সরকারের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা
দেশের ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হৌক বা নিরস্ত্র হৌক যেকোন ধরনের অপতৎপরতা, ষড়যন্ত্র ও বিদ্রোহ ইসলামে নিষিদ্ধ। বরং সরকারের জনকল্যাণমূলক যেকোন ন্যায়সঙ্গত নির্দেশ মেনে চলতে যেকোন মুসলিম নাগরিক বাধ্য। কিন্তু কোনরূপ গুনাহের নির্দেশ মান্য করতে কোন মুসলমান বাধ্য নয়। কেননা ‘স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির প্রতি কোনরূপ আনুগত্য নেই’।[1] তবে অনুরূপ অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না। বরং তাকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে হবে, উপদেশ দিতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে এবং সংশোধনের সম্ভাব্য সকল পন্থা অবলম্বন করতে হবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَكُونُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ تَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ، فَمَنْ أَنكَرَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ سَلِمَ، وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ، قَالُوا : أَفَلا نَقْتُلُهُمْ ؟ قَالَ : لا، مَا صَلَّوْا، لا مَا صَلَّوْا-
‘তোমাদের মধ্যে অনেক আমীর হবে, যাদের কোন কাজ তোমরা ভাল মনে করবে, কোন কাজ মন্দ মনে করবে। এক্ষণে যে ব্যক্তি ঐ মন্দ কাজের প্রতিবাদ করবে, সে মুক্তি পাবে। যে ব্যক্তি ঐ কাজকে অপসন্দ করবে, সেও নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি ঐ মন্দ কাজে সন্তুষ্ট থাকবে ও তার অনুসারী হবে। ছাহাবীগণ বললেন, আমরা কি তখন ঐ শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন না। যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে। না, যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে’।[2]
‘আউফ বিন মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ وَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْ وُلَاتِكُمْ شَيْئًا تَكْرَهُونَهُ فَاكْرَهُوا عَمَلَهُ وَلَا تَنْزِعُوا يَدًا مِنْ طَاعَةٍ ‘যতক্ষণ তারা তোমাদের মধ্যে ছালাত কায়েম করে। অতঃপর তোমরা যখন তোমাদের শাসকদের নিকট থেকে এমন কিছু দেখবে, যা তোমরা অপসন্দ কর, তখন তোমরা তার কার্যকে অপসন্দ কর; কিন্তু তাদের থেকে আনুগত্যের হাত ছিনিয়ে নিও না’।[3]
এক্ষণে যদি সরকার প্রকাশ্যে কুফরী করে, তাহ’লে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে কি-না, এ বিষয়ে দু’টি পথ রয়েছে। ১- যদি শাসক পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস ও নিশ্চিত বাস্তবতা থাকে, তাহ’লে সেটা করা যাবে। ২- যদি এর ফলে সমাজে অধিক অশান্তি ও বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকা থাকে, তাহ’লে ছবর করতে হবে ও যাবতীয় ন্যায়সঙ্গত পন্থায় সরকারকে সঠিক পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করতে হবে, যতদিন না তার চাইতে উত্তম কোন বিকল্প সামনে আসে। এর দ্বারাই একজন মুমিন আল্লাহর নিকট থেকে দায়মুক্ত হতে পারবেন। কিন্তু যদি তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করেন, সরকারকে উপদেশ না দেন, বরং অন্যায়ে খুশী হন ও তা মেনে নেন, তাহ’লে তিনি গোনাহগার হবেন ও আল্লাহর নিকটে নিশ্চিতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন। মূলতঃ এটাই হ’ল ‘নাহী ‘আনিল মুনকার’-এর দায়িত্ব পালন। যদি কেউ ঝামেলা ও ঝগড়ার অজুহাত দেখিয়ে একাজ থেকে দূরে থাকেন, তবে তিনি কুরআনী নির্দেশের বিরোধিতা করার দায়ে আল্লাহর নিকটে ধরা পড়বেন।
