ইহসান ইলাহী যহীর

আহলেহাদীছ আন্দোলনে অবদান

১৯৭৮ সালে ইস্তেকলাল পার্টি ত্যাগের পর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁকে জমঈয়তে আহলেহাদীছে ফিরে এসে আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেন। ইতিপূর্বে উক্ত পার্টিতে যোগ দিলেও তাঁর ভাষায় তিনি কখনো ‘চিন্তাধারার’ দিক থেকে জমঈয়ত থেকে পৃথক হননি। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁর উদ্যোগে ১৯৮১ সালে জামে‘আ মুহাম্মাদিয়া, গুজরানওয়ালাতে বিশাল সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে জমঈয়তে আহলেহাদীছ নতুনভাবে গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চার হাযার আলেমের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৮ জন বিশিষ্ট আলেমের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি ইহসান ইলাহীকে জমঈয়তের আমীর করার সুফারিশ করে। কিন্তু তিনি উক্ত দায়িত্ব নিতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে জমঈয়তের একজন সদস্য হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়াকে প্রাধান্য দেন। ফলে ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান’ নামে উক্ত সম্মেলনে গঠিত নতুন এই সংগঠনের প্রথম আমীর হন শায়খুল হাদীছ মাওলানা আব্দুল্লাহ এবং সেক্রেটারী জেনারেল হন মাওলানা মুহাম্মাদ হুসাইন শেখুপুরী।[1]

‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান’ গঠনের পর সংগঠনটি প্রেসিডেন্ট যিয়াউল হকের কোপানলে পড়ে। আল্লামা যহীরের উপর মিথ্যা মামলার খড়গ ঝুলানো হয়। কিন্তু তাতে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। তিনি বলেন, ‘মার্শাল ল’ সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে যখন বার বার হেনস্তা করা হ’তে থাকে তখন আমার আহলেহাদীছ বন্ধুবর্গ জমঈয়তের দায়িত্ব পালনের জন্য জোরাজুরি শুরু করেন। জমঈয়তের জেনারেল সেক্রেটারী আমার জন্য পদত্যাগ করেন এবং আমাকে সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত করা হয়’।[2] জর্ডানের ‘আশ-শরী‘আহ’ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, وفي عام ১৯৮৩م انتخبت أمينا عاما لجمعية أهل الحديث في باكستان والجمعية تضم ৭৫০ فرعا في باكستان. ‘আমি ১৯৮৩ সালে জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তানের সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হই। পাকিস্তানে জমঈয়তের ৭৫০টি শাখা রয়েছে’।[3] তখন জমঈয়তের সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ছিল বলে তিনি উক্ত সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন।[4] তিনি আরো বলেন, কোন গ্রাম বা শহর পাওয়া যাবে না যেখানে জমঈয়তের কোন শাখা নেই’। জমঈয়তের অধীনে পাঁচ হাযার বিশিষ্ট আলেম রয়েছেন বলে তিনি এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন।[5]

১৯৮৩ সালে বাধ্য হয়ে উক্ত পদ গ্রহণের পর তিনি ঘুমন্ত আহলেহাদীছ সমাজকে জাগানোর প্রাণান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আযীয ইয়াহ্ইয়া বলেন, There is no doubt that he presented as much as he was able to at the time all of which had a good effect for Ahl ul-Hadeeth in Pakistan and their Salafi brothers in other parts of  the world. ‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সে সময় তিনি তাঁর সাধ্যানুযায়ী যতটুক করতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের আহলেহাদীছ এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে তাদের সালাফী ভাইদের জন্য তার একটা কার্যকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল’।[6]

