দাওয়াত ও জিহাদ

দা‘ঈ-র জন্য অপরিহার্য একটি দায়িত্ব

আল্লাহর পথের দা‘ঈ বা মুবাল্লিগের অপরিহার্য দায়িত্ব এতটুকু যে, তিনি তার শ্রোতাদের জন্য প্রিয়বস্ত্ত নির্ধারণ করে দিবেন, তারা আল্লাহ্কে ‘অলি’ বা অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করবেন, না ত্বাগূত-কে? যদি আল্লাহ্কে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করেন তবে যে কাজ করলে তিনি খুশী হন, যে কোন কিছুর বিনিময়ে তাই-ই করে যেতে হবে। তার জীবনের সকল কর্মচাঞ্চল্য আল্লাহর ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হবে। এইভাবে প্রিয়বস্ত্ত পরিবর্তনের মাধ্যমেই আসবে জীবন ও সমাজের পরিবর্তন। আসবে কাংখিত সমাজ বিপ্লব। উক্ত মর্মে নিম্নোক্ত আয়াত দু’টি অনুধাবন করুন। আল্লাহ বলেন,

لاَ إِكْرَاهَ فِي الدِّيْنِ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَنْ يَّكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيُؤْمِنْ بِاللهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى لاَ انْفِصَامَ لَهَا وَاللهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ- اللهُ وَلِيُّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوْتُ يُخْرِجُوْنَهُمْ مِنَ النُّوْرِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولئِٰكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيْهَا خَالِدُونَ - (البقرة 256-257)-

‘দ্বীনের মধ্যে কোন যবরদস্তি নেই। ভ্রষ্টতা থেকে হেদায়াত স্পষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষণে যে ব্যক্তি ত্বাগূতকে অস্বীকার করে আল্লাহর উপরে ঈমান আনলো, সে ব্যক্তি মযবুত রশি ধারণ করল, যা ছিন্ন  হবার নয়; আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’। ‘আল্লাহ মুমিনদের একমাত্র অভিভাবক। তাদেরকে তিনি অন্ধকার হ’তে আলোর পথে বের করে এনেছেন। পক্ষান্তরে যারা কাফের, তাদের অভিভাবকবৃন্দ হ’ল ত্বাগূত সমূহ। যারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের পথে নিয়ে যায়। ওরা জাহান্নামের অধিবাসী, যেখানে তারা স্থায়ী বাশিন্দা হবে’ (বাক্বারাহ ২/২৫৬-৫৭)। অতঃপর শ্রবণ করুন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী-

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُوْنَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ- متفق عليه

‘তোমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকটে তার পিতা-মাতা, সন্তানাদি ও সকল মানুষের চেয়ে প্রিয়তর হব’।[1]


১২. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭।