আক্বীদা ইসলামিয়াহ

ভূমিকা

উক্বদাহ (العُقْدَةُ) অর্থ বন্ধন বা গিরা। সেমতে আক্বীদাহ (العَقِيْدَة) অর্থ দৃঢ় বিশ্বাস, যাকে ধারণ করে মানুষের জীবন পরিচালিত হয়। আকৃতির দিক দিয়ে বিশ্বের সকল মানুষ সমান। তাদের মধ্যে পারস্পরিক পার্থক্য হয় কেবল আক্বীদা-বিশ্বাসের কারণে। একই কারণে একই বনু আদমের কেউ মুমিন, কেউ কাফির। কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান। মূলতঃ আল্লাহ্কে একক সৃষ্টিকর্তা ও বিধানদাতা হিসাবে মেনে নেওয়া এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁর প্রেরিত শরী‘আতের অনুসরণ করা ও না করার মধ্যেই এই পার্থক্যের কারণ নিহিত। নবীগণ যুগে যুগে মানুষকে এককভাবে আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের প্রতি আহবান জানিয়ে গেছেন। সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ ছাল্লালা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের পরে বিগত সকল এলাহী ধর্ম রহিত হয়ে গেছে। সর্বশেষ রাসূলের মাধ্যমে প্রেরিত  ইসলাম বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম। এই ধর্মের আক্বীদা তাওহীদের উপর ভিত্তিশীল। মুমিনের সার্বিক জীবন তাওহীদ বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের মৃত্যুর পরবর্তী যুগে মুসলিম উম্মাহর আক্বীদার মধ্যে বিভিন্ন অনৈসলামী আক্বীদার সংমিশ্রণ ঘটে। হাদীছপন্থী বিদ্বানগণ এইসব মিশ্রণ থেকে ইসলামী আক্বীদাকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টায় নিরলস পরিশ্রম করেন। সেকারণ তাঁরা ইতিহাসে ‘আহলেহাদীছ’ নামে পরিচিত হয়েছেন। আর আহলেহাদীছগণের আক্বীদাই মূলতঃ সঠিক ও নির্ভেজাল ইসলামী আক্বীদা। তাই তাঁদের অমর লেখনী সমূহ চয়ন করে ‘আক্বীদা ইসলামিয়াহ’ নামে অত্র পুস্তিকা রচিত হয়েছে। এটি মাননীয় লেখক প্রণীত ডক্টরেট থিসিস ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ; দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিত সহ’ গ্রন্থের ‘আক্বীদা’ অধ্যায়ের মূল অংশ। এর প্রয়োজনীয় টীকা সমূহ উক্ত গ্রন্থে রয়েছে। আগ্রহী পাঠক-পাঠিকা সেখানে দেখে নিতে পারেন।

সাধারণ পাঠক, ছাত্র ও ব্যস্ত লোকদের কথা চিন্তা করে টীকা বিহীনভাবে সংক্ষিপ্ত কলেবরে বইটি প্রকাশিত হ’ল।

 

সচিব

হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