্য হ’ল,  কোম্পানীর  জন্য নতুন নতুন

৩. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫৪ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়।

সদস্য সৃষ্টির মাধ্যমে কমিশন লাভ করা, পণ্যটি বিক্রি করে লভ্যাংশ গ্রহণ করা নয়। এ কারবার থেকে বহুগুণ কমিশন লাভের প্রলোভন দেখানো হয়। স্বল্পমূল্যের একটি পণ্যের বিনিময়ে এরূপ অস্বাভাবিক লাভ যে কোন মানুষকে প্ররোচিত করবে। পরিণামে ক্রেতা-পরিবেশকদের মাধ্যমে কোম্পানী বিপুল মুনাফা অর্জন করবে। মূলতঃ পণ্যটি হ’ল কোম্পানীর কমিশন ও লাভের হাতিয়ার মাত্র। এক্ষণে যেসব কারণে এ ধরনের ব্যবসা হারাম তা নিম্নরূপঃ

১. সূদ (আর রিবা)ঃ এই ব্যবসায় দুই প্রকার সূদই মওজুদ রয়েছে। একটি হ’ল সমজাতীয় বস্ত্ততে অতিরিক্ত নেওয়ার সূদ। অপরটি হ’ল একই বস্ত্ততে বাকীতে বেশী নেওয়ার সূদ। কোম্পানী যে পণ্য বিক্রয় করে ভোক্তার কাছে তা একটি ছল মাত্র। অংশগ্রহণকারীর উদ্দেশ্যও সেটা থাকে না।

২. প্রতারণা (আল-গারার)ঃ গ্রাহক প্রত্যাশিত ভোক্তা সৃষ্টি করতে পারবে কি-না সে সম্পর্কে সে অনিশ্চিত থাকে। এই পিরামিড নেটওয়ার্ক যত লম্বাই হোক না কেন এক সময় তা শেষ হ’তেই হবে। এমতাবস্থায় গ্রাহক এ বিষয়ে অজ্ঞ থাকে যে, সে নেটওয়ার্কের উচ্চ অবস্থানে পৌঁছে লাভবান হবে, না-কি নিম্ন অবস্থানে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেখা যায় যে, উচ্চস্তরের মুষ্টিমেয় গ্রাহক ব্যতীত অধিকাংশ পিরামিড সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা প্রতারণার শামিল, শরী‘আতে যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ (মুসলিম)

৩. বাতিলপন্থায় মানুষের সম্পদ ভক্ষণঃ এর মাধ্যমে কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-পরিবেশকগণ অন্যদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লাভবান হয়। আল্লাহ বলেন, لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ ‘তোমরা বাতিল পন্থায় পরস্পরের মাল ভক্ষণ করো না’ (নিসা ৪/২৯)

৪. ধোঁকা, শঠতা ও অস্পষ্টতাঃ ব্যবসায়ে মানুষকে বিক্রয়ের জন্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়, যেখানে ব্যবসাই মূল উদ্দেশ্য। অথচ এখানে বাস্তবতা তার বিপরীত। উপরন্তু বিরাট লাভের টোপ দেয়া হয়, অথচ অধিকাংশ সময় তা হয় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مَنَّا ‘যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়’।৪

৪. মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২০

কেউ কেউ এ কারবারকে এজেন্সি বা ব্রোকারিজ চুক্তির ন্যায় দাবী করে। এটা ভুল। কেননা একজন ব্রোকার সরাসরি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে কমিশন লাভ করে। অন্যদিকে এমএলএম কোম্পানী পণ্যের উপর নয়, বরং বাজারজাতকরণের উপর কমিশন দেয়। ব্রোকারের উদ্দেশ্য থাকে কেবল পণ্য বিক্রয়, আর এমএলএম কোম্পানীর উদ্দেশ্য পণ্য নয়, বরং মেম্বারশীপ বিক্রয় তথা ক্রেতা-পরিবেশক দল বৃদ্ধি করা। ব্রোকার কমিশন লাভ করে কোম্পানীর নিকট থেকে, আর নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-য়ে কমিশন গ্রহণ করা হয় ক্রেতাদের নিকট থেকে ধারাবাহিকভাবে। সুতরাং, উভয়ের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট।

অনেকে আবার এই কমিশনকে উপহার আখ্যা দেন যা সঠিক নয়। কেননা সকল উপহার শরী‘আতে সিদ্ধ নয়। যেমন ঋণদাতাকে উপহার দেয়া সূদের পর্যায়ভুক্ত।৫

