জিহাদ ও কিতাল

উত্তরণের পথ

মুসলিম সমাজে কারু মধ্যে ‘প্রকাশ্য কুফরী’ (كُفْرٌ بَوَاحٌ) দেখা গেলে প্রথমে তাকে উপদেশের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। অতঃপর বারবার চেষ্টা সত্ত্বেও না পারলে ঐ ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলবে এবং তার হেদায়াতের জন্য আল্লাহ্র নিকট দো‘আ করবে। যদি সরকার অমুসলিম হয় ও ইসলামে বাধা সৃষ্টি করে অথবা মুসলিম সরকারের মধ্যে ‘প্রকাশ্য কুফরী’ দেখা দেয় এবং ইসলামের সাথে দুশমনী করে, তাহলে সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকলে বৈধ পন্থায় সেটা করবে। নইলে ছবর করবে এবং আমর বিল মা‘রূফ ও নাহি ‘আনিল মুনকারের মূলনীতি অনুসরণে ইসলামের পক্ষে জনমত গঠন করবে। এটাই নবীগণের তরীকা।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আত্মশুদ্ধি ও পরিচর্যার (الةزكية والةربية) মাধ্যমে সমাজশুদ্ধির কাজ করেছেন। আমাদেরকেও সেপথে এগোতে হবে। বাধা এলে তিনি ধৈর্যধারণ করেছেন। পরে সক্ষমতা অর্জন করলে এবং আক্রান্ত হ’লে জিহাদ করেছেন কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে, কোন মুসলিম বা মুনাফিকের বিরুদ্ধে নয়। আমরা যদি ইসলামের অগ্রগতি ও মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণ চাই, তাহ’লে আমাদেরকে রাসূল (ছাঃ)-এর পথে চলতে হবে, অন্য পথে নয়। কবি আবু ওছমান সাঈদ বিন ইসমাঈল (২৩০-২৯৮ হিঃ) বলেন,

مَا بَالُ دِينِكَ تَرْضَى أَنْ تُدَنِّسَهُ + وَأَنَّ ثَوْبَكَ مَغْسُولٌ مِنَ الدَّنَسِ

تَرْجُو النَّجَاةَ وَلَمْ تَسْلُكْ مَسَالِكَهَا + إِنَّ السَّفِينَةَ لاَ تَجْرِي عَلَى الْيَبَسِ

‘তোমার দ্বীনের অবস্থা কি যে তুমি তাকে ময়লাযুক্ত করার উপর খুশী হয়ে গেছ? আর তোমার পোষাক ময়লা দিয়ে ধৌত করা হয়েছে’? ‘তুমি নাজাত চাও, অথচ সে পথে তুমি চলোনা। নিশ্চয়ই নৌকা কখনো শুকনা মাটিতে চলে না’।[1]


[1]. বায়হাক্বী শু‘আব, ১২ অধ্যায় ২/৩২৯ পৃঃ।