পাকিস্তান ও বহির্বিশ্বে জমঈয়তের পরিচিতি বৃদ্ধিতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জালসা, সম্মেলন, প্রেস কনফারেন্স প্রভৃতির মাধ্যমে তিনি আহলেহাদীছ আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেন। ড. অছিউল্লাহ মুহাম্মাদ আববাস বলেন, He was an example of sincerity and dedication to dawah to Allah via the media, sermons in masajid, general gatherings. He also has huge efforts in guiding the youth to the salafi aqeedah and made many long travels in the path of dawah. ‘মিডিয়া, মসজিদের খুৎবা, জালসা-সম্মেলন প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর পথে দাওয়াতের ক্ষেত্রে তিনি আন্তরিকতা ও ত্যাগের এক দৃষ্টান্ত ছিলেন। যুবকদেরকে সালাফী আক্বীদার দিকে পরিচালিত করার জন্য তাঁর দারুণ প্রচেষ্টা ছিল এবং দাওয়াতের জন্য তিনি দীর্ঘ সফর করেছেন’।[7] যুবক-বৃদ্ধ, আলেম, মুবাল্লিগ, শিক্ষক, চিন্তাবিদ সবাই তাঁর তরুণ নেতৃত্বের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাওয়াতী ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। খতমে নবুঅত কনফারেন্সে তিনি বলেছিলেন, ‘সম্মানিত ভ্রাতৃমন্ডলী! আহলেহাদীছের একজন সামান্য খাদেম হিসাবে আমার জন্য এটা বড়ই সৌভাগ্যের কথা যে, এমন এক সময় এ ঘরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করা হয়েছিল, যখন ঘরের লোকেরা নিদ্রামগ্ন ছিল।... অল্প কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর আমি অনুভব করছি যে, এখন ঘরের মালিক জেগে উঠেছে। আমার এই বিশ্বাস ছিল যে, ঘুমন্ত সিংহ যখন জেগে ওঠে তখন সে সিংহমূর্তিই ধারণ করে। আর আজ এই সিংহ শুধু জেগেই ওঠেনি; বরং স্বীয় আবাস থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে’।[8]

রাজনৈতিক বিষয়ে ‘মারকাযী জমঈয়তে আহলেহাদীছে’র (প্রতিষ্ঠা : ২৪শে জুলাই ১৯৪৮) নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে আল্লামা যহীর ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান’ গঠনের পর জমঈয়তকে দেশের রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং আহলেহাদীছ যুবকদের জন্য ‘আহলেহাদীছ ইয়ুথ ফোর্স’ গঠন করেন। তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ জনশক্তিতে পরিণত করেন।[9]

যুবকদেরকে সচেতন করার ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবাদতুল্য। ১২ই রবীঊল আউয়াল ১৪০৭ হিজরীতে জিন্নাহ হল, লাহোরে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, 

ميرى ايک ہی خواہش ہے ميرى ايک ہی آرزو ہے - ميرى تگ ودو  كا  ايك ہی مقصدہے- ميرى جد وجهد كا  ايک ہی مطلوب ہے اور وه  يہ ہے كہ اہل حديث كے جوان  اپنے آقا كى شجاعت كو اپنے سينے ميں بهر ليں- خدا كى قسم ہے اگر  يہ آقا كى شجاعت كے وارث بن جائيں تو  پورے پاكستان كى كوئى قوت ان كے مقابل كھڑا ہونے كى جرات نهيں كر سكتى-

‘আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা, একটাই বাসনা, আমার দৌড়ঝাঁপ ও উদ্যম-প্রচেষ্টার একটাই উদ্দেশ্য। আর সেটা হ’ল- আহলেহাদীছ যুবকরা স্বীয় প্রতিপালক প্রদত্ত সাহস নিজেদের বুকে পুরে নিক। আল্লাহর কসম! যদি তারা আল্লাহ প্রদত্ত সাহসিকতার উত্তরাধিকারী হয়ে যায়, তাহ’লে সমগ্র পাকিস্তানের এমন কোন শক্তি নেই যা তাদের মোকাবিলায় দাঁড়ানোর দুঃসাহস রাখে’।[10]

১৯৮৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী কাছূর-এ এক জালসায় তিনি বলেন,

لوگو! سن لو اہل حديث كسى كى بهيڑ بكرى نہيں ہيں- اہل حديث اس كائنات كى وه قوت اور طاقت ہيں كہ اگر اسے احساس ذوق ہو جائے تو دنيا كى كوئى جماعت اس كا مقابلہ نهيں كر سكتى-

‘লোকসকল, শুনো! আহলেহাদীছ কারো ভেড়া-বকরী নয়। আহলেহাদীছ এই জগতের ঐ শক্তির নাম, যদি তাদের আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হয়, তাহ’লে দুনিয়ার কোন জামা‘আত তাদের মুকাবিলা করতে পারবে না’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার জাতির যুবকেরা জাগো! তোমাদের মাসলাক ও জামা‘আতের তোমাদের আজ বড়ই প্রয়োজন। কিন্তু কেন? হকের ঝান্ডা উড্ডীন করার জন্য, দেশে কুরআন-সুন্নাহর ঝান্ডা উড্ডীন করার জন্য, রাসূল (ছাঃ)-এর নাম উচ্চকিত করার জন্য, তাওহীদের প্রচার-প্রসার, শিরক ও ভ্রষ্টতা দূর এবং কুরআন-সুন্নাহর প্রসারের জন্য’। তিনি আরো বলেন,