শাসক বা সরকারকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার সাথে সাথে তার কল্যাণের জন্য সর্বদা আল্লাহর নিকটে দো‘আ করতে হবে। কেননা শাসকের জন্য হেদায়াতের দো‘আ করা সর্বোত্তম ইবাদত ও নেকীর কাজ সমূহের অন্তর্ভুক্ত। দাউস গোত্রের শাসক হাবীব বিন ‘আমর যখন বললেন যে, ‘আমি জানি একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। কিন্তু তিনি কে আমি জানি না’। তখন উক্ত গোত্রে রাসূলের নিযুক্ত দাঈ তুফায়েল বিন আমর দাঊসী (রাঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বললেন, إِنَّ دَوْسًا قَدْ هَلَكَتْ وَعَصَتْ وَأَبَتْ فَادْعُ اللهَ عَلَيْهِمْ ‘হে রাসূল! দাউস গোত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা নাফরমান হয়েছে ও আল্লাহকে অস্বীকার করেছে। অতএব আপনি তাদের উপরে বদ দো‘আ করুন’। জবাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের জন্য কল্যাণের দো‘আ করে বললেন, اَللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَائْتِ بِهِمْ ‘হে আল্লাহ! তুমি দাউস গোত্রকে হেদায়াত কর এবং তাদেরকে ফিরিয়ে আনো’। পরে দেখা গেল যে, ৭ম হিজরীতে খায়বার বিজয়ের সময় তুফায়েল বিন আমর (রাঃ) স্বীয় গোত্রের ৭০/৮০ টি পরিবার নিয়ে রাসূলের দরবারে হাযির হ’লেন। যাদের মধ্যে সর্বাধিক হাদীছজ্ঞ খ্যাতনামা ছাহাবী হযরত আবু হুরায়রা দাউসী (রাঃ) ছিলেন অন্যতম। যদি সেদিন দাউস গোত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হ’ত, তাহ’লে মুসলিম উম্মাহ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর মত একজন মহান হাদীছজ্ঞ ছাহাবীর খিদমত হ’তে বঞ্চিত হ’ত।[4]
ইসলাম একটি বিশ্বজনীন দ্বীন। পৃথিবীর প্রতিটি জনবসতিতে ইসলাম প্রবেশ করবে। ধনীর সুউচ্চ প্রাসাদে ও বস্তীবাসীর পর্ণকুটিরে ইসলামের প্রবেশাধিকার থাকবে বাধাহীন গতিতে। ক্বিয়ামত পর্যন্ত একদল হকপন্থী লোক চিরকাল খালেছ তাওহীদের দাওয়াত দিয়ে যাবেন। যদিও তাদের সংখ্যা কম হবে। অবশেষে ইমাম মাহদীর আগমনের ফলে ও ঈসা (আঃ)-এর অবতরণকালে পৃথিবীর কোথাও ‘ইসলাম’ ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ইসলামের এই অগ্রযাত্রা তার রাষ্ট্রীয় শক্তির বলে হবে না, বরং এটা হবে তার তাওহীদী দাওয়াতের কারণে, মানবরচিত বিধানসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জর্জরিত ও নিষ্পিষ্ট মানবতার ক্ষুব্ধ উত্থানের কারণে এবং আল্লাহর বিধানের প্রতি বান্দার চিরন্তন আনুগত্যশীল হৃদয়ের চৌম্বিক আকর্ষণের কারণে। যতদিন পৃথিবীতে একজন তাওহীদবাদী হকপন্থী মুমিন ব্যক্তি থাকবেন, ততদিন ক্বিয়ামত হবে না। পৃথিবীর সকল ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও শক্তিবলয়ের চাইতে একজন তাওহীদবাদী মুমিনের মর্যাদা আল্লাহর নিকটে অনেক বেশী। যার সম্মানে আল্লাহ পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখবেন (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী)।
অতএব যে ধরনের রাষ্ট্রে বসবাস করি না কেন, প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হ’ল জনগণের নিকটে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছানো। একজন পথভোলা মানুষের আক্বীদা ও আমলের পরিবর্তন রাষ্ট্রশক্তি পরিবর্তনের চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,
فَوَاللهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ ‘আল্লাহর কসম! যদি তোমার দ্বারা আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়াত দান করেন, তবে সেটা তোমার জন্য সর্বোত্তম উট কুরবানী করার চেয়েও উত্তম হবে’।[5] ভারতে মুসলমানেরা সাড়ে ছয়শো বছর রাজত্ব করেছে। বাংলাদেশে ইংরেজরা ১৯০ বছর রাজত্ব করেছে। কিন্তু আক্বীদা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তা খুব সামান্যই প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। অতএব রাষ্ট্রশক্তির জোরে নয়, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে তার অন্তর্নিহিত আদর্শিক শক্তির জোরে। তবে আল্লাহর বিধান সমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও মানবতার সার্বিক কল্যাণ সাধনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি অর্জনের যেকোন বৈধ প্রচেষ্টা প্রত্যেক মুসলমানের উপরে অবশ্য কর্তব্য। তখন সেই ইসলামী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে তাওহীদের প্রচার-প্রসার ও তার যথার্থ বাস্তবায়ন। মূলতঃ তাওহীদের উপকারিতা ও শিরকের অপকারিতা তুলে ধরাই ইসলামী সরকার ও মুসলিম উম্মাহর প্রধান কর্তব্য। এই দায়িত্ব জামা‘আতবদ্ধভাবে পালন করার প্রতিই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
