শবে মি‘রাজ
(حكم الاحتفال بليلة الإسراء والمعراج)
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه-
অতঃপর আমরা এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ যে, মি‘রাজের পবিত্র ঘটনা আল্লাহর মহান নিদর্শন সমূহের অন্যতম, যা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর রিসালাতের সত্যতার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ এবং আল্লাহর দরবারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উচ্চতম মর্যাদার প্রতীক। সাথে সাথে এটি আল্লাহ রববুল আলামীনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা ও সৃষ্টিকুলের উপর তাঁর নিরংকুশ একাধিপত্যের দলীলও বটে। আল্লাহ বলেন,
سُبْحَانَ الَّذِيْ أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِيْ بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّه هُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ- (الإسراء 1)- ‘মহাপবিত্র সেই সত্তা, যিনি স্বীয় বান্দা (মুহাম্মাদ)-কে (কা‘বার) মসজিদুল হারাম হ’তে (যেরুজালেমের) মসজিদুল আক্বছা পর্যন্ত রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন- যে মসজিদের চতুস্পার্শ্বকে আমরা বরকতমন্ডিত করেছি, যাতে আমরা আমাদের কিছু নিদর্শন তাকে দেখাতে পারি। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা (ইস্রা/বনু ইসরাঈল ১৭/১)। এতদ্ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে অবিরতধারায় বহু বর্ণনা এসেছে যে, তাঁকে আসমানে নিয়ে যাওয়া হ’ল এবং আকাশের দরজা সমূহ তাঁর জন্য উন্মুক্ত করা হ’ল। তিনি সপ্তম আকাশ অতিক্রম করলেন। অতঃপর আল্লাহ রববুল আলামীন তাঁর সাথে কথা বললেন ও পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করে দিলেন। আল্লাহ প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বারংবার কাতর অনুরোধে অবশেষে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করা হয়। অতএব ফরয হিসাবে তা পাঁচ ওয়াক্ত হ’লেও পুণ্যের হিসাবে তা পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান।[1] কেননা (আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী) প্রতিটি পুণ্যকর্ম তার দশগুণ ছওয়াবের সমতুল্য (আন‘আম ৬/১৬০)। অতএব সেই মহান সৃষ্টিকর্তার অসংখ্য নে‘মতের জন্য যাবতীয় প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা।
অতঃপর (মাননীয় পাঠকবর্গ জেনে রাখুন!) শবে মি‘রাজের সঠিক তারিখ সম্পর্কে ছহীহ হাদীছ সমূহে কোন বর্ণনা নেই। এ সম্বন্ধে যা কিছু বলা হয়ে থাকে, তার কোনটিই হাদীছবিশারদ পন্ডিতগণের নিকট রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে সঠিকভাবে প্রমাণিত নয়। তাছাড়া শবে মি‘রাজের নির্দিষ্ট তারিখটি মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়ার মধ্যেও আল্লাহর একটি সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য নিহিত রয়েছে।
অতঃপর যদি তার একটি নির্দিষ্ট তারিখ প্রমাণও করা যায়, তবুও সেই উপলক্ষে কোনরূপ নির্দিষ্ট ইবাদত বা কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা মুসলমানদের জন্য জায়েয হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তদীয় ছাহাবীগণ এজন্য নির্দিষ্টভাবে কোন অনুষ্ঠান বা ইবাদত করেননি। যদি এই রাত উপলক্ষে কোনরূপ অনুষ্ঠান করা শরী‘আতসম্মত হ’ত, তাহ’লে নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা স্বীয় উম্মতকে বলে যেতেন অথবা নিজে করে যেতেন এবং যদি এজন্য কোন অনুষ্ঠান তিনি করতেন, তাহ’লে নিশ্চয়ই তা সকলে জানতে পারত ও প্রচারিত হ’ত এবং ছাহাবায়ে কেরাম সেটা আমাদের জন্য বর্ণনা করে যেতেন। কেননা তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কৃত ও বর্ণিত প্রতিটি বস্ত্ত যা উম্মতের জন্য প্রয়োজনীয়, সবকিছুই আমাদেরকে বলে গেছেন। দ্বীন পালনের ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে কোনরূপ অবহেলা ছিল না; বরং তাঁরাই ছিলেন প্রতিটি সৎকর্মের ব্যাপারে সর্বাগ্রগণ্য। সুতরাং যদি শবে মি‘রাজ উদযাপন কোন ধর্মীয় কাজ হ’ত, তাহ’লে তাঁরাই সর্বাগ্রে তা করতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছিলেন মানুষের জন্য সর্বোত্তম উপদেশদাতা এবং তিনি তদীয় রিসালাতকে পরিপূর্ণভাবে মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে দিয়ে স্বীয় পবিত্র আমানত ও দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন। এক্ষণে যদি উক্ত রাত্রিকে সম্মান করা ও এতদুপলক্ষে কোনরূপ অনুষ্ঠান করা ইসলামী শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত হ’ত, তাহ’লে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনোই তা হ’তে উদাসীন থাকতেন না এবং তা গোপন করতেন না। যখন এই ধরনের কিছুই ঘটেনি, তখন বুঝা গেল যে, শবে মি‘রাজ উদযাপন ও উক্ত রাত্রির জন্য সম্মান প্রদর্শন করা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয় নয়।
আল্লাহ রববুল আলামীন উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন ও এই নে‘মতকে সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন এবং সাথে সাথে তাঁর অনুমতি ছাড়াই ধর্মের নামে চালুকৃত যাবতীয় অনুষ্ঠানাদিকে অগ্রাহ্য করেছেন। যেমন সূরায়ে মায়েদায় ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং আমার নে‘মতকে সম্পূর্ণ করলাম ও ইসলামকে তোমাদের জন্য একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদাহ ৫/৩)। অতঃপর সূরায়ে শূরায় ধমকি প্রদান করে বলা হয়েছে,
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوْا لَهُمْ مِنَ الدِّيْنِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللهُ- (الشوري 21)- ‘তাদের জন্য কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন শরীক রয়েছে, যারা তাদের জন্য আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকেই দ্বীনের মধ্যে বিভিন্ন বিধান সমূহ প্রবর্তন করেছে? যদি (কিবয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করার) পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকত, তাহ’লে তাদের ব্যাপারে সিন্ধান্ত হয়েই যেত। নিশ্চয়ই যালেমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (শূরা ৪২/২১)।
বিদ‘আত ও তার স্পষ্ট ভ্রষ্টতা সম্পর্কে স্বীয় উম্মতকে সাবধান করে ছহীহ হাদীছ সমূহে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কর্তৃক কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে। যেমন বুখারী ও মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।[2] মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ- ‘যে ব্যক্তি এমন কাজ করল যাতে আমাদের কোন নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।[3] ছহীহ মুসলিমে জাবের (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জুম‘আর খুৎবায় বলতেন, ‘নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ হাদীছ (বাণী) হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং শ্রেষ্ঠ হেদায়াত হচ্ছে মুহাম্মাদের হেদায়াত। আর নিকৃষ্ট কর্ম হচ্ছে শরী‘আতের মধ্যে নতুন বস্ত্তর উদ্ভব ঘটানো। কেননা (ধর্মের নামে) প্রতিটি নবোদ্ভূত বস্ত্তই হ’ল বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আতই হ’ল ভ্রষ্টতা’। এতদ্ব্যতীত নাসাঈ, আবুদাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ প্রভৃতি সুনানের কিতাব সমূহে ইরবায বিন সারিয়াহ (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত হয়েছে যে,
وَعَظَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلم مَوْعِظَةً بَلِيْغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوْبُ وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُوْنُ فَقُلْنَا: يَا رَسُوْلَ اللهِ كَأَنَّ هٰذه مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا قَالَ : أُوْصِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدًا حَبَشِيًّا، فَإِنَّهُ مَنْ يَّعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِيْ فَسَيَرَي اخْتِلاَفًا كَثِيْرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ، تَمَسَّكُوْا بِهَا وَ عَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَ مُحْدَثَاتِ الْأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ-
