যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে

পুরুষের মাঝে সুগন্ধি মেখে নারীর গমনাগমন

আজকাল আতর, সেন্ট ইত্যাদি নানা প্রকার সুগন্ধি মেখে নারীরা ঘরে-বাইরে পুরুষদের মাঝে চলাফেলা করছে। অথচ মহানবী (ছাঃ) এ বিষয়ে কঠোর সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন,

أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ ثُمَّ مَرَّتْ عَلَى الْقَوْمِ لِيَجِدُوا رِيحَهَا فَهِىَ زَانِيَةٌ -

‘পুরুষরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে গমন করে তাহলে সে একজন ব্যভিচারিণী বলে গণ্য হবে’।[1]

অনেক মহিলা তো এ ব্যাপারে একেবারে উদাসীন কিংবা তারা বিষয়টিকে লঘুভাবে গ্রহণ করছে। তারা সেজেগুজে সুগন্ধি মেখে ড্রাইভারের সাথে গাড়ীতে উঠছে, দোকানে যাচ্ছে, স্কুল-কলেজে যাচ্ছে, কিন্তু শরী‘আতের নিষেধাজ্ঞার দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করছে না। নারীদের বাইরে গমনকালে শরী‘আত এমন কঠোরতা আরোপ করেছে যে, তারা সুগন্ধি মেখে থাকলে নাপাকী হেতু ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করতে হবে। এমনকি যদি মসজিদে যায় তবুও। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,

أَيُّمَا امْرَأَةٍ تَطَيَّبَتْ ثُمَّ خَرَجَتْ إِلَى الْمَسْجِدِ لِيُوجَدَ رِيحُهَا لَمْ يُقْبَلْ مِنْهَا صَلاَةٌ حَتَّى تَغْتَسِلَ اغْتِسَالَهَا مِنَ الْجَنَابَةِ -

‘যে মহিলা গায়ে সুগন্ধি মেখে মসজিদের দিকে বের হয় এজন্য যে, তার সুবাস পাওয়া যাবে, তাহলে তার ছালাত তদবধি গৃহীত হবে না যে পর্যন্ত না সে নাপাকীর নিমিত্ত ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করে’।[2]

হাটে-বাজারে, যানবাহনাদিতে, বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানে, নানা ধরনের মানুষের সমাবেশে তথা সর্বত্র মহিলারা যে সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী আতর, সেন্ট, আগর, ধূনা, চন্দনকাঠ ইত্যাদি নিয়ে যাতায়াত করছে তার বিরুদ্ধে একমাত্র আল্লাহর কাছেই সকল অভিযোগ। আল্লাহর নিকটে আমাদের প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের উপর ক্রুদ্ধ না হন। অপগন্ড নর-নারীর কাজের জন্য সৎ লোকদের পাকড়াও না করেন এবং সবাইকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীমে পরিচালিত করেন। আমীন!


[1]. আহমাদ, নাসাঈ; মিশকাত হা/১০৬৫।

[2]. আহমাদ ২/৪৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৩।