তিনটি মতবাদ

মুসলিম সমাজে তাক্বলীদের আবির্ভাব

(نشأة التقليد فى المجتمع الإسلامى)

ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে এযামের যুগ শেষে দ্বিতীয় শতাব্দী হিজরীর পরে মুসলিম সমাজে সৃষ্ট অনৈক্য ও বিভ্রান্তির যুগে তাক্বলীদের আবির্ভাব ঘটে।[1] তবে বিভিন্ন উসতায ও ইমামের তাক্বলীদের ভিত্তিতে সৃষ্ট বিভিন্ন মাযহাবী দলের উদ্ভব ঘটে চতুর্থ শতাব্দী হিজরীতে। যেমন ভারতগুরু শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী (১১১৪-১১৭৬ হি:/১৭০৩-১৭৬২ খৃ:) বলেন,

إعلم أنَّ الناسَ كانوا قبلَ المائةِ الرابعةِ غيرَ مُجْمَعين على التقليد الخالص لمذهبٍ واحدٍ بعينه-

‘জেনে রাখ (হে পাঠক!) চতুর্থ শতাব্দী হিজরীর আগের লোকেরা কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির একক মাযহাবী তাক্বলীদের উপরে সংঘবদ্ধ ছিল না’।[2] হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (৬৯১-৭৫১ হি:) বলেন,

إنما حدثة هذه البدعةُ فى القرنِ الرابع المذمومِ على لسان رسول الله صلى اللهُ عليه و سلم-

‘তাক্বলীদের এই বিদ‘আত আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর যবানে নিন্দিত চতুর্থ শতাব্দী হিজরীতে আবির্ভূত হয়’। অতঃপর তিনি তাক্বলীদের বিরুদ্ধে ৮১টি দলীল পেশ করেছেন।[3]


৪. আবু ইয়াহ্ইয়া শাহজাহানপুরী, আল-ইরশাদ ইলা সাবীলির রাশাদ (দিল্লী: ১৩১৯হিঃ), পৃঃ ৩৮। 

৫. শাহ অলিউল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ (মিসর : খায়রিয়াহ প্রেস, ১৩২২ হিঃ), ১ম খন্ড পৃঃ ১২২, লাইন ১২; ঐ, ( কায়রো : দারুত তুরাছ ১৩৫৫ হিঃ) পৃঃ ১৫২, লাইন ২৫।

৬. ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াকক্বি‘ঈন (বৈরুত : দারুল জীল ১৯৭৩ খৃঃ) ২য় খন্ড পৃঃ ২০৮; ঐ, পৃঃ ২০৮-২৭৫।