বর্তমান যুগে যারা চরমপন্থী এবং দলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তারা বুলেট হৌক কিংবা ব্যালট হৌক যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকেন। আদর্শের বা নীতি-নৈতিকতার কথা এখন তাদের মুখে আর তেমন শোনা যায় না। পরস্পরের বিরুদ্ধে নোংরা গালাগালি, গীবত-তোহমত, ক্যাডারবাজি, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বোমাবাজি, হরতাল-ধর্মঘট, গাড়ী ভাংচুর ও সম্পদের লুটতরাজ, সর্বত্র নেতৃত্ব দখল ও দলীয়করণ এগুলিই এখন রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। যেকোন মূল্যে ক্ষমতা পেতেই হবে। এমনকি ‘ক্ষমতা হাতে না পেলে দ্বীন কায়েম হবে না’ এমন একটা উন্মুত্ত চেতনা কিছু লোককে সর্বদা তাড়িয়ে ফিরছে। অথচ বাস্তবে দেখা গেছে যে, এইসব ইসলামী নেতাগণ যখনই ক্ষমতার একটু স্বাদ পেয়েছে, সাথে সাথেই তাদের ইসলামী জোশ উবে গেছে। দেশে প্রচলিত শিরক ও বিদ‘আত সমূহকে তারা ‘দেশাচার’-এর নামে নির্বিবাদে হযম করে নিচ্ছেন। এমনকি হালাল-হারামের মত মৌলিক বিষয়গুলিতেও তাঁদের কোনরূপ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় না। বহু কথিত দ্বীন কায়েমের অর্থ কি তাহ’লে নিজের বা নিজ দলের জন্য দু’একটা এম,পি বা মন্ত্রীত্বের চেয়ার কায়েম করা? কিংবা দলীয় লোকদের সরকারী চাকুরী ও কন্ট্রাক্টরীর ব্যবস্থা করা? বর্তমানের বাংলাদেশী বাস্তবতা আমাদের তো সেকথাই বলে দেয়।
দ্বীন কায়েমের ভুল ব্যাখ্যার গোলক ধাঁধায় পড়ে এভাবে বহু লোক পথ হারিয়েছে। বর্তমানে জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু তরুণকে সশস্ত্র বিদ্রোহে উষ্কে দেওয়া হচ্ছে। বাপ-মা, ঘরবাড়ি এমনকি লেখাপড়া ছেড়ে তারা বনে-জঙ্গলে ঘুরছে। তাদের বুঝানো হচ্ছে ছাহাবীগণ লেখাপড়া না করেও যদি জিহাদের মাধ্যমে জান্নাত পেতে পারেন, তবে আমরাও লেখাপড়া না করে জিহাদের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করব। কি চমৎকার ধোঁকাবাজি! ইহুদী-খৃষ্টান-ব্রাহ্মণ্যবাদী গোষ্ঠী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এগিয়ে যাক, আর অশিক্ষিত মুসলিম তরুণরা তাদের বোমার অসহায় খোরাক হৌক- এটাই কি শত্রুদের উদ্দেশ্য নয়? কিন্তু এইসব তরুণদের বুঝাবে কে? ওরা তো এখন জিহাদ ও জান্নাতের জন্য পাগল! কিন্তু তাদের জিহাদ কাদের বিরুদ্ধে? দেশের সরকারের বিরুদ্ধে? রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে? দেশের অমুসলিম নেতাদের বিরুদ্ধে? কই তেমন তো কিছু শোনা যায় না? তবে এটা সব সময় শোনা যায় তাদের টার্গেট হ’ল অমুক ‘আহলেহাদীছ’ নেতা। কারণ আহলেহাদীছ আন্দোলনের নেতারাই কেবল ওদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। জনগণকে ওদের নেপথ্য নায়কদের সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেন। ওদের বিদেশী অর্থ ও অস্ত্রের যোগানদারদের সম্পর্কে সাবধান করে থাকেন।
মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা দিয়ে এবং তাক্বদীর ও তাবলীগের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যেমন হাযার হাযার মুসলমানকে নিষ্ক্রিয় করে পথে পথে চিল্লায় ঘুরানো হচ্ছে, দ্বীন কায়েমের নামে যেমন অসংখ্য মানুষকে অনৈসলামী রাজনীতির নোংরা ড্রেনে হাবুডুবু খাওয়ানো হচ্ছে, মা‘রেফাতের নামে কাশফ ও ইলহামের মায়া-মরীচিকায় যেমন অসংখ্য লোককে খানক্বাহ ও কবরপূজায় বন্দী করে ফেলা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যেমন মুসলমানদের হাত দিয়েই ইসলামকে জাতীয় সংসদ থেকে বের করে মসজিদে বন্দী করা হয়েছে, তেমনি সাম্প্রতিককালে জিহাদের ধোঁকা দিয়ে বহু তরুণকে বোমাবাজিতে নামানো হচ্ছে। অতএব হে জাতি! সাবধান হও![1]. শারহুস সুন্নাহ, মিশকাত হা/৩৬৯৬; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/৩৬ ‘নেতৃত্ব ও পদমর্যাদা’ অধ্যায় ৭/২৫১ পৃঃ।
[2]. মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৭১, ‘নেতৃত্ব ও পদ মর্যাদা’ অধ্যায়; ঐ, বঙ্গানুবাদ ৭/২৩৩ পৃঃ।
[3]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৫৫।
[4]. ছহীহ বুখারী ২/৬৩০ পৃঃ টীকা-১১; ফাৎহুল বারী ‘যুদ্ধ-বিগ্রহ’ অধ্যায়, ৭৫ অনুচ্ছেদ ৭/৭০৫ পৃঃ।
[5]. বুখারী, মুসলিম হা/২৪০৬ ‘ছাহাবীগণের মর্যাদা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ।