ইক্বামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি

প্রথম ভাগ

ইক্বামতে দ্বীন

شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَنْ يُنِيبُ-

অনুবাদ : ‘তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে এবং যা আমরা প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি ও যার আদেশ দিয়েছিলাম আমরা ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর ও তার মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। আপনি মুশরিকদের যে বিষয়ের দিকে আহবান জানান, তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং তিনি পথ প্রদর্শন করেন ঐ ব্যক্তিকে, যে তাঁর দিকে প্রণত হয়’ (শূরা ১৩)।

শাব্দিক ব্যাখ্যা : (১) আক্বীমুদ্দীনা অর্থ : ‘তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর’। أَقَامَ يُقِيْمُ إِقَامَةً অর্থ দাঁড় করানো, প্রতিষ্ঠিত করা। باب إفعال থেকে أمر حاضر معروف বহুবচনে أَقِيْمُوْا ‘তোমরা দাঁড় করাও বা প্রতিষ্ঠিত কর’। দ্বীন (دِيْنٌ) অর্থ : ‘তাওহীদ এবং আল্লাহর আনুগত্যপূর্ণ সকল কাজ’। এর আরও অনেকগুলি অর্থ রয়েছে। যেমন : হিসাব-নিকাশ, আত্মসমর্পণ, মিল্লাত, আদত, হালত, সীরাত, অধিকার, শক্তি, শাসন, নির্দেশ, ফায়ছালা, আনুগত্য, পরহেযগারী, বদলা, বিজয়, গ্লানি, গোনাহ, যবরদস্তি, বাধ্যতা, অবাধ্যতা ইত্যাদি।[1] অত্র আয়াতে ‘দ্বীন’ অর্থ হ’ল توحيد الله وطاعته ‘আল্ল­াহর একত্ব ও তাঁর প্রতি আনুগত্য’।[2]

(২) অলা তাতাফার্রাকূ ফীহি অর্থ- ‘তোমরা এর মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করো না’। فَرَقَ يَفْرِقُ فَرْقًا وَفُرْقَانًا অর্থ- পৃথক করা। এখানে ‘ফারকুন’ ধাতু হ’তে باب تفعّل -এর আদেশসূচক ক্রিয়া হয়েছে। উক্ত বাব-এর خاصه বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধাতুর অর্থ ‘স্বরূপে প্রকাশিত হওয়া’র অর্থে আয়াতের মর্ম দাঁড়ায় ‘তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে দলে দলে বিভক্ত হয়ো না’।

ব্যাখ্যা : প্রথমেই দু’টি ‘আয়াতে মুতাশা-বিহাহ’ সহ সর্বমোট ৫০টি আয়াত সমৃদ্ধ এই মাক্কী সূরাটিতে অন্যান্য মাক্কী সূরার ন্যায় মূলতঃ আক্বীদা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচ্য ১৩ নং আয়াতে বর্ণিত ইক্বামতে দ্বীন বা তাওহীদ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই হ’ল অত্র সূরার মুখ্য বিষয়। অন্য সকল বিষয় এই মুখ্য বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই আলোচিত হয়েছে।

অত্র আয়াতে আল্লাহ পাক মক্কাবাসী তথা দুনিয়াব্যাপী মুশরিক সমাজকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন যে, তোমাদের জন্য তোমাদের প্রভু আল্লাহ নির্ধারিত করেছেন সেই দ্বীন, যা তিনি নির্ধারিত করেছিলেন দুনিয়ার প্রথম রাসূল হযরত নূহ (আঃ)-এর উপরে। অতঃপর শ্রেষ্ঠ রাসূলগণের মধ্যে ইবরাহীম, মূসা, ঈসা ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপরে। আর সেটা হ’ল ‘এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করা ও তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা’ (هُوَ عِبَادَةُ اللهِ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ)

যেমন আল্লাহ অন্যত্র ব্যাখ্যায় বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ ‘আমি আপনার পূর্বেকার সকল রাসূলের নিকটে একই বিষয় প্রত্যাদেশ করেছি যে, আমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কেবলমাত্র আমারই ইবাদত কর’ (আম্বিয়া ২৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, اَلْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ مِنْ عَلاَّتٍ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ ‘নবীগণ পরস্পরে বৈমাত্রেয় ভাই। তাঁদের মায়েরা পৃথক। কিন্তু তাঁদের সকলের দ্বীন এক’।[3]

অর্থাৎ তাওহীদ-এর মূল বিষয়ে আমরা সবাই এক। যদিও শরী‘আত তথা ব্যবহারিক বিধান সমূহে আমাদের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا ‘তোমাদের সকলের জন্য আমরা পৃথক পৃথক বিধি-বিধান ও পদ্ধতি সমূহ নির্ধারিত করেছি’ (মায়েদাহ ৪৮)। অতএব নূহ (আঃ) হ’তে মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত সকল নবীর অভিন্ন দ্বীন অর্থাৎ তাওহীদ, রিসালাত, আখেরাত, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ প্রভৃতি মৌলিক ইবাদত সমূহ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অত্র আয়াতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং সাথে সাথে এই সব মৌলিক বিষয়ে কোনরূপ মতভেদ ও দলাদলি না করার জন্য কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

