যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে

তৃতীয় জনকে বাদ দিয়ে দু’জনে শলাপরামর্শ করা

আমাদের সভা-সমিতিগুলির জন্য একটা বড় বিপদ হ’ল ব্যক্তি বিশেষকে বাদ দিয়ে অন্য দু’একজন নিয়ে শলাপরামর্শ করা। এতে শয়তানের পদাংক অনুসরণ করা হয়। কেননা এ জাতীয় কাজের ফলে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় এবং একের প্রতি অন্যের মন বিষিয়ে ওঠে। এরূপ শলাপরামর্শের অবৈধতার বিধান ও কারণ দর্শাতে গিয়ে নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,

إِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَلاَ يَتَنَاجَى رَجُلاَنِ دُونَ الآخَرِ ، حَتَّى تَخْتَلِطُوا بِالنَّاسِ ، أَجْلَ أَنْ يُحْزِنَهُ-

‘যখন তোমরা তিনজন হবে তখন যেন দু’জন লোক অন্য একজনকে বাদ রেখে গোপনে কথা না বলে। তবে তোমরা অনেক মানুষের সাথে একাকার হয়ে গেলে ভিন্ন কথা। কারণ তৃতীয় জনকে বাদ দিয়ে কৃত গোপন পরামর্শ ঐ ব্যক্তিকে ব্যথিত করবে’।[1]

এভাবে চারজনের মধ্যে একজনকে বাদ রেখে তিন জনে পরামর্শ করাও নিষিদ্ধ। অনুরূপভাবে তৃতীয় জন বোঝে না এমন ভাষায় দু’জনের শলা-পরামর্শ করাও বৈধ নয়। কারণ এক্ষেত্রে তৃতীয় জনকে বাদ দেওয়ায় তার প্রতি এক প্রকার তাচ্ছিল্য ভাব দেখানো হয়। কিংবা তারা দু’জনে যে তার প্রসঙ্গে কোন খারাপ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এরূপ ধারণা তার মনে বদ্ধমূল হতে পারে। সুতরাং কারো মনে ব্যথা না দিয়ে সবাই মিলে পরামর্শ করতে হবে। মোটকথা, একটি সভার কিছু সদস্যকে বাদ রেখে অন্য সদস্যগণের নিয়ে পরামর্শ করা কোন প্রকারেই জায়েয নয়।


[1]. বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৪৯৬৫।