বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
বাংলাদেশে সম্প্রতি ক্রমেই রাষ্ট্রঘাতি চক্রের চরমপন্থী রাজনৈতিক তৎপরতার পক্ষে ইসলামকে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘শান্তি বাহিনী’-র নামে সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টির ন্যায় এটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে তথ্যাভিজ্ঞ মহল দৃঢ়তার সাথে মত প্রকাশ করে থাকেন। যাই হোক তারা এদেশীয় কিছু লোককে দিয়ে ‘দ্বীন কায়েমের’ অপব্যাখ্যা সম্বলিত লেখনী যেমন জনগণের নিকটে সরবরাহ করছে, তেমনি অল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত তরুণদেরকে ‘জিহাদের’ অপব্যাখ্যা দিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহে উষ্কানি দিচ্ছে। পত্রিকান্তরে একই উদ্দেশ্যে তৎপর অন্যূন ১০টি ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের নাম এসেছে। এমনকি কোন কোন স্থানে এদের দেওয়াল লিখনও নযরে পড়ছে। বলা যায়, এদের সকলেরই উদ্দেশ্য সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দ্রুত দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা ও ইসলামী হুকুমত কায়েম করা। এজন্য তারা তাদের বইপত্র ও লিফলেটে কুরআনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে যেসব বক্তব্য জনগণের নিকটে উপস্থাপন করেছে, তার সার-সংক্ষেপ নিম্নরূপ:
(১) তাওহীদ প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হ’ল জিহাদ ও কিতাল তথা সশস্ত্র সংগ্রাম।
(২) ঈমানদারের আল্লাহ প্রদত্ত সংজ্ঞা (হুজুরাত ১৫) অনুযায়ী বর্তমান মুসলিম জাতি, বিশেষ করে আলেম সমাজ অবশ্যই মুমিন নয়; অতএব হয় তারা মুশরিক নয় কাফের।
(৩) আল্লাহ স্বয়ং মুমিনদের অভিভাবক (বাক্বারাহ ২৫৭)। অথচ মুসলমানরা সর্বত্র মার খাচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ মুসলিম জাতির অভিভাবক নন এবং এ জাতি মুমিন নয়। অতএব যার ঈমান নেই, সে কাফির।