অতঃপর আল্লাহ বলেন যে, তাওহীদের মূল আহবানের দিকে ফিরে আসা মক্কার মুশরিকদের জন্য খুবই কষ্টকর ছিল। যদিও  তারা নিজেদেরকে ইবরাহীমী দ্বীনের উপরে প্রতিষ্ঠিত বলে দাবী করত। হাদীছে এসেছে যে, كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى دِيْنِ قَوْمِهِ ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় কওমের দ্বীনের উপরে কায়েম ছিলেন’। অর্থাৎ ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ)-এর দ্বীনের উত্তরাধিকার হিসাবে তাদের মধ্যে বায়তুল্লাহ শরীফের ত্বাওয়াফ, সা‘ঈ, হজ্জ, ওমরাহ, বিবাহ-পদ্ধতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য সামাজিক রীতি-নীতি চালু ছিল। কিন্তু তাওহীদকে তারা বদলে ফেলেছিল। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাওহীদের মূল দাবীর উপরে অটল ছিলেন’।[4]

মক্কার  মুশরিকগণ তাওহীদের কোন্ অংশ বদলে ফেলেছিল? তারা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করত। তারা আখেরাত ও ক্বিয়ামতে বিশ্বাসী ছিল।

তাহ’লে কোন্ সে কারণ ছিল যে, তারা ‘মুশরিক’ বলে অভিহিত হ’ল? তাদের রক্ত হালাল বলে ঘোষণা করা হ’ল? এর একটি মাত্র জওয়াব এই যে, তারা আল্লাহকে ‘খালেক্ব’ ও ‘রব’ হিসাবে মেনে নিলেও প্রবৃত্তিপূজা করতে গিয়ে দুনিয়াবী স্বার্থে তাঁর নাযিলকৃত হালাল-হারাম ও অন্যান্য ইবাদত ও বৈষয়িক বিধান সমূহ তারা মানেনি। এমনকি রাসূলকে ‘হক’ জেনেও অহংকার বশে তারা তাঁকে মানতে পারেনি। বরং সহিংস বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছিল। আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রেও তারা অন্যকে শরীক করেছিল। তাদের মৃত পূর্বসূরিদের মূর্তি বানিয়ে পবিত্র কা‘বা গৃহে স্থাপন করেছিল ও তাদের অসীলায় ও সুফারিশে পরকালে মুক্তি পাওয়ার বিশ্বাস পোষণ করেছিল। ফলে আল্লাহকে খুশী করার পরিবর্তে তারা ঐসব মূর্তিকে খুশী করার জন্য জানমাল কুরবানী করত। নযর-নিয়ায ও মানতের ঢল নামিয়ে দিত। এক কথায় ‘তাওহীদে রবূবিয়াত’কে তারা মেনে নিলেও ‘তাওহীদে উলূহিয়াত’ এবং ‘তাওহীদে আসমা ওয়াছ ছিফাত’-কে তারা মানেনি।