‘একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে একটি মর্মস্পর্শী ভাষণ প্রদান করলেন। যাতে আমাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার হ’ল এবং চক্ষু হ’তে অশ্রু প্রবাহিত হ’তে লাগল। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মনে হচ্ছে এটিই আপনার বিদায়ী ভাষণ। অতএব আমাদেরকে অন্তিম উপদেশ প্রদান করুন! তখন তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদেরকে অছিয়ত করছি আল্লাহকে ভয় করার জন্য এবং তোমাদের নেতার আনুগত্য করার জন্য- সেই নেতা যদি একজন হাবশী ক্রীতদাসও হন। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে, তারা বহুবিধ মতানৈক্য দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমরা আমার ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত অনুসরণ করবে। তোমরা তা মযবুতভাবে অাঁকড়ে ধরবে এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরবে। সাবধান! শরী‘আতের মধ্যে নতুন বিষয়ের প্রচলন ঘটানো হ’তে বিরত থাকবে। কেননা প্রতিটি নবোদ্ভূত বস্ত্তই হ’ল বিদ‘আত। আর প্রতিটি বিদ‘আতই হ’ল ভ্রষ্টতা’।[4]
উক্ত মর্মে আরও বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। ছাহাবায়ে কেরাম ও আমাদের পুণ্যবান পূর্বসুরী তথা সালাফে ছালেহীন যাবতীয় রকমের বিদ‘আত হ’তে দূরে থাকার জন্য হুঁশিয়ার করে গেছেন। তা কেবলমাত্র এ কারণে যে, এর ফলে দ্বীন ও শরী‘আতের মধ্যে বাড়াবাড়ি করা হয়, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি। এটি আল্লাহর দুশমন ইহুদী-খৃষ্টানদের স্ব স্ব ধর্মে বাড়াবাড়ি ও বিভিন্ন ধরনের বিদ‘আত সৃষ্টির ন্যায়, যার অনুমতি আল্লাহ তাদের দেননি। আর সবচাইতে বড় কথা হ’ল যে, এই সমস্ত নতুন নতুন ধর্মানুষ্ঠান তথা বিদ‘আত প্রচলনের ফলে অপরিহার্য রূপে ইসলামী শরী‘আতের মধ্যে ত্রুটি প্রমাণিত হয় এবং তা যে পরিপূর্ণ ছিল না, এই মিথ্যারোপ করা হয়। এর মধ্যে যে কি নিদারুণ বিভ্রান্তি ও নিকৃষ্টতম অনাচার এবং দ্বীনের পূর্ণতা বিষয়ে আল্লাহর ঘোষণার (মায়েদাহ ৩) এবং বিদ‘আত হ’তে দূরে থাকার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাদীছ সমূহের স্পষ্ট বিরোধিতা রয়েছে, তা সকলেরই জানা।
আমি আশা করি উপরোল্লিখিত প্রমাণ সমূহ শবে মি‘রাজ উপলক্ষে প্রচলিত বিদ‘আতী অনুষ্ঠানের অসারতা প্রতিপন্ন করার জন্য যেকোন সত্যসন্ধানী ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হবে। প্রকৃত কথা হ’ল, ইসলামী দ্বীনের সাথে উক্ত অনুষ্ঠানের সামান্যতম সম্পর্ক নেই।
আল্লাহ রববুল আলামীন যেহেতু মুসলমানদের জন্য পারস্পরিক উপদেশ প্রদান অপরিহার্য করেছেন এবং তাঁর প্রদত্ত দ্বীনের ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দান করেছেন ও ইলম গোপন করা হারাম করে দিয়েছেন- সেহেতু আমি আমার মুসলমান ভাইদেরকে উক্ত বিদ‘আত সম্পর্কে হুঁশিয়ার করা প্রয়োজন বোধ করছি। যা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি কেউ কেউ একে ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে নিয়েছে।
আল্লাহর নিকট প্রার্থনা তিনি যেন মুসলিম জাতির এই দৈন্যদশা দূরীভূত করেন এবং তাদেরকে দ্বীন সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান দান করেন! এবং আমাদেরকে ও সকলকে মযবুতভাবে সত্যকে অাঁকড়ে ধরার ও তার উপরে দৃঢ় থাকার এবং সত্যের বিরোধী সকল বস্ত্ত হ’তে বিরত থাকার তাওফীক দান করেন। কেননা তিনিই দ্বীনের অভিভাবক এবং এর উপর ক্ষমতাশালী। আমীন!
وصلى الله وسلم وبارك على عبده ورسوله نبينا محمد آله وصحبه-
[1]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৬২-৬৭ ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়-২৯, ‘মি‘রাজ’ অনুচ্ছেদ-৬ ।
[2]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০।
[3]. মুসলিম হা/১৭১৮, ‘বিচার সমূহ’ অধ্যায়-৩০, نقض الأحكام الباطلة ورد محدثات الأمور অনুচ্ছেদ-৮।
[4]. আহমাদ, হাকেম, আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৬৫।