অনুবাদকের আরয
كلمة المترجم
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ’৭৬ (আরবী)-তে ছাত্র থাকা কালীন সময়ে একদিন বিকালে প্রিয় শিক্ষক ড. মুস্তাফিজুর রহমান স্যারের (পরবর্তীতে ভিসি, ই.বি. কুষ্টিয়া) ফুলার রোডের বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় গেলে তিনি আমাকে সদ্য প্রকাশিত এই বইটি [প্রকাশক : মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (১৩৯৬/১৯৭৬ খৃ:)] পড়তে দেন এবং অনুবাদ করতে বলেন। বইটি আমি ২০.১২.১৯৭৬ ইং তারিখে গ্রহণ করি এবং ২৮.১২.১৯৭৬ ইং তারিখে অনুবাদ শেষ করে স্যারের বাসায় নিয়ে যাই। স্যার খুবই খুশী হন এবং দো‘আ করেন। পরবর্তীতে বইয়ের চতুর্থ বিষয়টি ‘একটি বহুল প্রচলিত অছিয়তনামা’ (মদীনার শায়খ আহমাদ বর্ণিত) শিরোনামে ঢাকার সাপ্তাহিক আরাফাত ২০ বর্ষ ১২, ১৩, ১৪ পরপর তিন সংখ্যায় ১৯৭৭ সালের ১৬, ২৩ ও ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে প্রকাশিত হয়। বাকীগুলি খাতায় বন্দী হয়ে পড়ে থাকে।
জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে পান্ডুলিপিটির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। সম্প্রতি ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে পুরানো দিনের লেখাগুলি বন্দীত্ব কাটিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। অনুবাদ করেছিলাম সাধু ভাষায়। গবেষণা বিভাগ আমার অনুমতিক্রমে তা চলতি ভাষায় পরিবর্তন করেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ রইল। অতঃপর পুরা লেখাটি নতুনভাবে দেখার পর মুদ্রণের অনুমতি দিয়েছি। যে আল্লাহর অপার অনুগ্রহে এটি সম্ভব হয়েছে, সেই মহান প্রজ্ঞাময় ও দয়াময়ের প্রতি রইল আমার হৃদয় উজাড় করা প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। যাঁর অমূল্য লেখনী আমরা অনুবাদ ও প্রকাশ করছি, তিনি আজ সকলের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এই অনুবাদের মাধ্যমে ও তা পঠন ও পাঠনের মাধ্যমে যত মানুষ উপকৃত হবেন ও বাতিল ছেড়ে হক-এর অনুসারী হবেন, সকলের নেক আমলের ছওয়াব মরহূম লেখকের আমলনামায় ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ হিসাবে যুক্ত হৌক, এই দো‘আ করি। সাথে সাথে অনুবাদক, প্রকাশক ও সহযোগী সকলের জন্য বইটি পরকালীন মুক্তির অসীলা হৌক- মহান আল্লাহর নিকটে একান্তভাবে সেই প্রার্থনা করি- আমীন!
বিনীত
অনুবাদক ও পরিচালক
হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