যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে

মাহরাম আত্মীয় ছাড়া স্ত্রীলোকের সফর

ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِى مَحْرَمٍ ‘কোন মহিলা স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম এমন কোন আত্মীয়কে সাথে না নিয়ে যেন ভ্রমণ না করে’।[1]

এই নির্দেশ সকল প্রকার সফরের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য; এমনকি হজ্জের সফরের ক্ষেত্রেও। মাহরাম কোন পুরুষ তাদের সাথে না থাকলে দুশ্চরিত্রের লোকদের মনে তাদের প্রতি কুচিন্তা জাগ্রত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে তারা তাদের পিছু নিতে পারে। আর নারীরা তো প্রকৃতিগতভাবেই দুর্বল। তারা তাদের মান, ইযযত, আব্রু নিয়ে সামান্যতেই বিব্রত বোধ করে। এমতাবস্থায় দুষ্টলোকেরা তাদের পিছু নিলে বাধা দেওয়া বা আত্মরক্ষামূলক কিছু করা তাদের জন্য কষ্টকর তো বটেই।

অনেক মহিলাকে বিমান কিংবা অন্য যানবাহনে উঠার সময় বিদায় জানাতে দু’একজন মাহরাম নিকটজন হাযির থাকে, আবার তাকে স্বাগত জানাতেও এমন দু’একজন হাযির থাকে। কিন্তু পুরো সফরে তার পাশে থাকে কে? যদি বিমানে কোন ত্রুটি দেখা দেয় এবং তা অন্য কোন বিমানবন্দরে অবতরণে বাধ্য হয়, কিংবা নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে অবতরণে বিলম্ব ঘটে বা উড্ডয়নের সময়সূচী পরিবর্তন হয়, তাহলে তখন অবস্থা কি দাঁড়াবে? ট্রেন, বাস, স্টীমার প্রভৃতি সফরেও এরূপ ঘটনা হর-হামেশা ঘটে। তখন কী যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তা ভুক্তভোগী ছাড়া বুঝিয়ে বলা কষ্টকর। সুতরাং সাথে একজন মাহরাম পুরুষ থাকা একান্ত দরকার, যে তার পাশে বসবে এবং আপদে-বিপদে ও উঠা-নামায় সাহায্য করবে।

মাহরাম হওয়ার জন্য চারটি শর্ত রয়েছে। যথা- মুসলমান হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া ও পুরুষ হওয়া। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, أَبُوهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا ... ‘মহিলার পিতা, তার পুত্র, তার স্বামী, তার ভাই অথবা তার কোন মাহরাম পুরুষ তার সঙ্গে থাকবে’।[2]


[1]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫১৫ ‘হজ্জ’ অধ্যায়।

[2]. মুসলিম হা/১৩৪০।