মক্কার সেকালের মুশরিকদের সাথে বাংলার বর্তমান নামধারী মুসলিমদের পার্থক্য কোথায়? এরাও নামের দিক দিয়ে মক্কার নেতাদের ন্যায় আব্দুল্লাহ, আব্দুল মুত্ত্বালিব, আবু ত্বালিব হ’লেও প্রবৃত্তিপূজার কারণে দুনিয়াবী স্বার্থে আল্লাহর নাযিলকৃত হারাম-হালাল ও অন্যান্য ইবাদত ও বৈষয়িক বিধান সমূহ মানেনা। প্রকাশ্যে অস্বীকার না করলেও পরোক্ষভাবে তারা এসবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত সূদ ও সূদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থনীতি তথা জুয়া-লটারী-মুনাফাখোরীকে তারা আইনের মাধ্যমে চালু রেখেছে। পতিতাবৃত্তির মত হারাম ও জঘন্য প্রথাকে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। সিনেমা, টেলিভিশন, ভিসিআর-ভিসিপির সাহায্যে ব্লু ফিল্ম, রাস্তাঘাটে, পত্র-পত্রিকায় সর্বত্র নগ্ন ছবি ও পর্ণো সাহিত্যের ছড়াছড়ির মাধ্যমে যৌন সুঁড়সুড়ি দিয়ে মানুষের প্রবৃত্তিকে উষ্কে দিয়ে যেনা-ব্যভিচারকে ব্যাপক রূপ দিয়েছে। নারী নির্যাতন আজ আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। জাহেলী যুগের গোত্রীয় রাজনীতি আজকের যুগে গণতন্ত্রের নামে দলবাজী তথা দলীয় হিংসা ও মারামারির রাজনীতিতে রূপ পরিগ্রহ করেছে। দলীয় স্বার্থে আইন ও ন্যায়বিচার এমনকি দেশের জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইবাদতের নামে চালু হয়েছে অগণিত শিরক ও বিদ‘আতী প্রথা। জাহেলী যুগের মূর্তিপূজার বদলে চালু হয়েছে কবরপূজার শিরকী প্রথা। সে যুগের মুশরিকরা প্রাণহীন মূর্তির অসীলায় পরকালীন মুক্তি কামনা করত। এ যুগের মুসলিমরা কবরে শায়িত মৃত পীরের অসীলায় পরকালীন মুক্তি কামনা করে। সম্মান প্রদর্শনের নামে মূর্তির বদলে প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হচ্ছে। শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, শিখা অনির্বাণ, শিখা চিরন্তন, মঙ্গলঘট, মঙ্গল প্রদীপ ইত্যাদির মাধ্যমে অগ্নিউপাসক ও হিন্দুয়ানী শিরক সমূহ রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করা হয়েছে। জাহেলী আরবের জঘন্য ‘হীলা’ প্রথা আজও ‘মাযহাবে’র দোহাই দিয়ে মুসলিম সমাজে চালু রাখা হয়েছে এবং এর ফলে অসংখ্য নারীর ইযযত নিয়ে ধর্মের নামে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। অনেক মা-বোন লজ্জায় ও গ্লানিতে আত্মহত্যা করছেন। অথচ ধর্মের (?) ও তথাকথিত ধর্মনেতাদের ভয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করতে পারছেন না তারা। ভারতীয় হিন্দু ও পারসিক অগ্নি উপাসকদের অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী কুফরী দর্শন আজকের ছূফী নামধারী মুসলিম মারেফতী পীর-ফকীরদের মাধ্যমে জোরেশোরে প্রচারিত হচ্ছে ও তাদের খপপরে পড়ে সরলসিধা অসংখ্য ঈমানদার মুসলমান দৈনিক নিজেদের ঈমান খোয়াচ্ছেন।

তাক্বদীরকে অস্বীকারকারী ও তার বিপরীত অদৃষ্টবাদী দর্শনের বিরুদ্ধে যে রাসূল (ছাঃ) কঠোর ধমকি প্রদান করেছেন, সেই জাহেলী যুগের কুফরী দর্শন ইসলামের নামে এদেশের রেডিও-টিভিতে এবং অন্যত্র সমানে প্রচার করা হচ্ছে ও মানুষকে ইচ্ছাশক্তিহীন ‘পুতুল’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এভাবে ধর্মের নামে ও রাজনীতির নামে আল্লাহ প্রেরিত দ্বীনের বিরুদ্ধে আজ শতমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। অতএব এ মুহূর্তে দ্বীনকে শিরক ও বিদ‘আত হ’তে মুক্ত করে তার আসল ও নির্ভেজাল আদি রূপে প্রতিষ্ঠিত করাই প্রকৃত দ্বীনদার মুমিনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। যা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই নূহ (আঃ) হ’তে মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত সকল নবীকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। আর এটাই হ’ল ‘ইক্বামতে দ্বীন’-এর প্রকৃত তাৎপর্য।

আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ বলেন, كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ অর্থাৎ ‘যেদিকে তোমরা আহবান কর, সে বিষয়টি মুশরিকদের উপরে খুবই ভারী বোধ হয়। তবে আল্লাহ তাঁর জন্য যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন। তিনি তাঁর দিকে পথ প্রদর্শন করেন ঐ ব্যক্তিকে যে প্রণত হয়’। অর্থাৎ পূর্ণরূপে তাওহীদ গ্রহণ ও শিরক বর্জন মুশরিকদের জন্য খুবই কঠিন বিষয়। কারণ শিরক ও বিদ‘আতের লালন, পরিপোষণ ও পরিচর্যার মধ্যেই তাদের রুটি-রূযি ও সামগ্রিক দুনিয়াবী স্বার্থ জড়িত। এই সব স্বার্থ পরিত্যাগ করে কেবলমাত্র ঐসকল ব্যক্তিই আল্লাহর দিকে ফিরে আসে, যাদেরকে তিনি মনোনীত করেন ও পথ প্রদর্শন করেন।

এক্ষণে আমরা পিছন দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখব, অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় উম্মতের সেরা মনীষী ও বিদ্বানগণ কি বলেছেন।-


[1]. আল-মুনজিদ, আল-ক্বামূসুল মুহীত্ব, আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব।

[2]. কুরতুবী, ইবনু কাছীর প্রমুখ।

[3]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত-আলবানী, হা/৫৭২২ ‘ক্বিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায়; মুসলিম হা/২৩৬৫, ‘ফাযায়েল’ অধ্যায়।

[4]. ফীরোযাবাদী, আল-ক্বামূসুল মুহীত্ব (বৈরূত : মুওয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১ম সংস্করণ, ১৪০৬/১৯৮৬), পৃঃ ১৫৪৬।