انشاء الله ايك دن آنے والا ہےجب پاكستان كى فضاؤں ميں پرچم لهرائے گا يا تو كتاب الله كا لهرائے گا يا سنت رسول الله كا لهرائے گا  اور اس دن طلوع ہونے سے دنيا كى كوئى طاقت نهيں روك سكتى-

‘ইনশাআল্লাহ, একদিন এমন আসবে যখন পাকিস্তানের আকাশে কুরআন ও সুন্নাহর ঝান্ডা উড়বে। আর ঐ দিন আসতে দুনিয়ার কোন শক্তি বাধা দিতে পারবে না’।[11]

তিনি দেশময় বড় বড় সম্মেলনের আয়োজন করে জ্বালাময়ী ভাষণ ও সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে পাকিস্তানে আহলেহাদীছ আন্দোলনে গতিসঞ্চারে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন এবং আহলেহাদীছদের নতুন করে গাত্রোত্থানের জানান দিতে থাকেন। ১৯৮৬ সালের ১৮ই এপ্রিল লাহোরের মুচী দরজায় তিনি এক বিশাল সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সালে মুচী দরজায় হওয়া সব সম্মেলন থেকে এটি বড় ছিল। (জেনারেল যিয়া বিরোধী) এম.আর.ডি (Movement for the Restoration of Democracy) এবং জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন থেকেও বড় ছিল। জামায়াতে ইসলামী সর্বশক্তি দিয়ে উক্ত জায়গায় আমাদের চেয়ে বড় সম্মেলন করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সম্মেলনের উপস্থিতি আমাদের সম্মেলনের তুলনায় ১০০ ভাগের এক ভাগও ছিল না। সে সময় এম.আর.ডির উত্থানের যুগ ছিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, জমঈয়তে আহলেহাদীছ এম.আর.ডির চেয়েও বড় সম্মেলন করেছিল। আমাদের এক সপ্তাহ পূর্বে ‘জমঈয়তে ওলামায়ে পাকিস্তান’-এর সম্মেলনও উক্ত স্থানে হয়েছিল। কিন্তু পত্রিকার ফাইলগুলোতে সাক্ষ্য রয়েছে যে, আমাদের সম্মেলন সবার চেয়ে বড় ছিল। এই প্রথমবারের মতো জনগণের বোধোদয় হয় যে, জমঈয়তে আহলেহাদীছের ব্যাপারে এ ধারণা ভুল যে, এটি একটি ছোট জামা‘আত। এরপর আমরা ধারাবাহিকভাবে রাওয়ালপিন্ডি, হায়দরাবাদ, ফয়ছালাবাদ, সাহিওয়াল, শিয়ালকোট (২রা মে ১৯৮৬), মুলতান এবং গুজরানওয়ালায় (৯ই মে ১৯৮৬) সম্মেলন করি। এসকল সম্মেলন দারুণভাবে সফল হয়েছিল’।[12]

জমঈয়তের অত্যাধুনিক অফিস তৈরির জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন দেখা দেয়। এক অনুষ্ঠানে এজন্য প্রথম তিনি ৫০ হাযার রূপী দান করেন। তখন উপস্থিত জনগণ তাদের সাধ্যানুযায়ী দান করতে থাকে। এভাবে এজন্য ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) রূপী সংগ্রহ করা হয়।[13] এ অর্থ দিয়ে তিনি ৫৩ লরেন্স রোড, লাহোরে বিশাল জায়গা ক্রয় করেন। এখানে তিনি নবআঙ্গিকে একটি মসজিদ, হাসপাতাল, মাদরাসা, অডিটরিয়াম এবং জমঈয়তের অফিস স্থাপনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন। এখানে তিনি তারাবীহ ছালাতের জামা‘আত এবং দরসে কুরআনের প্রোগ্রামও শুরু করেছিলেন। বহু লোক তাঁর দরসে অংশগ্রহণ করতে থাকে। ১৯৮৭ সালের ২৯শে মার্চ তিনি এখানে জুম‘আর খুৎবা দেয়ার মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু এর পূর্বেই বোমা বিস্ফোরণে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে যায়।[14] উল্লেখ্য, ৫০, লোয়ারমাল রোডে প্রশস্ত জমির উপর বর্তমানে ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান’-এর সর্বাধুনিক ব্যবস্থাপনা সজ্জিত বিরাট অফিস অবস্থিত।[15]

