যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে

সোনা-রূপার পাত্র ব্যবহার ও তাতে পানাহার করা

আধুনিক কালে গার্হস্থ্য জিনিসপত্রের এমন কোন দোকান পাওয়া যাবে না, যেখানে সোনা-রূপার পাত্র অথবা সোনা-রূপার প্রলেপযুক্ত পাত্রাদি নেই। ধনীদের গৃহে এমনকি অনেক হোটেলেও এসব পাত্র পরিবেশন করা হয়। এ জাতীয় পাত্র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত মূল্যবান উপঢৌকনে পরিণত হয়েছে। অনেকে নিজ বাড়িতে সোনা-রূপার পাত্র রাখে না বটে কিন্তু অন্যের বাড়ীতে ‘ওয়ালীমা’ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে পরিবেশিত সোনা-রূপার পাত্র ব্যবহারে কুণ্ঠাবোধ করে না। অথচ নিজ বাড়ীতে হৌক কিংবা অন্যের বাড়ীতে হৌক, শরী‘আতে এসব পাত্র ব্যবহার হারাম ঘোষিত হয়েছে। এ জাতীয় পাত্র ব্যবহারে কঠোর শাস্তির কথা হাদীছে এসেছে। উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

إِنَّ الَّذِى يَأْكُلُ أَوْ يَشْرَبُ فِى آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِيْ بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ

‘যে ব্যক্তি রূপা ও সোনার পাত্রে খাবে কিংবা পান করবে তার পেটে জাহান্নামের আগুন ঢক ঢক করে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে’।[1]

এ বিধান খাবারের পাত্র সহ যেকোন ধরনের সোনা-রূপার পাত্রের জন্য প্রযোজ্য। যেমন- প্লেট, ডিস, কাঁটা চামচ, চামচ, ছুরি, মেহমানদারীর জন্য প্রস্ত্তত খাদ্য প্রদানের পাত্র, বিবাহ ইত্যাদিতে মিষ্টি প্রভৃতি পরিবেশনের ডালা বা বারকোশ ইত্যাদি।

কিছু লোক শোকেসের মধ্যে সোনা-রূপার পাত্র রেখে বলে, এগুলি আমরা ব্যবহার করি না, কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রেখে দিয়েছি। হারামের পথ রুদ্ধ করার জন্য তাদের উক্ত কাজও অনুমোদনযোগ্য নয়।


[1]. মুসলিম হা/২০৬৫।