যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে

পেশাবের পর পবিত্র না হওয়া

মানব প্রকৃতিকে দুরস্ত করার যত উপায়-উপকরণ আছে ইসলাম তার সবই উপস্থাপন করেছে। এটি ইসলামের একটি বড় সৌন্দর্য। নাপাকী দূর করা এসব উপায়ের একটি। এ কারণেই ‘ইসতিনজা’ বা শৌচকার্য বিধিবদ্ধ করা হয়েছে এবং কিভাবে পাক-পবিত্রতা অর্জিত হবে তার নিয়ম বাতলে দেওয়া হয়েছে।

অনেকে নাপাকী দূরীকরণে অলসতা করে থাকে। যার ফলে তাদের কাপড় ও দেহ অপবিত্র হয়ে যায় এবং ফলশ্রুতিতে তাদের ছালাত হয় না। নবী করীম (ছাঃ) উহাকে কবর আযাবের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) মদীনার একটি খেজুর বাগানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি দু’জন (মৃত) ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পান। কবরে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। তা শুনে তিনি বললেন, এই দু’টো লোককে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বড় কোন কারণে নয়। অবশ্য গুনাহ হিসাবে এগুলি কবীরা। তাদের একজন পেশাব শেষে পবিত্র হত না আর অন্যজন চোগলখুরী করে বেড়াত’।[1] নবী করীম (ছাঃ) বরং এতদূর বলেছেন যে, أَكْثَرُ عَذَابِ الْقَبْرِ فِى الْبَوْلِ ‘বেশীরভাগ কবর আযাব পেশাবের কারণে হয়’।[2]

পেশাবের ফোঁটা বন্ধ না হতেই যে দ্রুত পেশাব হতে উঠে পড়ে কিংবা এমন কায়দায় বা স্থানে পেশাব করে যেখান থেকে পেশাবের ছিঁটা এসে গায়ে বা কাপড়ে লাগে সেও এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবে।

কাফেরদের দেখাদেখি আমাদের মধ্যে অনেকস্থানেই দেওয়ালের সঙ্গে সেঁটে টয়লেট তৈরী করা হয়। এগুলি খোলামেলাও হয়। মানুষ কোন লজ্জা-শরম না করেই চলাচলকারী মানুষের সামনে সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে শুরু করে। তারপর পেশাবের নাপাকী সমেতই কাপড় পরে নেয়। এতে দু’টি বিশ্রী হারাম একত্রিত হয়। এক- সে তার লজ্জাস্থানকে মানুষের দৃষ্টি থেকে হেফাযত করে না। দুই- সে পেশাব হতে পবিত্রতা অর্জন করে না।


[1]. বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৬০৭৫।

[2]. আহমাদ হা/৮৩১৩, ছহীহ তারগীব হা/১৫৮।