ইক্বামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি

উপসংহার

পরিশেষে বলব যে, আল্লাহর রাসূলের প্রদর্শিত পদ্ধতিই দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি। নিজের এবং নিবেদিতপ্রাণ কিছু সাথীর দিনরাত নিরন্তর দাওয়াত ও জিহাদী তৎপরতার মাধ্যমেই তিনি জাহেলী আরবের শিরকী সমাজে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যুগে যুগে সেপথেই তাওহীদ কায়েম হয়েছে, ইনশাআল্লাহ আজও হবে। দাওয়াতের জন্য একক ব্যক্তিই যথেষ্ট। কিন্তু জিহাদের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য, যাকে ‘সংগঠন’ বলা হয়। আর সেখানে গিয়েই আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) জান্নাতের বিনিময়ে তাঁর অনুসারীদের নিকট থেকে বায়‘আত ও অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন এবং মুসলিম উম্মাহকে সর্বদা জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনের এবং আমীরের আদেশ শ্রবণ ও তাঁর আনুগত্য করার  নির্দেশ দিয়ে গেছেন।[1] এমনকি কোন নির্জন ভূমিতে তিনজন মুসলমান থাকলেও একজনকে ‘আমীর’ মেনে নিয়ে তাঁর আদেশ মতে সুশৃংখলভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।[2] আজও যদি কেউ আন্তরিকভাবে দ্বীন কায়েম করতে চান, তবে তাকে ঐ পদ্ধতি ধরেই এগোতে হবে, যে পথে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এগিয়েছিলেন। চাই তিনি বাংলাদেশে বসবাস করুন, চাই ভিনদেশে বসবাস করুন। সর্বাগ্রে তাকে নিজের ব্যক্তি জীবনে ও পারিবারিক জীবনে দ্বীন কায়েম করতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দ্বীন কায়েমের জন্য যেকোন ন্যায়সঙ্গত পন্থা অবলম্বন করা যাবে। কিন্তু ‘তাওহীদ প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হ’ল সশস্ত্র সংগ্রাম’ ‘ইসলামী হুকুমত কায়েম করাটাই হ’ল ইক্বামতে দ্বীন ও সবচেয়ে বড় ইবাদত’ ‘রাষ্ট্র কায়েম না করতে পারলে পূর্ণ মুমিন হওয়া যাবে না’, এই সব ধারণাই হ’ল চরমপন্থী খারেজী আক্বীদার অনুরূপ। যা আহলেসুন্নাত ওয়াল জামা‘আত আহলেহাদীছের আক্বীদা বহির্ভূত। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথের হেদায়াত দান করুন। আমীন!!



[1]. আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৬৯৪।

[2]. আহমাদ, সনদ ছহীহ।

 

পরবর্তী পৃষ্ঠা