আহলেহাদীছরা তাক্বলীদের ঘোর বিরোধী; ইজতিহাদের প্রবক্তা। তাই যুগ-সমস্যার সমাধান কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে প্রদানের জন্য আল্লামা যহীর সঊদী আরবের ‘হাইআতু কিবারিল ওলামা’ ও মিসরের ‘আল-মাজলিসুল আ‘লা লিশ-শুউনিল ইসলামিয়াহ’-এর আদলে মুহাক্কিক্ব আহলেহাদীছ আলেমদের সমন্বয়ে একটি ফৎওয়া বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। যেখানে আলেমরা প্রত্যেক মাসে উপস্থিত হয়ে নিত্য-নতুন মাসআলার ব্যাপারে তাদের গবেষণালব্ধ মতামত ব্যক্ত করবেন। এতদুদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালের ১৮ই মার্চ নিজ বাড়ীতে তিনি ওলামায়ে কেরামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আহবান করেন। এ মিটিংয়ে আল্লামা যহীর ইসলামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন এবং আগামী মিটিংয়ে তাহকীকের জন্য ‘মুরাবাহা’ ক্রয় আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করেন। উক্ত মিটিংয়ে তিনি উপস্থিত ওলামায়ে কেরামকে এ সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে, এই তাহক্বীক্বী কাজের জন্য তিনি ২০ লাখ রূপীতে কম্পিউটার ক্রয় করেছেন। এই কম্পিউটার এবং ৫৩, লোয়ারমাল রোডে অবস্থিত জমঈয়তের অফিসে অবস্থান করে প্রায় ১ লাখ পুস্তক সংবলিত তাঁর ব্যক্তিগত লাইব্রেরী থেকে তারা উপকৃত হ’তে পারেন। তিনি এও বলেছিলেন যে, ‘আপনাদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য সব খরচ আমি বহন করব’।[16]

মোদ্দাকথা, ইহসান ইলাহী যহীরের গতিশীল নেতৃত্বে পাকিস্তানে আহলেহাদীছদের মাঝে নবচেতনার উন্মেষ ঘটে। মানুষের মাঝে কুরআন-সুন্নাহর মর্মমূলে জমায়েত হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। তাঁর ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, জ্বালাময়ী বক্তব্য, দাওয়াতী কর্মতৎপরতা ও বিশ্বব্যাপী পরিচিতির কারণে জমঈয়তের উত্তরোত্তর অগ্রগতি সাধিত হয়। তিনি যদি রাজনীতির গ্যাড়াকলে জড়িয়ে না পড়ে নিরঙ্কুশভাবে আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রচার-প্রসারে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন, তাহ’লে পাকিস্তানে আহলেহাদীছ আন্দোলন আরো বেশী মযবুত ভিত্তির উপর দন্ডায়মান হ’ত এবং আহলেহাদীছ জামা‘আত তাঁর কাছ থেকে আরো বেশী খেদমত পেত।



[1]. মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৫৭-৫৮; বিশেষ সংখ্যা-২, পৃঃ ১১৯; আহলেহাদীছ আন্দোলন, পৃঃ ৩৭৯-৮০।

[2]. মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৫৮-৫৯।

[3]. ‘মাজাল্লাতুশ শরী‘আহ’, সংখ্যা ২৪২, জুমাদাল উলা ১৪০৬ হিঃ, পৃঃ ৪।

[4]. ঐ, পৃঃ ৪।

[5]. আল-মাজাল্লাতুল আরাবিয়্যাহ, সংখ্যা ৮৭, ১৪০৫ হিঃ, পৃঃ ৯১।

[6]. The Life of Shaykh Ihsan Ilahi Zahir, P. 64.

[7]. Ibid, P. 61.

[8]. মিয়াঁ জামীল আহমাদ, ‘খতমে নবুঅত কা কনফারেন্স সে আখেরী খেতাব’, মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৬৬।

[9]. শাহাদত, মার্চ ২০০৮, পৃঃ ২৩।

[10]. মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-২, পৃঃ ৪।

[11]. ঐ, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৮১।

[12]. ঐ, পৃঃ ৫৯।

[13]. The Life of Shaykh Ihsan Ilahi Zahir, P. 34-35.

[14]. মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-২, পৃঃ ১২০।

[15]. আহলেহাদীছ আন্দোলন, পৃঃ ৩৮০।

[16]. মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-২, পৃঃ ১২৫-২৬।