ইনসানে কামেল

ইনসানে কামেল-এর ১৮টি গুণ

পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ফুরক্বানের ৬৩ থেকে ৭৪ পর্যন্ত ১২টি আয়াতে ১৩টি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে, যা ক্রমানুসারে নিম্নে বর্ণিত হ’ল। যার প্রথম ছয়টি হ’ল আনুগত্য বিষয়ক ও শেষের সাতটি হ’ল অবাধ্যতা না করা বিষয়ক। এতদ্ব্যতীত হাদীছে আরো ৫টি গুণের কথা এসেছে।

(১) যে ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে আল্লাহর দাস মনে করে সেমতে তার আচরণকে আল্লাহর ইচ্ছার অনুগামী রাখে। (২) যে ব্যক্তি সর্বদা নিরহংকারভাবে চলাফেরা করে। (৩) মূর্খদের তাচ্ছিল্যকর আচরণে যারা সর্বদা শান্তভাব অবলম্বন করে। (৪) যারা আল্লাহর ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করে। (৫) জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য যারা সর্বদা প্রার্থনা করে। (৬) যারা অপচয় ও কৃপণতার মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করে (৭) যারা আল্লাহর সাথে অন্যকে আহবান করে না (৮) অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করে না। (৯) ব্যভিচার করে না (১০) শিরক-বিদ‘আত ও মন্দ মেলা ও মজলিসে যোগদান করে না ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না। (১১) যারা বাজে মজলিসের নিকট দিয়ে গমন করলেও ভদ্রতা সহকারে অতিক্রম করে। (১২) যখন তাদেরকে আল্লাহর আয়াতসমূহ স্মরণ করানো হয়ে, তখন তারা গভীর মনোযোগ দিয়ে তা শোনে ও তদনুযায়ী শ্রদ্ধাভরে আমল করে (১৩) যারা সর্বদা আল্লাহর নিকটে এই মর্মে প্রার্থনা করে যে, ‘প্রভু হে! তুমি আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে আমাদের জন্য চক্ষু শীতলকারী করে দাও এবং আমাদেরকে আল্লাহভীরুদের নেতা ও আদর্শ বানিয়ে দাও’।

এতদ্ব্যতীত হাদীছে পাঁচটি মৌলিক গুণ বর্ণিত হয়েছে। যেমন-

(১৪) যে ব্যক্তি অন্যের জন্য সেই বস্ত্ত ভালবাসে, যা নিজের জন্য ভালবাসে।[1] (১৫) যে ব্যক্তি অনর্থক কথা ও কাজ পরিহার করে চলে।[2] (১৬) যে ব্যক্তি বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করে।[3] (১৭) যে ব্যক্তি মানুষ ও পশু-পক্ষী সকল প্রাণীর প্রতি দয়ার্দ্র আচরণ করে।[4] (১৮) অন্যের প্রতি যার ভালবাসা ও বিদ্বেষ স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে হয়ে থাকে।[5]


[1]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৯৬।

[2]. মুসলিম, মিশকাত হা/৫০৭৩।

[3]. ছহীহ তিরমিযী হা/২০০২; ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪১৪৩।

[4]. আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৯৬৯।

[5]. আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫০২১।