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবসা অসম মূল্য নির্ধারণ ও অতিরঞ্জিত আয়ের প্রলোভন দেখানোর কারণে অভিযুক্ত হয়েছে। আমেরিকার ফেডারেল ট্রেড কমিশন ২০০৮ সালের মার্চ মাসে তাদের  প্রস্তাবিত ব্যবসায় সুযোগ সম্বন্ধীয় তালিকা থেকে এমএলএম কোম্পানীগুলোর নাম বাদ দিয়েছে। সংস্থাটি গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করার এই রীতি (এমএলএম) বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পিরামিড স্কীম পদ্ধতির ন্যায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে (দ্রঃ Multi-level marketing-উইকিপিডিয়া)

তত্ত্বগতভাবেও এ ধরনের মার্কেটিং বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এ মার্কেটিং-কে বলা হয়েছে, ‘MLM is like a train with no brakes and no engineer headed full-throttle towards a terminal’ অর্থাৎ ‘সর্বোচ্চ গতিতে স্টেশনমুখী ধাবমান একটি ট্রেনের মত যার কোন ব্রেক নেই, নেই কোন চালক’।

সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এ ‘ব্যবসা’ সমর্থন করা যায় না। কেননা একজন গ্রাহককে তার আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের বশীভূত করে পণ্য বিক্রয় করতে বলা হয়। ফলে গ্রাহক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। মানুষের সাথে অন্তরঙ্গ আত্মীয়তা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে সে ব্যবসায়িক

৫. দ্রঃ বুখারী, মিশকাত হা/২৮৩৩; লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং- ২২৯৩৫। তাং-১৪/০৩/১৪২৫ হিঃ।

স্বার্থ চরিতার্থের কেন্দ্রে পরিণত করে। এ সম্পর্ক তখন হয়ে যায় যান্ত্রিক। নিষ্কলুষ বন্ধুত্বের স্থলে তখন সন্দেহ আর সংকীর্ণতাবোধ স্থান করে নেয়। নিজ গৃহ পরিণত হয় মার্কেট প্লেসে। যেকোন সুস্থ বিবেকসম্পন্ন লোক এ কাজে ঘৃণাবোধ করবে।

এদেশের অনেক লোক সম্মানজনক পেশা ছেড়ে কাঁচা পয়সার নেশায় এ ধরনের তথাকথিত ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এদের শিকারে পরিণত হয়েছেন আলেমদেরও একটি অংশ। অনেকেই তাতে ফুলে ফেঁপে উঠছেন এবং সেই সাথে চলে যাচ্ছে তাদের ঈমানী জাযবা। সে স্থান দখল করছে নিরেট বস্ত্তবাদী চিন্তা-চেতনা। অথচ ইসলামী দর্শন হ’ল পুঁজি ব্যয় করা। এর বিপরীতে বস্ত্তবাদী দর্শন হ’ল পুঁজি সঞ্চয় করা, যা মানুষকে রক্তচোষা ক্বারূণের প্রতিমূর্তি বানিয়ে ফেলে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

اَلْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لاَيَعْلَمُهُنَّ كَثِيْرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبْهَاتِ اِسْتَبْرَأَ لِدِيْنِهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِى الشُّبْهَاتِ وَقَعَ فِى الْحَرَامِ-

‘হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট। এর মধ্যবর্তী বিষয়সমূহ অস্পষ্ট, যা অনেক মানুষ জানে না। অতএব যে ব্যক্তি সন্দিগ্ধ বস্ত্তসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে ব্যক্তি তার দ্বীন ও সম্মানকে পবিত্র রাখলো। আর যে ব্যক্তি সন্দিগ্ধ কাজে লিপ্ত হ’ল, সে হারামে পতিত হ’ল’।৬ অন্য বর্ণনায় এসেছে, دَعْ مَا يُرِيْبُكَ إِلَى مَا لاَ يُرِيْبُكَ، فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِيْنَةٌ، وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيْبَةٌ،  ‘সন্দিগ্ধ বিষয় পরিহার করে নিঃসন্দেহ বিষয়ের দিকে ধাবিত হও। কেননা সত্যে রয়েছে প্রশান্তি এবং মিথ্যায় রয়েছে সন্দেহ’।৭

অতএব আমাদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত এই যে, প্রশ্নে উল্লেখিত নামে বা অন্য নামে প্রচলিত এম.এল.এম ব্যবসাসমূহ শরী‘আত সম্মত হবে না। জান্নাতপিয়াসী মুমিনকে এসব থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

{সূত্র : মাসিক আত-তাহরীক, ডিসেম্বর ২০০৮, প্রশ্নোত্তর নং ২/৮২}

৬. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২

৭. আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৭৭৩